আয়নাল হোসেন, ঢাকা
নামীদামি সব প্রতিষ্ঠান, বড় বড় ব্র্যান্ড। বাহারি প্যাকেটে-মোড়কে তারা বাজারে ছাড়ছে হলুদ, মরিচ, সয়াবিন তেলসহ আরও অনেক নিত্যপণ্য। অথচ তাদের পণ্যও মানের পরীক্ষায় উতরাতে পারছে না। অপদ্রব্য মেশানো নিম্নমানের পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) সারা দেশ থেকে খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখেছে, অনেক পণ্যই মানহীন। যেসব খাদ্যের নমুনা মানহীন, সেগুলোকে দূষণ বলে মনে করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের স্যানেটারি ইন্সপেক্টরদের মাধ্যমে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে ৪০টি পণ্যের ১ হাজার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি পণ্যের সব কটি নমুনা মানের পরীক্ষায় উতরে যায়। আর ২৭টি পণ্যের ১৬৬টি নমুনায় মান ঠিক ছিল না। এসব পণ্যের মধ্যে আছে চাল, ডাল, ছোলা, ময়দা, সুজি, সেমাই, সরিষার তেল, নারকেল তেল, চা-পাতা, গুড়, চিনি, কোমল পানীয়, লবণ, দই, ঘি, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ও নুডলস।
পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে গুঁড়া হলুদের ১২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনার মধ্যে ৪৪টি বা ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ নমুনাই মানহীন ছিল। একই সময়ে মরিচের গুঁড়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১৩টি। এর মধ্যে ৫৫টি নমুনা মানের সীমা উতরাতে পারে। অর্থাৎ, ৪৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ নমুনা মানহীন। সয়াবিন তেলের ২৮টি নমুনার ৩টিতে মানহীন ও গুড়ের ১৬টি নমুনার ৬টি বা ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মানহীন বলে শনাক্ত হয়।
পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির অ্যানালিস্টরা বলেন, শুধু খোলাবাজারের পণ্যই নয়, নামীদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরীক্ষা করেও সেগুলো মানহীন পাওয়া গেছে। অনেক সময় মরিচের গুঁড়ায় লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। আর হলুদে ব্যবহার করা হয় ডাই রং।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক অ্যানালিস্ট ডা. নিগার ফেরদৌসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় মান অনুযায়ী তাঁরা পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন। মান পরীক্ষার ক্ষেত্রে হলুদ-মরিচে আর্দ্রতা, অ্যাশ, অ্যাসিডিটি, অদ্রবণীয় অ্যাশ পরীক্ষা করা হয়। গুড়ে সুগার কনটেন্ট আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। মান অনুযায়ী কম বা বেশি হলে সেগুলোই মানহীন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হলুদ-মরিচের গুঁড়ায় নানা ধরনের অপদ্রব্য মেশানোর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। মরিচের গুঁড়ায় অনেক সময়ই লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। তবে সব মানহীন পণ্যই ভেজাল নয়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন ল্যাবে যেসব খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, তার প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ল্যাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। তাদের ওই সব প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মানহীন শনাক্ত হলে সেগুলোকে খাদ্যদূষণ বলা যেতে পারে। সম্প্রতি ভোজ্যতেলের মান খারাপ হওয়ায় রিফাইনারিদের তিনি ডেকেছিলেন। তাদের সংশোধন হওয়ার সময় দিয়েছেন বলে জানান।
বাজারে মানহীন পণ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, আইপিএইচ কোন স্ট্যান্ডার্ড এবং পদ্ধতি অনুযায়ী পরীক্ষা করেছে, সেটি দেখতে হবে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে তাঁরাও পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
নামীদামি সব প্রতিষ্ঠান, বড় বড় ব্র্যান্ড। বাহারি প্যাকেটে-মোড়কে তারা বাজারে ছাড়ছে হলুদ, মরিচ, সয়াবিন তেলসহ আরও অনেক নিত্যপণ্য। অথচ তাদের পণ্যও মানের পরীক্ষায় উতরাতে পারছে না। অপদ্রব্য মেশানো নিম্নমানের পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) সারা দেশ থেকে খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখেছে, অনেক পণ্যই মানহীন। যেসব খাদ্যের নমুনা মানহীন, সেগুলোকে দূষণ বলে মনে করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের স্যানেটারি ইন্সপেক্টরদের মাধ্যমে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে ৪০টি পণ্যের ১ হাজার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি পণ্যের সব কটি নমুনা মানের পরীক্ষায় উতরে যায়। আর ২৭টি পণ্যের ১৬৬টি নমুনায় মান ঠিক ছিল না। এসব পণ্যের মধ্যে আছে চাল, ডাল, ছোলা, ময়দা, সুজি, সেমাই, সরিষার তেল, নারকেল তেল, চা-পাতা, গুড়, চিনি, কোমল পানীয়, লবণ, দই, ঘি, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ও নুডলস।
পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে গুঁড়া হলুদের ১২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনার মধ্যে ৪৪টি বা ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ নমুনাই মানহীন ছিল। একই সময়ে মরিচের গুঁড়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১৩টি। এর মধ্যে ৫৫টি নমুনা মানের সীমা উতরাতে পারে। অর্থাৎ, ৪৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ নমুনা মানহীন। সয়াবিন তেলের ২৮টি নমুনার ৩টিতে মানহীন ও গুড়ের ১৬টি নমুনার ৬টি বা ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মানহীন বলে শনাক্ত হয়।
পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির অ্যানালিস্টরা বলেন, শুধু খোলাবাজারের পণ্যই নয়, নামীদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরীক্ষা করেও সেগুলো মানহীন পাওয়া গেছে। অনেক সময় মরিচের গুঁড়ায় লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। আর হলুদে ব্যবহার করা হয় ডাই রং।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক অ্যানালিস্ট ডা. নিগার ফেরদৌসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় মান অনুযায়ী তাঁরা পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন। মান পরীক্ষার ক্ষেত্রে হলুদ-মরিচে আর্দ্রতা, অ্যাশ, অ্যাসিডিটি, অদ্রবণীয় অ্যাশ পরীক্ষা করা হয়। গুড়ে সুগার কনটেন্ট আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। মান অনুযায়ী কম বা বেশি হলে সেগুলোই মানহীন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হলুদ-মরিচের গুঁড়ায় নানা ধরনের অপদ্রব্য মেশানোর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। মরিচের গুঁড়ায় অনেক সময়ই লেড ক্রোমেট ব্যবহার করা হয়। তবে সব মানহীন পণ্যই ভেজাল নয়।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন ল্যাবে যেসব খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, তার প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ল্যাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। তাদের ওই সব প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মানহীন শনাক্ত হলে সেগুলোকে খাদ্যদূষণ বলা যেতে পারে। সম্প্রতি ভোজ্যতেলের মান খারাপ হওয়ায় রিফাইনারিদের তিনি ডেকেছিলেন। তাদের সংশোধন হওয়ার সময় দিয়েছেন বলে জানান।
বাজারে মানহীন পণ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, আইপিএইচ কোন স্ট্যান্ডার্ড এবং পদ্ধতি অনুযায়ী পরীক্ষা করেছে, সেটি দেখতে হবে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে তাঁরাও পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
১৬ মিনিট আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
২ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে