বিগত সময়ে আর্থিক খাতে যাঁরা লুটপাট ও অর্থ পাচার করেছেন, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন; তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনিযুক্ত এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের অপরাধীদের নিয়ে আমরা কাজ করব। হয়তো একটু সময় লাগবে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু স্থির হলে কাজ শুরু করব।’
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এসব কথা বলেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থ পাচার নিয়ে বিএফআইইউ কাজ করছে, এনবিআরের সিআইসিও কাজ করবে। যখনই কোনো ইঙ্গিত পাব, তা অনুসন্ধান করা হবে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরও তথ্য দিয়ে সহায়তার অনুরোধ করেন এবং মতিউরের মতো দুর্নীতিবাজ যেন তৈরি না হয়, সে জন্য এনবিআর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি শক্ত হাতে দমনের হুঁশিয়ারিও দেন। সকাল থেকে প্রথমে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এনবিআর দুর্নীতির কারখানা এবং এখানে মতিউর তৈরি হয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাদের (কর্মকর্তাদের) মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারলে বের করে দেওয়া হবে। বড়-ছোট না, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্বৃত্ত যেন তৈরি না হয়, সেটা দেখা হবে।’
নতুন সরকার আসায় ফের কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিধান রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কালো টাকার বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করব। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এগুলো অগ্রহণযোগ্য। এর ফলে সৎ করদাতা নিরুৎসাহিত হন।’
গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট কাজে লাগিয়ে এনবিআরে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করতে আইনগুলো শিগগিরই আধুনিকায়ন করা হবে। রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে ব্যবসার যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ হচ্ছে না। পাকিস্তানও কর-জিডিপিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। রাজস্ব বাড়ানোই তাই এখন মূল ফোকাস। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। ঋণ বাড়িয়ে ও ঘাটতি বাড়িয়ে বাজেট করা অনৈতিক। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গরিবদের কাছ থেকেই বেশি কর আদায় হচ্ছে। কারণ পরোক্ষ করের পরিমাণ বেশি, ৬৭ ভাগ। পরোক্ষ কর গরিব ও সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্য তৈরি করে। গরিবকে ট্যাক্স করা যাবে না। এটা সভ্য দেশের লক্ষণ নয়। এটাকে ঠিক করতে হবে। এ জন্য দরকার কঠোর শ্রম। করের আওতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ট্যাক্সপেয়ার এডুকেশনে জোর দেব। কাস্টমস, আয়কর ও মূসক আইন নিয়ে তিনটা আলাদা টাস্কফোর্স করা হবে। রাজস্বসংক্রান্ত তিনটি আইন আধুনিকায়নে তিনটি টাস্কফোর্স করা হবে; ব্যবসায়ী ও কর কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।’
রাজস্ব আহরণ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করা হচ্ছে জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর আদায় করতে গিয়ে ব্যবসা যেন বন্ধ না হয়। এফডিআই বাড়াতে হবে। কিন্তু ট্যাক্স রেজিম সাপোর্ট না করলে এটা বাড়বে না। সুশাসনের পরই জরুরি ট্যাক্স রেজিম।’
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস খুব খারাপ। এনবিআরের লোকই এনবিআরে সেবা পায় না। জনগণ আমাদের প্রভু। তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব বাড়িয়ে দেখায় এনবিআর। কাল থেকে এটা করা যাবে না। এখন থেকে এনবিআর, সিজিএ ও আইবাসের তথ্য হবে এক ও অভিন্ন। এর অন্যথা হতে পারবে না।’
বিগত সময়ে আর্থিক খাতে যাঁরা লুটপাট ও অর্থ পাচার করেছেন, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন; তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনিযুক্ত এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘১৫ বছরের অপরাধীদের নিয়ে আমরা কাজ করব। হয়তো একটু সময় লাগবে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু স্থির হলে কাজ শুরু করব।’
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এসব কথা বলেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থ পাচার নিয়ে বিএফআইইউ কাজ করছে, এনবিআরের সিআইসিও কাজ করবে। যখনই কোনো ইঙ্গিত পাব, তা অনুসন্ধান করা হবে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরও তথ্য দিয়ে সহায়তার অনুরোধ করেন এবং মতিউরের মতো দুর্নীতিবাজ যেন তৈরি না হয়, সে জন্য এনবিআর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি শক্ত হাতে দমনের হুঁশিয়ারিও দেন। সকাল থেকে প্রথমে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এনবিআর দুর্নীতির কারখানা এবং এখানে মতিউর তৈরি হয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাদের (কর্মকর্তাদের) মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারলে বের করে দেওয়া হবে। বড়-ছোট না, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্বৃত্ত যেন তৈরি না হয়, সেটা দেখা হবে।’
নতুন সরকার আসায় ফের কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিধান রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কালো টাকার বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করব। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এগুলো অগ্রহণযোগ্য। এর ফলে সৎ করদাতা নিরুৎসাহিত হন।’
গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট কাজে লাগিয়ে এনবিআরে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করতে আইনগুলো শিগগিরই আধুনিকায়ন করা হবে। রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে ব্যবসার যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ হচ্ছে না। পাকিস্তানও কর-জিডিপিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। রাজস্ব বাড়ানোই তাই এখন মূল ফোকাস। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। ঋণ বাড়িয়ে ও ঘাটতি বাড়িয়ে বাজেট করা অনৈতিক। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গরিবদের কাছ থেকেই বেশি কর আদায় হচ্ছে। কারণ পরোক্ষ করের পরিমাণ বেশি, ৬৭ ভাগ। পরোক্ষ কর গরিব ও সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্য তৈরি করে। গরিবকে ট্যাক্স করা যাবে না। এটা সভ্য দেশের লক্ষণ নয়। এটাকে ঠিক করতে হবে। এ জন্য দরকার কঠোর শ্রম। করের আওতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ট্যাক্সপেয়ার এডুকেশনে জোর দেব। কাস্টমস, আয়কর ও মূসক আইন নিয়ে তিনটা আলাদা টাস্কফোর্স করা হবে। রাজস্বসংক্রান্ত তিনটি আইন আধুনিকায়নে তিনটি টাস্কফোর্স করা হবে; ব্যবসায়ী ও কর কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।’
রাজস্ব আহরণ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করা হচ্ছে জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর আদায় করতে গিয়ে ব্যবসা যেন বন্ধ না হয়। এফডিআই বাড়াতে হবে। কিন্তু ট্যাক্স রেজিম সাপোর্ট না করলে এটা বাড়বে না। সুশাসনের পরই জরুরি ট্যাক্স রেজিম।’
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস খুব খারাপ। এনবিআরের লোকই এনবিআরে সেবা পায় না। জনগণ আমাদের প্রভু। তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব বাড়িয়ে দেখায় এনবিআর। কাল থেকে এটা করা যাবে না। এখন থেকে এনবিআর, সিজিএ ও আইবাসের তথ্য হবে এক ও অভিন্ন। এর অন্যথা হতে পারবে না।’
বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আওতায় বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। অথচ শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০ কোটি, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৭.৮৫ শতাংশ, যা ২০০৪-০৫ অর
২ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা কিংবা লবণাক্ততা মোকাবিলায় দেশে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়ছে। টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ প্রবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই ও সবুজ খাতে মোট ১,৭০৪ কোটি টাকা বেশি বিনিয়োগ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের রপ্তানি প্রবাহে আরও বড় হয়ে উঠছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজার আওতাধীন ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬.২২ শতাংশ বেশি। জাতীয় রপ্তানিতে সংস্থাটির একক অবদান দাঁড়িয়েছে ১৭.০৩ শতা
২ ঘণ্টা আগেআইপিও ফান্ডের ৮০ কোটি ১১ লাখ টাকার অনিয়মের কারণে এক মাসের মধ্যে ৯০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে। তা না হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচজন পরিচালককে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে