Ajker Patrika

ব্রোকারেজ হাউসে সমন্বিত সফটওয়্যার চালুর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্রোকারেজ হাউসে সমন্বিত সফটওয়্যার চালুর নির্দেশ

ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব সংরক্ষণ করা হয়। অতীতে এই সফটওয়্যারের অপব্যবহার করে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর শেয়ার ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় আগামী বছরের মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ‘আনএডিটেবল ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’। 

ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাবে কোনো গরমিল না হয়, সে জন্য এই সমন্বিত সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গত সোমবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত সব ব্রোকারেজ হাউসকে এ সমন্বিত সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া চলতি বছরের মধ্যে সমন্বিত এ সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরির জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ওই নীতিমালার আলোকে এ বছরের মধ্যে সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে বলা হয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে। অর্থাৎ স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সরবরাহকারীদের কাছ থেকেই সমন্বিত এ সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে। 

তবে যেসব ব্রোকারেজ হাউস এরই মধ্যে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলেছে, সেসব ব্রোকারেজ হাউসকে স্টক এক্সচেঞ্জের তৈরি করা নীতিমালা মেনে ওই সফটওয়্যারের বিপরীতে সনদ নিতে হবে। অর্থাৎ স্টক এক্সচেঞ্জের সনদপ্রাপ্ত ব্যাক অফিস সফটওয়্যারই ব্যবহার করতে হবে সব ব্রোকারেজ হাউসকে। 

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি চালু হলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর অনিয়ম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে যে কোনো উদ্যোগকেই স্বাগত জানাই। তবে সফটওয়্যারে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ইনপুট হলে তা সংশোধনের সুযোগ থাকতে হবে। 

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমন্বিত সফটওয়্যার চালু হলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে অনিয়ম কমে আসবে। কারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্রোকারেজ হাউস এ সফটওয়্যারের কোনো তথ্য বা ডেটা পরিবর্তন বা মুছে ফেলতে পারবে না। আবার এ সফটওয়্যারের পাসওয়ার্ডও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর হাতে রাখা হবে না। পদ্ধতি মেনে ভুল তথ্য ইনপুট হলে তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে। তবে সেটিরও রেকর্ড থাকবে, যা আগে ছিল না।’ 
 
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এনলিস্ট করব এবং পারফরম্যান্স টেস্ট করে তাদের অনুমোদন দেব। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজ শুরু হয়েছে। যারা আগে থেকেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তাদের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে বা নতুন সফটওয়্যার নিতে হবে।’ 

এর জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য হবে কিনা তা এই মুহূর্তে পরিষ্কারভাবে বলতে পারেননি গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই কথাটা এখনো জানি না। আমরা চিন্তা করছি, আমাদের কাছে যারা আবেদন করবে, তাদের যোগ্যতা দেখে এনলিস্ট করে ফেলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত