নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না। তাঁদের মতে, শর্তটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কর সুবিধা গ্রহণে গুরুতর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমসিসিআই দাবি করেছে, ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে কর কমানোর সুযোগ পান, সে জন্য কোম্পানির করহারে নগদ লেনদেনের শর্তটি দ্রুত বাতিল করা উচিত।
অপর দিকে করপোরেট করহার গত ৫ বছরে প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা হলেও বাস্তবে কার্যকর করহার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটি আরও বলেছে, এই করছাড় পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণ করা কঠিন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় শীর্ষ ব্যবসায় সংগঠন দুটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে এবং কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি জানায়।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান রাজস্ব নীতিমালায় বিদ্যমান বিভিন্ন অসংগতি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, যাতে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, গত কয়েক বছরে করপোরেট করহার কমানো হলেও ২০২৪ সালের অর্থ আইনে নগদ লেনদেনের শর্ত যোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উচ্চ করহার ব্যবসায়িক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং কোম্পানিগুলোর জন্য তা আর্থিক বোঝা হয়ে উঠছে।
এমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, করপোরেট করহার কমানোর পাশাপাশি অগ্রিম আয়কর ও টার্নওভার কর নীতির সংস্কারও জরুরি। তিনি দাবি করেছেন, কর সংগ্রহের নীতি আয়ভিত্তিক হওয়া উচিত, অর্থাৎ কোম্পানির প্রকৃত আয়ের ওপর কর নির্ধারণ করা উচিত, টার্নওভারের ওপর নয়। এতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকৃত আয় অনুযায়ী কর দেবেন এবং এটি ব্যবসায়িক পরিবেশে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা আনবে।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ২৬৪ ধারা অনুসারে ৪৫টি ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক করা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, শর্তটি ব্যবসার সক্ষমতা হ্রাস করছে এবং সহজীকরণের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। পিএসআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল করছে এবং কর-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহকে অযৌক্তিক বানাচ্ছে। তা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও হালনাগাদকৃত পিএসআর দাখিলের বিধান বাস্তবসম্মত নয়।
ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ট্যাক্সেশন বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত কীভাবে আরও বেশি প্রত্যক্ষ কর (ডিরেক্ট ট্যাক্স) আদায় করা যায়। পাশাপাশি কর ব্যবস্থাটি আরও সমন্বিত ও ব্যাপকভাবে সাজানো দরকার, যাতে তা কার্যকর ও সুষম হয়। এ সময় ফিকির পক্ষে কনসালট্যান্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, গত ৫ বছরে করপোরেট করহার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, বাস্তবে কার্যকর করহার অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ হয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণের অসুবিধার কারণে এই করছাড় পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন এবং নগদে লেনদেন ছাড়া বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি সুপারিশ করেন, বিক্রির একটি অংশে শর্তগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হলে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি সুবিধাজনক হবে।
স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আড়াই শতাংশ করছাড় পেতে হলে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। তবে অনেক কোম্পানি আগে আইপিও করেছে এবং তখন তারা ৫-১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, তাদের জন্য এই শর্ত পূরণ করা কঠিন। স্নেহাশীষ সুপারিশ করেন, যদি আইনে একটি প্রভিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে শেয়ার ছাড়তে চাওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য বিষয়টি সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় এখনো প্রয়োজনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি এবং তাঁদের পরামর্শ অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতিফলন ও সদিচ্ছা দেখা যাবে, তবে কিছু সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব নয়। ভ্যাট আদায়, চালান ইস্যু, হিসাবরক্ষণ ও রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি ‘ন্যাশনাল সিস্টেম’ চালু করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা একক সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাটের সব কাজ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা একমত হন, তবে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, তবে তা একক হার হিসেবে হবে এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে, যাতে বিভিন্ন হারের প্রয়োগ বন্ধ হয়।

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না। তাঁদের মতে, শর্তটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কর সুবিধা গ্রহণে গুরুতর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমসিসিআই দাবি করেছে, ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে কর কমানোর সুযোগ পান, সে জন্য কোম্পানির করহারে নগদ লেনদেনের শর্তটি দ্রুত বাতিল করা উচিত।
অপর দিকে করপোরেট করহার গত ৫ বছরে প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা হলেও বাস্তবে কার্যকর করহার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটি আরও বলেছে, এই করছাড় পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণ করা কঠিন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় শীর্ষ ব্যবসায় সংগঠন দুটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে এবং কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি জানায়।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান রাজস্ব নীতিমালায় বিদ্যমান বিভিন্ন অসংগতি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, যাতে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, গত কয়েক বছরে করপোরেট করহার কমানো হলেও ২০২৪ সালের অর্থ আইনে নগদ লেনদেনের শর্ত যোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উচ্চ করহার ব্যবসায়িক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং কোম্পানিগুলোর জন্য তা আর্থিক বোঝা হয়ে উঠছে।
এমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, করপোরেট করহার কমানোর পাশাপাশি অগ্রিম আয়কর ও টার্নওভার কর নীতির সংস্কারও জরুরি। তিনি দাবি করেছেন, কর সংগ্রহের নীতি আয়ভিত্তিক হওয়া উচিত, অর্থাৎ কোম্পানির প্রকৃত আয়ের ওপর কর নির্ধারণ করা উচিত, টার্নওভারের ওপর নয়। এতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকৃত আয় অনুযায়ী কর দেবেন এবং এটি ব্যবসায়িক পরিবেশে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা আনবে।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ২৬৪ ধারা অনুসারে ৪৫টি ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক করা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, শর্তটি ব্যবসার সক্ষমতা হ্রাস করছে এবং সহজীকরণের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। পিএসআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল করছে এবং কর-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহকে অযৌক্তিক বানাচ্ছে। তা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও হালনাগাদকৃত পিএসআর দাখিলের বিধান বাস্তবসম্মত নয়।
ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ট্যাক্সেশন বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত কীভাবে আরও বেশি প্রত্যক্ষ কর (ডিরেক্ট ট্যাক্স) আদায় করা যায়। পাশাপাশি কর ব্যবস্থাটি আরও সমন্বিত ও ব্যাপকভাবে সাজানো দরকার, যাতে তা কার্যকর ও সুষম হয়। এ সময় ফিকির পক্ষে কনসালট্যান্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, গত ৫ বছরে করপোরেট করহার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, বাস্তবে কার্যকর করহার অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ হয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণের অসুবিধার কারণে এই করছাড় পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন এবং নগদে লেনদেন ছাড়া বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি সুপারিশ করেন, বিক্রির একটি অংশে শর্তগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হলে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি সুবিধাজনক হবে।
স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আড়াই শতাংশ করছাড় পেতে হলে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। তবে অনেক কোম্পানি আগে আইপিও করেছে এবং তখন তারা ৫-১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, তাদের জন্য এই শর্ত পূরণ করা কঠিন। স্নেহাশীষ সুপারিশ করেন, যদি আইনে একটি প্রভিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে শেয়ার ছাড়তে চাওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য বিষয়টি সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় এখনো প্রয়োজনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি এবং তাঁদের পরামর্শ অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতিফলন ও সদিচ্ছা দেখা যাবে, তবে কিছু সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব নয়। ভ্যাট আদায়, চালান ইস্যু, হিসাবরক্ষণ ও রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি ‘ন্যাশনাল সিস্টেম’ চালু করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা একক সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাটের সব কাজ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা একমত হন, তবে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, তবে তা একক হার হিসেবে হবে এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে, যাতে বিভিন্ন হারের প্রয়োগ বন্ধ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না। তাঁদের মতে, শর্তটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কর সুবিধা গ্রহণে গুরুতর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমসিসিআই দাবি করেছে, ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে কর কমানোর সুযোগ পান, সে জন্য কোম্পানির করহারে নগদ লেনদেনের শর্তটি দ্রুত বাতিল করা উচিত।
অপর দিকে করপোরেট করহার গত ৫ বছরে প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা হলেও বাস্তবে কার্যকর করহার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটি আরও বলেছে, এই করছাড় পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণ করা কঠিন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় শীর্ষ ব্যবসায় সংগঠন দুটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে এবং কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি জানায়।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান রাজস্ব নীতিমালায় বিদ্যমান বিভিন্ন অসংগতি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, যাতে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, গত কয়েক বছরে করপোরেট করহার কমানো হলেও ২০২৪ সালের অর্থ আইনে নগদ লেনদেনের শর্ত যোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উচ্চ করহার ব্যবসায়িক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং কোম্পানিগুলোর জন্য তা আর্থিক বোঝা হয়ে উঠছে।
এমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, করপোরেট করহার কমানোর পাশাপাশি অগ্রিম আয়কর ও টার্নওভার কর নীতির সংস্কারও জরুরি। তিনি দাবি করেছেন, কর সংগ্রহের নীতি আয়ভিত্তিক হওয়া উচিত, অর্থাৎ কোম্পানির প্রকৃত আয়ের ওপর কর নির্ধারণ করা উচিত, টার্নওভারের ওপর নয়। এতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকৃত আয় অনুযায়ী কর দেবেন এবং এটি ব্যবসায়িক পরিবেশে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা আনবে।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ২৬৪ ধারা অনুসারে ৪৫টি ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক করা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, শর্তটি ব্যবসার সক্ষমতা হ্রাস করছে এবং সহজীকরণের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। পিএসআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল করছে এবং কর-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহকে অযৌক্তিক বানাচ্ছে। তা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও হালনাগাদকৃত পিএসআর দাখিলের বিধান বাস্তবসম্মত নয়।
ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ট্যাক্সেশন বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত কীভাবে আরও বেশি প্রত্যক্ষ কর (ডিরেক্ট ট্যাক্স) আদায় করা যায়। পাশাপাশি কর ব্যবস্থাটি আরও সমন্বিত ও ব্যাপকভাবে সাজানো দরকার, যাতে তা কার্যকর ও সুষম হয়। এ সময় ফিকির পক্ষে কনসালট্যান্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, গত ৫ বছরে করপোরেট করহার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, বাস্তবে কার্যকর করহার অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ হয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণের অসুবিধার কারণে এই করছাড় পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন এবং নগদে লেনদেন ছাড়া বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি সুপারিশ করেন, বিক্রির একটি অংশে শর্তগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হলে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি সুবিধাজনক হবে।
স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আড়াই শতাংশ করছাড় পেতে হলে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। তবে অনেক কোম্পানি আগে আইপিও করেছে এবং তখন তারা ৫-১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, তাদের জন্য এই শর্ত পূরণ করা কঠিন। স্নেহাশীষ সুপারিশ করেন, যদি আইনে একটি প্রভিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে শেয়ার ছাড়তে চাওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য বিষয়টি সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় এখনো প্রয়োজনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি এবং তাঁদের পরামর্শ অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতিফলন ও সদিচ্ছা দেখা যাবে, তবে কিছু সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব নয়। ভ্যাট আদায়, চালান ইস্যু, হিসাবরক্ষণ ও রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি ‘ন্যাশনাল সিস্টেম’ চালু করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা একক সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাটের সব কাজ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা একমত হন, তবে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, তবে তা একক হার হিসেবে হবে এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে, যাতে বিভিন্ন হারের প্রয়োগ বন্ধ হয়।

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না। তাঁদের মতে, শর্তটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং কর সুবিধা গ্রহণে গুরুতর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমসিসিআই দাবি করেছে, ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে কর কমানোর সুযোগ পান, সে জন্য কোম্পানির করহারে নগদ লেনদেনের শর্তটি দ্রুত বাতিল করা উচিত।
অপর দিকে করপোরেট করহার গত ৫ বছরে প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনা হলেও বাস্তবে কার্যকর করহার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটি আরও বলেছে, এই করছাড় পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণ করা কঠিন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় শীর্ষ ব্যবসায় সংগঠন দুটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে এবং কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি জানায়।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান রাজস্ব নীতিমালায় বিদ্যমান বিভিন্ন অসংগতি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, যাতে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, গত কয়েক বছরে করপোরেট করহার কমানো হলেও ২০২৪ সালের অর্থ আইনে নগদ লেনদেনের শর্ত যোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের উচ্চ করহার ব্যবসায়িক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং কোম্পানিগুলোর জন্য তা আর্থিক বোঝা হয়ে উঠছে।
এমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, করপোরেট করহার কমানোর পাশাপাশি অগ্রিম আয়কর ও টার্নওভার কর নীতির সংস্কারও জরুরি। তিনি দাবি করেছেন, কর সংগ্রহের নীতি আয়ভিত্তিক হওয়া উচিত, অর্থাৎ কোম্পানির প্রকৃত আয়ের ওপর কর নির্ধারণ করা উচিত, টার্নওভারের ওপর নয়। এতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকৃত আয় অনুযায়ী কর দেবেন এবং এটি ব্যবসায়িক পরিবেশে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা আনবে।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ২৬৪ ধারা অনুসারে ৪৫টি ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক করা ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, শর্তটি ব্যবসার সক্ষমতা হ্রাস করছে এবং সহজীকরণের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। পিএসআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা জটিল করছে এবং কর-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহকে অযৌক্তিক বানাচ্ছে। তা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও হালনাগাদকৃত পিএসআর দাখিলের বিধান বাস্তবসম্মত নয়।
ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ট্যাক্সেশন বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত কীভাবে আরও বেশি প্রত্যক্ষ কর (ডিরেক্ট ট্যাক্স) আদায় করা যায়। পাশাপাশি কর ব্যবস্থাটি আরও সমন্বিত ও ব্যাপকভাবে সাজানো দরকার, যাতে তা কার্যকর ও সুষম হয়। এ সময় ফিকির পক্ষে কনসালট্যান্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, গত ৫ বছরে করপোরেট করহার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, বাস্তবে কার্যকর করহার অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ হয়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণের অসুবিধার কারণে এই করছাড় পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশের গ্রাহকেরা কার্ড ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন এবং নগদে লেনদেন ছাড়া বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি সুপারিশ করেন, বিক্রির একটি অংশে শর্তগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হলে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি সুবিধাজনক হবে।
স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আড়াই শতাংশ করছাড় পেতে হলে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। তবে অনেক কোম্পানি আগে আইপিও করেছে এবং তখন তারা ৫-১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, তাদের জন্য এই শর্ত পূরণ করা কঠিন। স্নেহাশীষ সুপারিশ করেন, যদি আইনে একটি প্রভিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে শেয়ার ছাড়তে চাওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য বিষয়টি সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় এখনো প্রয়োজনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি এবং তাঁদের পরামর্শ অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতিফলন ও সদিচ্ছা দেখা যাবে, তবে কিছু সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব নয়। ভ্যাট আদায়, চালান ইস্যু, হিসাবরক্ষণ ও রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি ‘ন্যাশনাল সিস্টেম’ চালু করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা একক সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাটের সব কাজ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা একমত হন, তবে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, তবে তা একক হার হিসেবে হবে এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে, যাতে বিভিন্ন হারের প্রয়োগ বন্ধ হয়।

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না।
০৪ মার্চ ২০২৫
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না।
০৪ মার্চ ২০২৫
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ব্যবধানের কারণে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা প্রায়ই সংকটে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রকল্প নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দিকেও মনোযোগী হওয়া উচিত। আগে দেখা গেছে, প্রকল্প শুরু হলেও সময়মতো শেষ হয় না। এমনটি যেন আর না ঘটে। তবে এর জন্য পরিকল্পনা কমিশন ও জ্বালানি বিভাগের আরও সক্রিয় নজরদারি জরুরি।’
২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প
প্রথম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫২০ কোটি, বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে ৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে, যার বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রিগ কেনার মাধ্যমে বাপেক্স নতুন গ্যাস কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াবে। বর্তমানে পুরোনো রিগের কারণে খনন কার্যক্রমে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্যই নতুন প্রকল্প।
ভোলা ও শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ খনন
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫ ও ৭, ভোলা নর্থ-৩ ও ৪) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১) খনন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ, আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়ন ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশনের নথি অনুযায়ী, কূপ খননের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, কূপ পরীক্ষণ, উন্নয়নমূলক কাজ, সিমুলেশন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, কূপগুলোর মাধ্যমে নতুন গ্যাসের মজুত আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষণ সফল হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ভোলা অঞ্চলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই দুটি প্রকল্পের পাশাপাশি সিলেটে ১২নং কূপ খনন এবং হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩ডি সাইসমিক জরিপের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও প্রকল্পগুলো শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে, তবে এখনো তা একনেক সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।
আরও খবর পড়ুন:

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না।
০৪ মার্চ ২০২৫
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চট্টগ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবার পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এর আগে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো সময়টায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইউএফএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় কারখানায় আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ায় সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও এখন স্টার্টআপ পর্যায়ে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে কারখানার দৈনিক গ্যাস চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবরের দিকে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরবে।
সিইউএফএল সচল থাকলে দৈনিক ১১ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব, প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা হিসাবে যার মোট বাজারমূল্য ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া কারখানায় প্রতিদিন ৮০০ টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। তবে কয়েক বছর ধরেই যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত এবং অন্যান্য জটিলতায় উৎপাদন অনেক সময় বন্ধ থাকছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র ৫ দিন উৎপাদন করেছে। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এরপর চালু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কারখানা। এরপর টানা উৎপাদন দেড় মাস চলার পর ১১ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর ২৪০ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ অবস্থায় দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইউএফএল স্থিতিশীলভাবে উৎপাদন চালু থাকলে সরকার কম খরচে দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে নানা জটিলতায় বছরের পর বছর কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনে থাকতে পারছে না। পাশেই অবস্থিত বেসরকারি বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড (কাফকো) নিয়মিত গ্যাস পায় অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন রয়েছে।
কারখানা চালু হলে দৈনিক উৎপাদিত ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়ার মাধ্যমে দেশের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমবে। একই সঙ্গে, দেশের কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার সরবরাহে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সার রফতানি ও সরবরাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কোম্পানির করহারের ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিলের দাবি তুলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। চেম্বারের অভিযোগ, সরকারের নগদ লেনদেনের সীমা নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ীরা করপোরেট কর হ্রাসের (ট্যাক্স কাট) সুবিধা নিতে পারছেন না।
০৪ মার্চ ২০২৫
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
২ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে দুটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয়’ এবং অন্যটি চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপসহ শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ। দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাক
১৫ ঘণ্টা আগে