জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর মূল্য হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার একটি শঙ্কা ছিল; তবে হয়েছে তার বিপরীত। সীমিত ওঠানামার মধ্যেও ব্যাংক ও খোলাবাজার—দুই স্তরেই লেনদেন বেশ স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন ব্যবস্থার আগে যেখানে দর ছিল ১২২ টাকার ঘরে, সেখানে গত ১১ দিনে সর্বোচ্চ মূল্য বেড়েছে মাত্র ৮৯ পয়সা। এ সময় ব্যাংক পর্যায়ে লেনদেন হয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৯ পয়সার মধ্যে। এতে একদিকে হঠাৎ করে চাপ তৈরির আশঙ্কা প্রশমিত হয়েছে, অন্যদিকে আন্তব্যাংক লেনদেনেও ফিরেছে স্বাভাবিকতা। ফলে বাজারনির্ভর দরের ওপর আস্থা বাড়তে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার ব্যাংকগুলোর কেনাবেচার রেট ছিল ১২২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৯ পয়সা। গড় দর দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৮৬ পয়সায়। তার আগের দিন শনিবার আন্তব্যাংক লেনদেন হয়েছে ৫০ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলারের, যার গড় দর ছিল ১২২ টাকা ৭৭ পয়সা। আর বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১১ মিলিয়ন ডলার—দর ছিল ১২২ টাকা ৫৪ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৬৪ পয়সা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, বাজারে আতঙ্ক নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর বাজারে হস্তক্ষেপ করছে না, ফলে দর নির্ধারিত হচ্ছে স্বাভাবিক চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। কারসাজির সুযোগ কমেছে, আর ডলার পাচারও কমছে। ফলে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।’
অন্যদিকে খোলাবাজারেও একই চিত্র। রোববার মানি চেঞ্জারদের ঘোষিত দর ছিল ১২৫ টাকা কেনা ও ১২৬ টাকা বিক্রি। তবে কার্যত ডলার কেনাবেচা হয়েছে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে। বাজার পর্যবেক্ষণ বলছে, ১৪ মে বাজারভিত্তিক দর ঘোষণার পর দুই দিনে দাম কিছুটা বাড়লেও নজরদারি জোরদার হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রকৌশলী গৌতম দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে ডলারের দাম খুব বেশি ওঠানামা করেনি। রোববার বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ ডলার, দর ছিল ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত।’
বাজার স্বাভাবিক থাকার পেছনে ব্যাংকগুলোর মজুতও বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে রয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। সেই সঙ্গে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেফারেন্স রেট ছিল ১২২ দশমিক ৬৯৮৮ টাকা এবং ১২২ দশমিক ৫২৭৭ টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম কমেছে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা নেমেছে। এখন ব্যাংকগুলোর হাতে পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে, তাই বাজারও স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সারা দেশে ডলার নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। অল্প কিছু ওঠানামা থাকলেও বাজার স্থিতিশীলভাবে চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ না করে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাজারভিত্তিক দরপত্রে জোগান ও চাহিদার ভারসাম্য ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ। আপাতত তা বজায় থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে নজরদারির ঘাটতি হলে বাজারে অস্থিরতা ফেরার ঝুঁকি রয়ে যায়।
বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর মূল্য হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার একটি শঙ্কা ছিল; তবে হয়েছে তার বিপরীত। সীমিত ওঠানামার মধ্যেও ব্যাংক ও খোলাবাজার—দুই স্তরেই লেনদেন বেশ স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন ব্যবস্থার আগে যেখানে দর ছিল ১২২ টাকার ঘরে, সেখানে গত ১১ দিনে সর্বোচ্চ মূল্য বেড়েছে মাত্র ৮৯ পয়সা। এ সময় ব্যাংক পর্যায়ে লেনদেন হয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৯ পয়সার মধ্যে। এতে একদিকে হঠাৎ করে চাপ তৈরির আশঙ্কা প্রশমিত হয়েছে, অন্যদিকে আন্তব্যাংক লেনদেনেও ফিরেছে স্বাভাবিকতা। ফলে বাজারনির্ভর দরের ওপর আস্থা বাড়তে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার ব্যাংকগুলোর কেনাবেচার রেট ছিল ১২২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৯ পয়সা। গড় দর দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৮৬ পয়সায়। তার আগের দিন শনিবার আন্তব্যাংক লেনদেন হয়েছে ৫০ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলারের, যার গড় দর ছিল ১২২ টাকা ৭৭ পয়সা। আর বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১১ মিলিয়ন ডলার—দর ছিল ১২২ টাকা ৫৪ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৬৪ পয়সা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, বাজারে আতঙ্ক নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর বাজারে হস্তক্ষেপ করছে না, ফলে দর নির্ধারিত হচ্ছে স্বাভাবিক চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। কারসাজির সুযোগ কমেছে, আর ডলার পাচারও কমছে। ফলে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।’
অন্যদিকে খোলাবাজারেও একই চিত্র। রোববার মানি চেঞ্জারদের ঘোষিত দর ছিল ১২৫ টাকা কেনা ও ১২৬ টাকা বিক্রি। তবে কার্যত ডলার কেনাবেচা হয়েছে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে। বাজার পর্যবেক্ষণ বলছে, ১৪ মে বাজারভিত্তিক দর ঘোষণার পর দুই দিনে দাম কিছুটা বাড়লেও নজরদারি জোরদার হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রকৌশলী গৌতম দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে ডলারের দাম খুব বেশি ওঠানামা করেনি। রোববার বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ ডলার, দর ছিল ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত।’
বাজার স্বাভাবিক থাকার পেছনে ব্যাংকগুলোর মজুতও বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে রয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। সেই সঙ্গে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেফারেন্স রেট ছিল ১২২ দশমিক ৬৯৮৮ টাকা এবং ১২২ দশমিক ৫২৭৭ টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম কমেছে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা নেমেছে। এখন ব্যাংকগুলোর হাতে পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে, তাই বাজারও স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সারা দেশে ডলার নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। অল্প কিছু ওঠানামা থাকলেও বাজার স্থিতিশীলভাবে চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ না করে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাজারভিত্তিক দরপত্রে জোগান ও চাহিদার ভারসাম্য ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ। আপাতত তা বজায় থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে নজরদারির ঘাটতি হলে বাজারে অস্থিরতা ফেরার ঝুঁকি রয়ে যায়।
বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা নিয়ে বরাবরই সমালোচনা করে আসছেন বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। নানা সমালোচনার মধ্যেই এবার বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ঢালাওভাবে সব খাতে নয়; স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস ও জমি কেনার ক্ষেত্রে এই সুযোগ
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন কোরবানির ঈদে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা এবং ছাগলে ২ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি ঢাকায় ছোট গরুর একটি চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫০ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেচামড়াশিল্পের কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, এই শিল্প এখন পর্যন্ত নানা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় নীতিগত সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাই দ্রুত এই শিল্পকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ (বি-স্ট্রং) বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগে