বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যকার যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোগ হলো বিবিআইএন। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার এক দশকের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু বিবিআইএন চুক্তির বাস্তবিক কার্যকারিতা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। বরং আস্থাহীনতার কারণে বিবিআইএন থেকে ভুটান নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অভিন্ন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল মিলে গঠন করে বিআইএন প্ল্যাটফর্ম। শেষ উদ্যোগটিও দেশগুলোর মধ্যে খুব একটা সুফল বয়ে আনছে না। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওই লক্ষ্য প্রায় অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের অংশীদারত্বে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক অবদান কমে যাওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করেছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি)। এই বাস্তবতায় আঞ্চলিক দেশগুলোর বাণিজ্য বৃদ্ধি, যোগাযোগ উন্নয়ন ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে সেই পুরোনো উদ্যোগ ভুটানকে ফের সঙ্গে নিয়ে বিবিআইএন চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে যেতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি পরামর্শ দিয়েছে আইসিসিবি। দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লজিস্টিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় বিবিআইএন উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল। যার মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সীমান্ত পেরিয়ে পণ্য ও সেবার আদান-প্রদান সহজ করা। লজিস্টিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশগুলোর পরিবহন খরচ এবং যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনা। যার মাধ্যমে উন্নত সংযোগ-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আঞ্চলিক পর্যটন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক হতো। সর্বোপরি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা সম্ভব ছিল। কিন্তু ভুটান পরিবেশগত উদ্বেগ এবং অবকাঠামোগত সমস্যার কথা জানিয়ে সেই চুক্তি এখনো অনুমোদন করেনি।
যদিও বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছাতে ভুটান এবং নেপালের মতো স্থলবেষ্টিত দেশের জন্য, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হতে হয়। সেই নির্ভরতাকে অধিকারে পরিণত করতে বিবিআইএন বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প সময়ের বিবেচনায় আর নেই। অবশ্য আইসিসিবি প্রতিবেদনে আশাবাদের কথাও জানানো হয়। উল্লেখ করা হয়, ভুটান সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে, এটা ইঙ্গিত দেয় তারা হয়তো আবারও বিবিআইএন উদ্যোগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হতে পারে। সেটি ঘটলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটা ইতিবাচক বার্তা।
আইসিসিবির প্রতিবেদনে বিবিআইএন উদ্যোগের একটি প্রধান অংশ হিসেবে বিবিআইএন মোটর যানবাহন চুক্তিকেই (এমভিএ) বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, এতে সীমান্ত পেরিয়ে যানবাহনের চলাচল সহজ হবে। বাণিজ্যের পথে থাকা বড় বড় বাধা, যেমন জটিল সীমান্ত পরীক্ষা ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাস্টমস প্রক্রিয়া দূর হবে। যার ঘাটতি চলমান বাণিজ্য দক্ষতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আইসিসিবি অভিমত প্রকাশ করে প্রতিবেদনে জানায়, বিবিআইএন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হয়ে উঠতে পারে এবং একই সঙ্গে ভুটান ও নেপালের জন্য উন্নত বন্দর সুবিধা প্রদান করতে পারে। যদি এই অঞ্চলে সংহতি ঘটে, তাহলে সিইউটিএস ইন্টারন্যাশনালের পূর্বানুমান অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের সম্মিলিত জিডিপি ৮ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এর জন্য অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বিবিআইএন এবং এমভিএ চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব দেশেরই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যকার যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোগ হলো বিবিআইএন। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ার এক দশকের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু বিবিআইএন চুক্তির বাস্তবিক কার্যকারিতা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। বরং আস্থাহীনতার কারণে বিবিআইএন থেকে ভুটান নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অভিন্ন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল মিলে গঠন করে বিআইএন প্ল্যাটফর্ম। শেষ উদ্যোগটিও দেশগুলোর মধ্যে খুব একটা সুফল বয়ে আনছে না। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওই লক্ষ্য প্রায় অধরাই থেকে যাচ্ছে।
এতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের অংশীদারত্বে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক অবদান কমে যাওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করেছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি)। এই বাস্তবতায় আঞ্চলিক দেশগুলোর বাণিজ্য বৃদ্ধি, যোগাযোগ উন্নয়ন ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে সেই পুরোনো উদ্যোগ ভুটানকে ফের সঙ্গে নিয়ে বিবিআইএন চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে যেতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি পরামর্শ দিয়েছে আইসিসিবি। দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লজিস্টিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় বিবিআইএন উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল। যার মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সীমান্ত পেরিয়ে পণ্য ও সেবার আদান-প্রদান সহজ করা। লজিস্টিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশগুলোর পরিবহন খরচ এবং যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনা। যার মাধ্যমে উন্নত সংযোগ-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আঞ্চলিক পর্যটন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক হতো। সর্বোপরি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা সম্ভব ছিল। কিন্তু ভুটান পরিবেশগত উদ্বেগ এবং অবকাঠামোগত সমস্যার কথা জানিয়ে সেই চুক্তি এখনো অনুমোদন করেনি।
যদিও বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছাতে ভুটান এবং নেপালের মতো স্থলবেষ্টিত দেশের জন্য, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হতে হয়। সেই নির্ভরতাকে অধিকারে পরিণত করতে বিবিআইএন বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প সময়ের বিবেচনায় আর নেই। অবশ্য আইসিসিবি প্রতিবেদনে আশাবাদের কথাও জানানো হয়। উল্লেখ করা হয়, ভুটান সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে, এটা ইঙ্গিত দেয় তারা হয়তো আবারও বিবিআইএন উদ্যোগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হতে পারে। সেটি ঘটলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটা ইতিবাচক বার্তা।
আইসিসিবির প্রতিবেদনে বিবিআইএন উদ্যোগের একটি প্রধান অংশ হিসেবে বিবিআইএন মোটর যানবাহন চুক্তিকেই (এমভিএ) বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, এতে সীমান্ত পেরিয়ে যানবাহনের চলাচল সহজ হবে। বাণিজ্যের পথে থাকা বড় বড় বাধা, যেমন জটিল সীমান্ত পরীক্ষা ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাস্টমস প্রক্রিয়া দূর হবে। যার ঘাটতি চলমান বাণিজ্য দক্ষতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আইসিসিবি অভিমত প্রকাশ করে প্রতিবেদনে জানায়, বিবিআইএন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হয়ে উঠতে পারে এবং একই সঙ্গে ভুটান ও নেপালের জন্য উন্নত বন্দর সুবিধা প্রদান করতে পারে। যদি এই অঞ্চলে সংহতি ঘটে, তাহলে সিইউটিএস ইন্টারন্যাশনালের পূর্বানুমান অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের সম্মিলিত জিডিপি ৮ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এর জন্য অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বিবিআইএন এবং এমভিএ চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব দেশেরই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
২১ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
২১ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
২১ ঘণ্টা আগে