রেজাউর রহিম, ঢাকা
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। কোভিড মহামারির মধ্যেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে সবার ওপরে থাকা নিঃসন্দেহে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’।
তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে জিডিপি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশটিকে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ও দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছিল। সেই দেশ যখন নানা আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে উন্নয়নের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, গত ৫০ বছরে সেটি কম অর্জন নয়। মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তি, সামাজিক সুরক্ষা সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
কৃষিতে দারুণ অগ্রগতি, শিল্প খাতের অবদানে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, করোনার দুঃসময়েও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখাকে বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভেও রেকর্ড হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতাও উল্লেখ করার মতো। ব্যাংকিং সেবার পরিধি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও বিস্তৃত হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা চলে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায়।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশ কৃষি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মাইলফলক।
তবে দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।’
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘যে বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫০ বছর পর এসে সেসব বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনের দিনগুলোতে এ বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয়সহ দিন দিন বেড়ে চলা আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এ রাজনীতিক বলেন, বেকারত্ব দূর করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মৌলিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করাও ভবিষ্যতের আরেক চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন বাঙালি-বাঙালির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডেভেলপমেন্টের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে গতিশীলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তার সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হলে তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। পাশাপাশি সামাজিক সমতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করা জরুরি।’
এদিকে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি), ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) সহ বিদ্যমান বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা সীমিত হয়ে আসতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ১০০-র অধিক দেশে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানি করছে। তবে অধিকাংশ ওষুধের পেটেন্ট বিদেশিদের। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিদেশিদের পেটেন্ট করা ওষুধ উৎপাদন করতে হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। এ জন্য রপ্তানি খাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এলডিসি স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের (এসঅ্যান্ডডিটি) আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পায়। এ চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব অধিকারে (ট্রিপস) এলডিসিগুলো বিশেষ ছাড় পায়। এ কারণে বিদেশি পেটেন্ট পাওয়া পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া ২০৩২ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এসব সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, দক্ষতার উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ, দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও বিস্তৃত করতে হবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অংশীদারি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, তা মোকাবিলা করতে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক ঋণের উৎস খুঁজতে হবে। কারণ এ সময় বাংলাদেশ এখনকার মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না।
আর প্রস্তুতির সময়টাতে বাংলাদেশের জন্য ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা লাভের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশগত সুরক্ষা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে বিভিন্ন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।’
এদিকে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করত, এখন সে অনুপাত ৬২ শতাংশ। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হওয়ায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১৭ মিনিট আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
৫ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
৫ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ১টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
সোনা-রুপা ব্যবসায়ী তাই ওয়ং রয়টার্সকে বলেন, ‘দরপতন শুরুর পর গতকাল পর্যন্তও ক্রেতারা সোনা কিনছিলেন, কিন্তু এখন বাজারে দরপতনের অতি অস্থিরতা সতর্কবার্তা দিচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্প মেয়াদে মুনাফা তুলতে উৎসাহিত হচ্ছেন।’
ডলার সূচক ০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ এক নোটে লিখেছেন, সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনা ও রুপার চাহিদা কিছুটা কমেছে।
সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলমান মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার ফলে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহে সোনার দাম স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভার বা রুপার দাম ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৪৯ ডলারে নেমে গেছে।
তাই ওয়ং বলেন, আজ রুপা ভয়াবহভাবে হোঁচট খেয়েছে এবং পুরো বাজারকেই নিচে নামিয়েছে। স্বল্প মেয়াদে রুপার দাম রেকর্ড ৫৪ ডলারে পৌঁছেছিল, আর এখন ৫০ ডলারের নিচে। তাই সোনার দাম স্থিতিশীল থাকলে রুপার বাজারেও বড় ধরনের অস্থিরতা চলমান থাকবে।
অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৪১ দশমিক ৮৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১৭ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন শুক্রবার প্রকাশিতব্য সেপ্টেম্বরের মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) জন্য। মার্কিন সরকার অচল থাকায় এটি প্রকাশে বিলম্বিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বার্ষিক ৩ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে।
মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ১টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
সোনা-রুপা ব্যবসায়ী তাই ওয়ং রয়টার্সকে বলেন, ‘দরপতন শুরুর পর গতকাল পর্যন্তও ক্রেতারা সোনা কিনছিলেন, কিন্তু এখন বাজারে দরপতনের অতি অস্থিরতা সতর্কবার্তা দিচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্প মেয়াদে মুনাফা তুলতে উৎসাহিত হচ্ছেন।’
ডলার সূচক ০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ এক নোটে লিখেছেন, সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনা ও রুপার চাহিদা কিছুটা কমেছে।
সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলমান মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার ফলে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহে সোনার দাম স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভার বা রুপার দাম ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৪৯ ডলারে নেমে গেছে।
তাই ওয়ং বলেন, আজ রুপা ভয়াবহভাবে হোঁচট খেয়েছে এবং পুরো বাজারকেই নিচে নামিয়েছে। স্বল্প মেয়াদে রুপার দাম রেকর্ড ৫৪ ডলারে পৌঁছেছিল, আর এখন ৫০ ডলারের নিচে। তাই সোনার দাম স্থিতিশীল থাকলে রুপার বাজারেও বড় ধরনের অস্থিরতা চলমান থাকবে।
অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৪১ দশমিক ৮৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১৭ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন শুক্রবার প্রকাশিতব্য সেপ্টেম্বরের মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) জন্য। মার্কিন সরকার অচল থাকায় এটি প্রকাশে বিলম্বিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বার্ষিক ৩ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে।
দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১৭ মিনিট আগেমিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
৫ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ওই বিনিয়োগের অর্থ ফেরাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের ১০০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে। একই সঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডের (বর্তমানে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড) ৫১ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হলেও ২৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা দরে কেনা হয়।
বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কোম্পানির প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৪ পয়সা এবং রিটেইন আর্নিংস ঋণাত্মক ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত)। ওই সময় ডিএসইর ওটিসি প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।
১ কোটি টাকা করে জরিমানা
বিএসইসি বলেছে, বিনিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন প্রকাশ না করা, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) না করা ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ার লক–ইন না করা—এসব সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রিয়াজ ইসলাম, চেয়ারম্যান ও গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগ, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসান, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক মেদিনা আলী, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক সৈয়দ কামরুল হুদা এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক মো. ওমর সোব চৌধুরী।
বিনিয়োগ ফেরাতে ব্যর্থ হলে শতকোটি টাকা জরিমানা
বিএসইসি জানিয়েছে, এই ছয় ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সুদসহ মোট ৯০ কোটি টাকা ৩০ দিনের মধ্যে ফান্ডগুলোতে ফেরত আনতে হবে। এই অর্থ ফেরতের জন্য এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত না এলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা, পরিচালক জর্জ এম স্টক থ্রিকে ১ কোটি টাকা, পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগকে ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ মোট জরিমানা ধার্য করা হবে ১০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর বিধান লঙ্ঘন করে লোকসানি ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিতে বিনিয়োগের ফলে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ায় জনস্বার্থে ছয়টি ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
ফান্ডগুলোর যথাযথ তদারকিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিজিআইসি) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগকে ১০ লাখ টাকা এবং একই সময়ে তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি করার কারণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ৫২ টাকা ২৫ পয়সা দরে মোট ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগের শেয়ার মূল্যায়ন করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।
তদন্তে দেখা গেছে, এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন ও রিয়াজ ইসলামের মধ্যে যোগসাজশের ভিত্তিতে শেয়ার মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ওই বিনিয়োগের অর্থ ফেরাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের ১০০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে। একই সঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডের (বর্তমানে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড) ৫১ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হলেও ২৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা দরে কেনা হয়।
বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কোম্পানির প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৪ পয়সা এবং রিটেইন আর্নিংস ঋণাত্মক ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত)। ওই সময় ডিএসইর ওটিসি প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।
১ কোটি টাকা করে জরিমানা
বিএসইসি বলেছে, বিনিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন প্রকাশ না করা, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) না করা ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ার লক–ইন না করা—এসব সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রিয়াজ ইসলাম, চেয়ারম্যান ও গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগ, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসান, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক মেদিনা আলী, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক সৈয়দ কামরুল হুদা এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক মো. ওমর সোব চৌধুরী।
বিনিয়োগ ফেরাতে ব্যর্থ হলে শতকোটি টাকা জরিমানা
বিএসইসি জানিয়েছে, এই ছয় ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সুদসহ মোট ৯০ কোটি টাকা ৩০ দিনের মধ্যে ফান্ডগুলোতে ফেরত আনতে হবে। এই অর্থ ফেরতের জন্য এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত না এলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা, পরিচালক জর্জ এম স্টক থ্রিকে ১ কোটি টাকা, পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগকে ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ মোট জরিমানা ধার্য করা হবে ১০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর বিধান লঙ্ঘন করে লোকসানি ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিতে বিনিয়োগের ফলে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ায় জনস্বার্থে ছয়টি ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
ফান্ডগুলোর যথাযথ তদারকিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিজিআইসি) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগকে ১০ লাখ টাকা এবং একই সময়ে তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি করার কারণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ৫২ টাকা ২৫ পয়সা দরে মোট ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগের শেয়ার মূল্যায়ন করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।
তদন্তে দেখা গেছে, এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন ও রিয়াজ ইসলামের মধ্যে যোগসাজশের ভিত্তিতে শেয়ার মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১৭ মিনিট আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে বিনিয়োগ ও কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের মূলধন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় অনৈতিক যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে বিনিয়োগ ও কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের মূলধন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় অনৈতিক যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশে মারাত্মকভাবে আয়বৈষম্য বেড়েছে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আয়বৈষম্য দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আর শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়েই একটি দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।
১৬ ডিসেম্বর ২০২১চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১৭ মিনিট আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
৫ ঘণ্টা আগে