নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি ও দুর্বল ভিত্তির আটটি কোম্পানির শেয়ারের দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এসব শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন ৪৬ থেকে সর্বোচ্চ ২৪১ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখা জরুরি; কারসাজি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, ‘এসব শেয়ারে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা নিজেরাই ভালো জানেন, কেন করছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখা। তা না হলে মানুষ মনে করবে, অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। বেপরোয়াভাবে শেয়ারের দর বাড়লে নজরদারিতে রাখা উচিত। কারসাজি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো—জিকিউ বলপেন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড (আইএসএন), সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, মনোস্পুল বাংলাদেশ, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স, সমতা লেদার কমপ্লেক্স ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে সতর্কবার্তা প্রকাশের পর এসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ বাড়তে শুরু করেছে, ফলে দাম কিছুটা কমেছে; তবুও সাম্প্রতিক উল্লম্ফন নজরকাড়া।
তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে লোকসানি জিকিউ বলপেনের শেয়ারে। ২০২০ সাল থেকে ধারাবাহিক লোকসান করা কোম্পানিটির শেয়ারের দর ২৩ জুন ছিল ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা দুই মাসের ব্যবধানে ৪০১ টাকায় ওঠে; বৃদ্ধি ২৪১ টাকা ২০ পয়সা বা ১৫১ শতাংশ; সর্বশেষ দর ৪০০ টাকা ৭০ পয়সা। ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের শেয়ারের দর ৭ আগস্ট ৪২ টাকা ২০ পয়সা থেকে মাত্র ১৫ কার্যদিবসে ২৮ আগস্ট ১০৫ টাকা ৭০ পয়সায় পৌঁছায়; বৃদ্ধি ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা বা প্রায় ১৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সমতা লেদার কমপ্লেক্সের দর ২৭ এপ্রিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সোমবার ১১৫ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল; পরে কিছুটা কমে এখন ১০৭ টাকা ৭০ পয়সা। সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ারের দর ২২ জুন ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ হয় ২৮০ টাকা ৭০ পয়সা; মোট বৃদ্ধি ১৪৬ টাকা ৪০ পয়সা। ‘জেড’ ক্যাটাগরির দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলসের শেয়ার ২৩ জুন ৬৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১১৩ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠে; বর্তমানে কিছুটা কমে ১১২ টাকা ১০ পয়সা। মনোস্পুল বাংলাদেশের শেয়ার ২৮ মে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১২৪ টাকায় পৌঁছায়; বৃদ্ধি ৪৮ টাকা ৬০ পয়সা, এখন ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা। মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের শেয়ার ২৯ এপ্রিল ৬৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে রোববার ১১৪ টাকা (বৃদ্ধি ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা); সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১১০ টাকা ৭০ পয়সা। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার ১৫ মে ৯৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৪২ টাকা ৮০ পয়সা; বৃদ্ধি ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি ও দুর্বল ভিত্তির আটটি কোম্পানির শেয়ারের দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এসব শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন ৪৬ থেকে সর্বোচ্চ ২৪১ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখা জরুরি; কারসাজি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, ‘এসব শেয়ারে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা নিজেরাই ভালো জানেন, কেন করছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখা। তা না হলে মানুষ মনে করবে, অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। বেপরোয়াভাবে শেয়ারের দর বাড়লে নজরদারিতে রাখা উচিত। কারসাজি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো—জিকিউ বলপেন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড (আইএসএন), সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, মনোস্পুল বাংলাদেশ, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স, সমতা লেদার কমপ্লেক্স ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে সতর্কবার্তা প্রকাশের পর এসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ বাড়তে শুরু করেছে, ফলে দাম কিছুটা কমেছে; তবুও সাম্প্রতিক উল্লম্ফন নজরকাড়া।
তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে লোকসানি জিকিউ বলপেনের শেয়ারে। ২০২০ সাল থেকে ধারাবাহিক লোকসান করা কোম্পানিটির শেয়ারের দর ২৩ জুন ছিল ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা দুই মাসের ব্যবধানে ৪০১ টাকায় ওঠে; বৃদ্ধি ২৪১ টাকা ২০ পয়সা বা ১৫১ শতাংশ; সর্বশেষ দর ৪০০ টাকা ৭০ পয়সা। ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের শেয়ারের দর ৭ আগস্ট ৪২ টাকা ২০ পয়সা থেকে মাত্র ১৫ কার্যদিবসে ২৮ আগস্ট ১০৫ টাকা ৭০ পয়সায় পৌঁছায়; বৃদ্ধি ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা বা প্রায় ১৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সমতা লেদার কমপ্লেক্সের দর ২৭ এপ্রিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সোমবার ১১৫ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল; পরে কিছুটা কমে এখন ১০৭ টাকা ৭০ পয়সা। সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের শেয়ারের দর ২২ জুন ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ হয় ২৮০ টাকা ৭০ পয়সা; মোট বৃদ্ধি ১৪৬ টাকা ৪০ পয়সা। ‘জেড’ ক্যাটাগরির দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলসের শেয়ার ২৩ জুন ৬৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১১৩ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠে; বর্তমানে কিছুটা কমে ১১২ টাকা ১০ পয়সা। মনোস্পুল বাংলাদেশের শেয়ার ২৮ মে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১২৪ টাকায় পৌঁছায়; বৃদ্ধি ৪৮ টাকা ৬০ পয়সা, এখন ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা। মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের শেয়ার ২৯ এপ্রিল ৬৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে রোববার ১১৪ টাকা (বৃদ্ধি ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা); সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১১০ টাকা ৭০ পয়সা। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার ১৫ মে ৯৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৪২ টাকা ৮০ পয়সা; বৃদ্ধি ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা।
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
১১ ঘণ্টা আগে