নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক পোশাকের ওপর নির্ভরতা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে রপ্তানি আয়ে। এই একটি মাত্র পণ্য থেকেই রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বলে এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাই এই পণ্যের বাজারে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হলে রপ্তানি আয় নিয়েও বাড়ে দুশ্চিন্তা। সম্প্রতি আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি নিয়ে আশঙ্কা তৈরির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সামনে এসেছে। রপ্তানির ঝুঁকি কমাতে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা ও নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় রপ্তানি আয়ে ঝুঁকি যে আছে, সেটা জানা কথা। তৈরি পোশাকের পণ্যে বৈচিত্র্য এনে আরও মধ্য ও উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানির সুযোগ আছে। আমাদের পোশাক রপ্তানিকারকদের এদিকে এখন মনোযোগ দিতে হবে।’
তথ্য-উপাত্ত বলছে, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দেশের মোট পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাক ছিল মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে মোট রপ্তানিতে পোশাকের হিস্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি বাড়ার পেছনে আছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে জিএসপি সুবিধা হারাবে ২০২৯ সাল থেকে। তাতে পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাধীনতার পর পাট ও পাটজাত দ্রব্য ছিল বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। পাটের পর ছিল চা ও হিমায়িত খাদ্য। বর্তমানে এই চারটি পণ্যে দিন দিন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তৈরি পোশাকের পর হোম টেক্সটাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্রকৌশল পণ্য ভালো করলেও রপ্তানির গতি খুবই কম। একসময় কৃষিজাত পণ্য আশা জাগালেও ইতিবাচক ধারায় নেই কয়েক বছর ধরে। এখন বলা যায়, পুরো রপ্তানি খাতই দিন দিন তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। পোশাক রপ্তানি বাড়লে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকে। তা না হলে ধস নামে রপ্তানি আয়ে।
দেশের সামগ্রিক রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনার জন্য রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ প্রণয়ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রপ্তানি বহুমুখীকরণে জোর দিতে ১৪টি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে—অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, কৃত্রিম তন্তু, পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, বহুমুখী পাটপণ্যসহ পাটজাত পণ্য, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, হালকা প্রকৌশল পণ্য, জাহাজ ও সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার নির্মাণ, আসবাব, হোম টেক্সটাইল, লাগেজ এবং ওষুধশিল্পের কাঁচামাল। ২০২৪ সালে এসে তৈরি পোশাক ছাড়া অধিকাংশ পণ্য রপ্তানি আয়ে খেই হারিয়েছে।
প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস ও প্লাস্টিক-মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও বাকি অধিকাংশ পণ্য ছিল নেতিবাচক ধারায়। তৈরি পোশাকের অন্যতম উপখাত হোম টেক্সটাইল বছরখানেক আগে বাংলাদেশের রপ্তানির পালে হাওয়া দিলেও ক্রমাগত কমছে এই খাত থেকে আয়। হোম টেক্সটাইল চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি করেছে মাত্র ২৯৯ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। দুই বছর আগেও এই খাতকে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত ধরা হয়েছিল। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এক পোশাকের ওপর নির্ভরতা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে রপ্তানি আয়ে। এই একটি মাত্র পণ্য থেকেই রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বলে এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাই এই পণ্যের বাজারে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হলে রপ্তানি আয় নিয়েও বাড়ে দুশ্চিন্তা। সম্প্রতি আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি নিয়ে আশঙ্কা তৈরির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সামনে এসেছে। রপ্তানির ঝুঁকি কমাতে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা ও নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় রপ্তানি আয়ে ঝুঁকি যে আছে, সেটা জানা কথা। তৈরি পোশাকের পণ্যে বৈচিত্র্য এনে আরও মধ্য ও উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানির সুযোগ আছে। আমাদের পোশাক রপ্তানিকারকদের এদিকে এখন মনোযোগ দিতে হবে।’
তথ্য-উপাত্ত বলছে, ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দেশের মোট পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাক ছিল মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে মোট রপ্তানিতে পোশাকের হিস্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি বাড়ার পেছনে আছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে জিএসপি সুবিধা হারাবে ২০২৯ সাল থেকে। তাতে পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাধীনতার পর পাট ও পাটজাত দ্রব্য ছিল বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। পাটের পর ছিল চা ও হিমায়িত খাদ্য। বর্তমানে এই চারটি পণ্যে দিন দিন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তৈরি পোশাকের পর হোম টেক্সটাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্রকৌশল পণ্য ভালো করলেও রপ্তানির গতি খুবই কম। একসময় কৃষিজাত পণ্য আশা জাগালেও ইতিবাচক ধারায় নেই কয়েক বছর ধরে। এখন বলা যায়, পুরো রপ্তানি খাতই দিন দিন তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। পোশাক রপ্তানি বাড়লে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকে। তা না হলে ধস নামে রপ্তানি আয়ে।
দেশের সামগ্রিক রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনার জন্য রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ প্রণয়ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রপ্তানি বহুমুখীকরণে জোর দিতে ১৪টি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে—অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, কৃত্রিম তন্তু, পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, বহুমুখী পাটপণ্যসহ পাটজাত পণ্য, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, হালকা প্রকৌশল পণ্য, জাহাজ ও সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার নির্মাণ, আসবাব, হোম টেক্সটাইল, লাগেজ এবং ওষুধশিল্পের কাঁচামাল। ২০২৪ সালে এসে তৈরি পোশাক ছাড়া অধিকাংশ পণ্য রপ্তানি আয়ে খেই হারিয়েছে।
প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস ও প্লাস্টিক-মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও বাকি অধিকাংশ পণ্য ছিল নেতিবাচক ধারায়। তৈরি পোশাকের অন্যতম উপখাত হোম টেক্সটাইল বছরখানেক আগে বাংলাদেশের রপ্তানির পালে হাওয়া দিলেও ক্রমাগত কমছে এই খাত থেকে আয়। হোম টেক্সটাইল চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি করেছে মাত্র ২৯৯ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। দুই বছর আগেও এই খাতকে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত ধরা হয়েছিল। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
২ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে