কয়েক দশকের স্থবিরতার পর তরুণ আমেরিকানদের সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই তরুণেরা মিলেনিয়াল (যাদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে) প্রজন্মের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের (সিএপি) তথ্যমতে, ৪০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানরা (মিলেনিয়াল) করোনাভাইরাস মহামারির পরে সঞ্চিত সম্পদ, কর্মসংস্থানের হার এবং মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্য প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চার বছরে তাঁদের পরিবারের গড় সম্পদ ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভের তথ্য পর্যালোচনা করে সিএপি দেখেছে, মূল্যস্ফীতি বিবেচনা সত্ত্বেও এসব পরিবারের গড় সম্পদ ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার থেকে ৪৯ শতাংশ বা ৮৫ হাজার ডলার বেশি। এর মধ্যে ধরা হয়েছে গড় সম্পদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্টক এবং রিয়েল এস্টেট।
মিলেনিয়ালদের এই সম্পদ অর্জন অন্যান্য প্রজন্মের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাদেও ৪০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী পরিবারের গড় সম্পদ সাত শতাংশ কমেছে। অন্যত্র ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের জন্য চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী অভিজ্ঞ পরিবারগুলো সম্পদ আবার ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরও তরুণ পরিবারের সম্পদ এত দ্রুত বৃদ্ধি ১৯৮৯ সালের পর আর কখনোই ঘটেনি। মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করা সত্ত্বেও অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সীদের সম্পদ প্রায় ৯০ হাজার ডলারের ঘর থেকে ১ লাখ ৯০ হাজারে দাঁড়িয়েছে গত ৩০ বছরে।
২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময় এটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার থেকে ৯০ হাজারে নেমে আসে এবং ২০১০ সালের শেষ প্রান্তিকে ধীরে ধীরে তা ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। গত এপ্রিলের শেষের দিকে প্রকাশিত সিএপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ পরিবারের দ্রুততার সঙ্গে এই ঐতিহাসিক সম্পদ বৃদ্ধি আর্থিক নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক।
প্রতিবেদনটি মিলেনিয়াল এবং তাদের চেয়ে কম বয়সীদের জন্য আর্থিক উন্নতির ইঙ্গিত দিলেও ক্রিমিনাল ট্রেডিংয়ের মালিক বাজার বিশ্লেষক কেভিন হাফম্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই সমস্ত নতুন সম্পদ চিরস্থায়ী নয়।
তিনি নিউজউইককে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সুদহার এবং মন্দার ফলে বাড়ির দামে এবং শেয়ার বাজারে অবনতি দেখা দেবে। ফলে এই যে এত লাভে আছেন আপনি, এর কিছুই থাকবে না। অন্যদিকে, ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করা অনেক তরুণ এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠছেন, তাঁদের পক্ষে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
হাফম্যান বলেছেন, ‘বহুল ব্যবহৃত কথন ‘আমেরিকান স্বপ্ন’ (যেখানে সন্তানরা মা-বাবার চেয়ে বেশি ধনী হবে) এখনো নড়বড়ে বেড়ার ওপর রয়েছে। মিলেনিয়ালরা তাঁদের পিতামাতা বা দাদা-দাদির মতো ধনী হবে কি না—তা এখনই বলার সময় নয়। তবে কিছু ভালো লক্ষণ রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের আর্থিক সাক্ষরতা এবং জনবান্ধব বাজেট সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে কথা বলার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু কাঠামোগত সমস্যাগুলো—যেমন ক্রমবর্ধমান আবাসন ব্যয় এবং স্থবির মজুরি কাটিয়ে উঠতে বাধা এখনো রয়েই গেছে।’
ইয়েল্ড ইনভেস্টিংয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফ্র্যাঙ্ক কার্টরাইট নিউজউইককে বলেছেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন সত্ত্বেও আগের প্রজন্মের মতো সম্পদশালী হতে মিলেনিয়ালদের এখনো অনেক প্রতিকূল পাড়ি দিতে হবে। কেননা আগে প্রজন্ম অনেক অনুকূল অর্থনৈতিক অবস্থায় ছিল এবং তাঁদের খরচও কম ছিল।
অতীত-বর্তমান বিশ্লেষণ করে কার্টরাইট বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের মুখোমুখি হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন, যা তাঁদের সম্পদ অর্জনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে।
ক্ষীণ আশার কথা জানিয়ে হাফম্যান সতর্ক করে বলেন, শুধু ব্যবস্থাগত সমস্যা সমাধান, আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার জন্য প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, এই সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।’
কয়েক দশকের স্থবিরতার পর তরুণ আমেরিকানদের সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই তরুণেরা মিলেনিয়াল (যাদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে) প্রজন্মের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের (সিএপি) তথ্যমতে, ৪০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানরা (মিলেনিয়াল) করোনাভাইরাস মহামারির পরে সঞ্চিত সম্পদ, কর্মসংস্থানের হার এবং মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্য প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চার বছরে তাঁদের পরিবারের গড় সম্পদ ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভের তথ্য পর্যালোচনা করে সিএপি দেখেছে, মূল্যস্ফীতি বিবেচনা সত্ত্বেও এসব পরিবারের গড় সম্পদ ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার থেকে ৪৯ শতাংশ বা ৮৫ হাজার ডলার বেশি। এর মধ্যে ধরা হয়েছে গড় সম্পদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্টক এবং রিয়েল এস্টেট।
মিলেনিয়ালদের এই সম্পদ অর্জন অন্যান্য প্রজন্মের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাদেও ৪০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী পরিবারের গড় সম্পদ সাত শতাংশ কমেছে। অন্যত্র ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের জন্য চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী অভিজ্ঞ পরিবারগুলো সম্পদ আবার ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরও তরুণ পরিবারের সম্পদ এত দ্রুত বৃদ্ধি ১৯৮৯ সালের পর আর কখনোই ঘটেনি। মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করা সত্ত্বেও অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সীদের সম্পদ প্রায় ৯০ হাজার ডলারের ঘর থেকে ১ লাখ ৯০ হাজারে দাঁড়িয়েছে গত ৩০ বছরে।
২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময় এটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার থেকে ৯০ হাজারে নেমে আসে এবং ২০১০ সালের শেষ প্রান্তিকে ধীরে ধীরে তা ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। গত এপ্রিলের শেষের দিকে প্রকাশিত সিএপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ পরিবারের দ্রুততার সঙ্গে এই ঐতিহাসিক সম্পদ বৃদ্ধি আর্থিক নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক।
প্রতিবেদনটি মিলেনিয়াল এবং তাদের চেয়ে কম বয়সীদের জন্য আর্থিক উন্নতির ইঙ্গিত দিলেও ক্রিমিনাল ট্রেডিংয়ের মালিক বাজার বিশ্লেষক কেভিন হাফম্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই সমস্ত নতুন সম্পদ চিরস্থায়ী নয়।
তিনি নিউজউইককে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সুদহার এবং মন্দার ফলে বাড়ির দামে এবং শেয়ার বাজারে অবনতি দেখা দেবে। ফলে এই যে এত লাভে আছেন আপনি, এর কিছুই থাকবে না। অন্যদিকে, ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করা অনেক তরুণ এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠছেন, তাঁদের পক্ষে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
হাফম্যান বলেছেন, ‘বহুল ব্যবহৃত কথন ‘আমেরিকান স্বপ্ন’ (যেখানে সন্তানরা মা-বাবার চেয়ে বেশি ধনী হবে) এখনো নড়বড়ে বেড়ার ওপর রয়েছে। মিলেনিয়ালরা তাঁদের পিতামাতা বা দাদা-দাদির মতো ধনী হবে কি না—তা এখনই বলার সময় নয়। তবে কিছু ভালো লক্ষণ রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের আর্থিক সাক্ষরতা এবং জনবান্ধব বাজেট সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে কথা বলার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু কাঠামোগত সমস্যাগুলো—যেমন ক্রমবর্ধমান আবাসন ব্যয় এবং স্থবির মজুরি কাটিয়ে উঠতে বাধা এখনো রয়েই গেছে।’
ইয়েল্ড ইনভেস্টিংয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফ্র্যাঙ্ক কার্টরাইট নিউজউইককে বলেছেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন সত্ত্বেও আগের প্রজন্মের মতো সম্পদশালী হতে মিলেনিয়ালদের এখনো অনেক প্রতিকূল পাড়ি দিতে হবে। কেননা আগে প্রজন্ম অনেক অনুকূল অর্থনৈতিক অবস্থায় ছিল এবং তাঁদের খরচও কম ছিল।
অতীত-বর্তমান বিশ্লেষণ করে কার্টরাইট বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের মুখোমুখি হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন, যা তাঁদের সম্পদ অর্জনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে।
ক্ষীণ আশার কথা জানিয়ে হাফম্যান সতর্ক করে বলেন, শুধু ব্যবস্থাগত সমস্যা সমাধান, আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার জন্য প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, এই সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আশ্বস্ত করে বলেন, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) উচ্চ প্রবাহ থাকায় বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ডলারের দর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে না। এই পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে এবং দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
৩৬ মিনিট আগেসিগারেটের বর্তমান কর চার স্তর কমিয়ে তিন স্তরে নামানো এবং প্রতি শলাকার দাম কমপক্ষে ৯ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে সিগারেটের করকাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তাঁরা বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সিগারেটের করকাঠামো ঢেলে সাজানো...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টমস হাউসে কলম বিরতি চলছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তারা যথারীতি দপ্তরে এসেছেন। তবে কোনো দাপ্তরিক কাজ করছেন না তাঁরা। কেবল বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের কর, শুল্ক ও মূসক নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পুঁজিবাজার সংস্কার বৈঠক বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ ফল দেয়নি। বৈঠকে প্রস্তাবিত নির্দেশনাগুলো নতুনত্বহীন ও বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করছেন অংশীজনরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও হ্রাস পেয়েছে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে পুঁজিবাজারের সূচকে।
৯ ঘণ্টা আগে