Ajker Patrika

ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন চালু করল বিমান

ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন চালু করল বিমান

জার্মানির লুফথানাসা সিস্টেমের বিশ্বখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন ‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আজ মঙ্গলবার বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় জার্মান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ সফটওয়্যারটির একটি সম্পূর্ণ ডিসপ্যাচ ব্যবস্থা, এর মাধ্যমে নিখুঁত এবং সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যানিং করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ফ্লাইট প্ল্যান করা এবং যে সমস্ত দেশের ওপর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে সে সকল দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিটকে অবহিত করা বাধ্যতামূলক।

ফ্লাইট প্ল্যান করার ক্ষেত্রে অন্যতম বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে—গন্তব্যের দূরত্ব, উড়োজাহাজের গতিবেগ, আবহাওয়ার অবস্থা, গন্তব্যের আবহাওয়ার অবনতি বা জরুরি অবস্থায় সম্ভাব্য বিকল্প গন্তব্য নির্ধারণ, জ্বালানি তেলের পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদি।

এ ছাড়াও কোন পথে এবং কোন উচ্চতায় ফ্লাই করলে সবচেয়ে কম জ্বালানি খরচ হবে; কোন দেশের ওপর দিয়ে ফ্লাই করলে ওভারফ্লাই চার্জ কম লাগবে; যে এয়ারপোর্ট ব্যবহার করা হবে তা সংশ্লিষ্ট এয়ারক্রাফটের জন্য ব্যবহার উপযোগী কি না; কোনো সাইক্লোন বা অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বাজে আবহাওয়া বিরাজ করছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার নাম হলো ফ্লাইট ডিসপ্যাচ। যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই কাজগুলো করা হয় সেটাই ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দীর্ঘদিন সিটা ফ্লাইট প্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করে আসছিল। সিটার পর সাময়িকভাবে কিছুদিন স্কাই প্ল্যান সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইনসের রূপান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে লুফথানাসা সিস্টেমের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশনকে বেছে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, লুফথানাসা সিস্টেমের ‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন বিখ্যাত এয়ারলাইনসমূহ ব্যবহার করে। যেমন—কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইনস, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ইত্যাদি।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বলেন, বিমানকে স্মার্ট এয়ারলাইনস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে বিখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন ‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা অত্যন্ত নিখুঁত, সুরক্ষিত এবং সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যান করতে পারব। এ ছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিকল্প পন্থা অবলম্বনেও সহযোগিতা পাওয়া যাবে। ফ্লাইট আকাশে চলাকালীন লাইভ মনিটরিং, সবচেয়ে কম খরচের যাত্রা পথ নির্ধারণ এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ ফ্লাইটের জন্য নিখুঁত পারফরম্যান্স হিসাব করা সম্ভব হবে।

‘লিডো ফ্লাইট ৪ ডি’ ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে আনুমানিক ২০ কোটি টাকার অধিক সাশ্রয় হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসই একমাত্র বিখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশনটি ব্যবহার করছে।

অনুষ্ঠানে লুফথানাসা সিস্টেমের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিইও জনাব টম ভ্যানড্যানডিল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত