রোকন উদ্দীন, ঢাকা

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।
আমদানি বেড়েছে, বাজারেও প্রচুর
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুয়ায়ী, বছরে দেশে খেজুরের গড় চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে খেজুর আমদানি করা হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আমদানির তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন খেজুর বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে খালাস করা হয় ১১ হাজার ৭১৪ টন। সেই হিসাবে আমদানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাজারে গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা যায়, খেজুরের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বাজারে কিছু মৌসুমি ফলের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশি দামের আজওয়া, মরিয়ম, মাবরুমের পাশাপাশি কম দামি জাইদি (খোলা), জাইদি (কার্টন), দাব্বাসসহ কয়েক ধরনের খেজুরও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। শহরজুড়ে ফুটপাতেও খেজুর বিক্রি করছেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আমদানির তুলনায় খুচরা দাম চড়া
আমদানিকারকদের নিজেদের দেওয়া তথ্যমতেই, ভালো মানের আজওয়া, মরিয়মসহ উচ্চমূল্যের খেজুরের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি মাত্র ৩৯০-৪০০ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা শুল্ক যোগ করে আমদানি মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ৬০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি, এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কমিশন, পরিবহন ব্যয়, মজুরের খরচ, মুনাফা ইত্যাদি যোগ করে বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারগুলোতে খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি করে। অথচ রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে।
ভালো মান ও দামের খেজুরের ক্রেতারাই শুধু নন, ঠকছেন কম দামি সাধারণ খেজুর কেনা নিম্ন আয়ের ভোক্তারাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইরাকি জাইদিসহ অতি সাধারণ বা সাধারণ মানের খেজুরও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই খেজুরের আমদানি মূল্য ৮০-৯০ টাকা মাত্র। শুল্ক ও অন্যান্য খরচ যোগ করে তার পাইকারি বাজারের দামই ১২০-১৭০ টাকা।
দাব্বাসসহ মাঝারি মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্যসহ প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে। বাজারগুলোতে এই খেজুরেরই খুচরা দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

আশাভঙ্গ হওয়ায় হতাশ ক্রেতা
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে খেজুরে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতেই দাম বাড়তি। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা সামান্য মুনাফাতেই বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণেই খেজুরের দাম চড়া।
ক্রেতারা বলছেন, এবার সরকার শুল্কছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরকে সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে হারে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, সে হারে দাম কমেনি।
কিছুটা ভালো মানের খেজুরের খুচরা দাম পড়ছে প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে ভালো মানের খেজুরের খুচরা মূল্য দেড় হাজার টাকার ওপরে, যা গত বছরের প্রায় সমান। অথচ এবার দাম কমার কথা ছিল। এমন অবস্থা দেখে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে শুল্কছাড়ের সুবিধা কে পাচ্ছে?
রাজধানীর মানিকনগর বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। এক কেজি কেনার পরিকল্পনা থাকলেও দাম দেখে আধা কেজি কিনেই সন্তুষ্ট হতে হলো তাঁকে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আয়েশা বেগম বললেন, ‘গত বছর আজওয়া খেজুর কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা কেজি করে। এবার শুনেছিলাম দাম অনেকটা কম থাকবে। সেভাবেই টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু দাম দেখছি, গত বছরের চেয়ে মাত্র ১০০ টাকা কম।’
তিন বাজার ঘুরেও কম দামে পছন্দের খেজুর না পেয়ে আক্ষেপ করেন রামপুরা বাজারে আসা আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কছাড় দেওয়ার পরও দাম গত বছরের মতোই। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষ শুল্কছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে না। এসব দেখার কি কেউ নেই!’
পরস্পরকে দোষারোপ
ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আঙুল তুললেন খুচরা বিক্রেতাদের দিকে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। খরচ যোগ করে এটি ঠিকই আছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম। তবে এ দামে কিনে খুচরা বিক্রেতারা যদি কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করেন, তবে আমাদের কী করার থাকে? এটা দেখার দায়িত্ব তো সরকারের।’
শুল্কায়নের রকমফের
গত বছর খেজুরের দর রোজার শুরুতেই বেড়েছিল ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তখন যুক্তি হিসেবে শুল্কের হার ও শুল্কায়ন পদ্ধতি, এলসিতে শতভাগ মার্জিন আরোপ ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত রমজানে খেজুর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে শুল্কহার কমায় এনবিআর।
গত বছর তিনটি ধাপ বা ক্যাটাগরিতে শুল্ক মূল্য ধরা হয়। এর মধ্যে ভালো মানের খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতিটন ৪০০০ ডলার, মাঝারি মানের ২৫০০ ডলার ও নিম্ন মানের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার। এবার কমিয়ে প্রথম ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৩০৭৫ । দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তা ২৬০০, ২৩০০, ২২০০ ও ১০০০ ডলার। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৭০০ ডলার। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় কমেছে ২০০-২৫০ টাকা।
গত ২১ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয় ৫ শতাংশ আগাম কর। মোট করহার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়ায়।
সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি বাড়িয়ে খেজুরের দাম কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি এই উদ্যোগ।
‘দায়ী মনিটরিংয়ের অভাব’
খেজুরের বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য শক্ত মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রমজান এলে ব্যবসায়ীরা যত বেশি পারেন মুনাফা করতে চান। এটা মনিটরিংয়ের অভাবে হচ্ছে। যাঁরা মনিটরিং করবেন, তাঁরা এবার ব্যস্ত অন্য কাজে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে আর জেলা প্রশাসকেরা ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম রাখছেন।
আমদানিকারকদের ‘মিথ্যা ঘোষণাকেও’ দায়ী করলেন এই বাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন শুল্ক দেন, তখন কম মূল্য ঘোষণা করেন আর যখন বিক্রি করেন তখন বাড়তি দাম দেখান। এজন্য এনবিআরের উচিত কোন গ্রেডের খেজুরের দাম কত সে তথ্য প্রকাশ করা এবং সে অনুযায়ী বাজারে দাম ঠিক আছে কি না, তার নজরদারি করা।
আরও খবর পড়ুন:

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।
আমদানি বেড়েছে, বাজারেও প্রচুর
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুয়ায়ী, বছরে দেশে খেজুরের গড় চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে খেজুর আমদানি করা হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আমদানির তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন খেজুর বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে খালাস করা হয় ১১ হাজার ৭১৪ টন। সেই হিসাবে আমদানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাজারে গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা যায়, খেজুরের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বাজারে কিছু মৌসুমি ফলের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশি দামের আজওয়া, মরিয়ম, মাবরুমের পাশাপাশি কম দামি জাইদি (খোলা), জাইদি (কার্টন), দাব্বাসসহ কয়েক ধরনের খেজুরও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। শহরজুড়ে ফুটপাতেও খেজুর বিক্রি করছেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আমদানির তুলনায় খুচরা দাম চড়া
আমদানিকারকদের নিজেদের দেওয়া তথ্যমতেই, ভালো মানের আজওয়া, মরিয়মসহ উচ্চমূল্যের খেজুরের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি মাত্র ৩৯০-৪০০ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা শুল্ক যোগ করে আমদানি মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ৬০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি, এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কমিশন, পরিবহন ব্যয়, মজুরের খরচ, মুনাফা ইত্যাদি যোগ করে বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারগুলোতে খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি করে। অথচ রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে।
ভালো মান ও দামের খেজুরের ক্রেতারাই শুধু নন, ঠকছেন কম দামি সাধারণ খেজুর কেনা নিম্ন আয়ের ভোক্তারাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইরাকি জাইদিসহ অতি সাধারণ বা সাধারণ মানের খেজুরও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই খেজুরের আমদানি মূল্য ৮০-৯০ টাকা মাত্র। শুল্ক ও অন্যান্য খরচ যোগ করে তার পাইকারি বাজারের দামই ১২০-১৭০ টাকা।
দাব্বাসসহ মাঝারি মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্যসহ প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে। বাজারগুলোতে এই খেজুরেরই খুচরা দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

আশাভঙ্গ হওয়ায় হতাশ ক্রেতা
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে খেজুরে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতেই দাম বাড়তি। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা সামান্য মুনাফাতেই বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণেই খেজুরের দাম চড়া।
ক্রেতারা বলছেন, এবার সরকার শুল্কছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরকে সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে হারে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, সে হারে দাম কমেনি।
কিছুটা ভালো মানের খেজুরের খুচরা দাম পড়ছে প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে ভালো মানের খেজুরের খুচরা মূল্য দেড় হাজার টাকার ওপরে, যা গত বছরের প্রায় সমান। অথচ এবার দাম কমার কথা ছিল। এমন অবস্থা দেখে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে শুল্কছাড়ের সুবিধা কে পাচ্ছে?
রাজধানীর মানিকনগর বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। এক কেজি কেনার পরিকল্পনা থাকলেও দাম দেখে আধা কেজি কিনেই সন্তুষ্ট হতে হলো তাঁকে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আয়েশা বেগম বললেন, ‘গত বছর আজওয়া খেজুর কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা কেজি করে। এবার শুনেছিলাম দাম অনেকটা কম থাকবে। সেভাবেই টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু দাম দেখছি, গত বছরের চেয়ে মাত্র ১০০ টাকা কম।’
তিন বাজার ঘুরেও কম দামে পছন্দের খেজুর না পেয়ে আক্ষেপ করেন রামপুরা বাজারে আসা আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কছাড় দেওয়ার পরও দাম গত বছরের মতোই। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষ শুল্কছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে না। এসব দেখার কি কেউ নেই!’
পরস্পরকে দোষারোপ
ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আঙুল তুললেন খুচরা বিক্রেতাদের দিকে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। খরচ যোগ করে এটি ঠিকই আছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম। তবে এ দামে কিনে খুচরা বিক্রেতারা যদি কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করেন, তবে আমাদের কী করার থাকে? এটা দেখার দায়িত্ব তো সরকারের।’
শুল্কায়নের রকমফের
গত বছর খেজুরের দর রোজার শুরুতেই বেড়েছিল ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তখন যুক্তি হিসেবে শুল্কের হার ও শুল্কায়ন পদ্ধতি, এলসিতে শতভাগ মার্জিন আরোপ ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত রমজানে খেজুর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে শুল্কহার কমায় এনবিআর।
গত বছর তিনটি ধাপ বা ক্যাটাগরিতে শুল্ক মূল্য ধরা হয়। এর মধ্যে ভালো মানের খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতিটন ৪০০০ ডলার, মাঝারি মানের ২৫০০ ডলার ও নিম্ন মানের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার। এবার কমিয়ে প্রথম ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৩০৭৫ । দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তা ২৬০০, ২৩০০, ২২০০ ও ১০০০ ডলার। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৭০০ ডলার। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় কমেছে ২০০-২৫০ টাকা।
গত ২১ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয় ৫ শতাংশ আগাম কর। মোট করহার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়ায়।
সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি বাড়িয়ে খেজুরের দাম কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি এই উদ্যোগ।
‘দায়ী মনিটরিংয়ের অভাব’
খেজুরের বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য শক্ত মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রমজান এলে ব্যবসায়ীরা যত বেশি পারেন মুনাফা করতে চান। এটা মনিটরিংয়ের অভাবে হচ্ছে। যাঁরা মনিটরিং করবেন, তাঁরা এবার ব্যস্ত অন্য কাজে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে আর জেলা প্রশাসকেরা ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম রাখছেন।
আমদানিকারকদের ‘মিথ্যা ঘোষণাকেও’ দায়ী করলেন এই বাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন শুল্ক দেন, তখন কম মূল্য ঘোষণা করেন আর যখন বিক্রি করেন তখন বাড়তি দাম দেখান। এজন্য এনবিআরের উচিত কোন গ্রেডের খেজুরের দাম কত সে তথ্য প্রকাশ করা এবং সে অনুযায়ী বাজারে দাম ঠিক আছে কি না, তার নজরদারি করা।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৫ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে