রোকন উদ্দীন, ঢাকা
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।
আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।
আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১১ মিনিট আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
২০ মিনিট আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২০ অক্টোবর থেকে।
চলতি বছর মোট ৬৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ১৯ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে সোনার দামে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়। মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করায় এই দরপতন দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গতকাল দুপুরে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
অথচ আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনার বাজারের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববাজারের সম্পৃক্ততা নেই। তবে বাজুসের দাম সমন্বয়ে বিশ্ববাজারের গতি অনুসরণের প্রবণতা দেখা যায়।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
২০ মিনিট আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
আজ বুধবার বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন এবং বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান; হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ এবং নারায়ণগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
অন্যদিকে বিকেএমইএর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুথটির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকেরা সহজে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক ও মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড অ্যাকটিভ, পিন পরিবর্তনসহ অন্যান্য এটিএম-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা।
আইএফআইসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়া ও দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১১ মিনিট আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
নতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চাল ও সার আমদানি
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন বাসমতী ছাড়া অন্য সেদ্ধ চাল।
এ ছাড়া রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মাধ্যমিকে সাড়ে ১২ কোটি বই
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাফার গুদাম নির্মাণ
বরগুনায় ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে এমবিএল ও আরএফএল কোম্পানিকে।
দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ও ই-পাসপোর্ট ক্রয়
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আরেক বৈঠকে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় (দরপত্র ছাড়া) পদ্ধতিতে আমদানি করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে আট দেশের ১০ প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরাসরি জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি থেকে ক্রয় করারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
মিরসরাইয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাস্তবায়িত ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মিরসরাই-২-এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্যাকেজ-৩-এর আওতায় প্রবেশপথ নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়া সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা মনিকো লিমিটেডকে কাজটি দেওয়ার সুপারিশ করে টেন্ডার ইভালুয়েশন কমিটি (টিইসি)। পরে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ
খুলনা বিভাগে পাঁচটি নতুন জিআইএস টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন পেয়েছে।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১১ মিনিট আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় অংশ নিতে সেখানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইএমএফ চায় নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে এখনো সম্মতি বা আপত্তি কোনোটি জানায়নি। আমাদের তেমন আর্থিক চাপ নেই, তাই এটি কোনো সমস্যা নয়।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘অর্থ ছাড়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যালোচনা (রিভিউ) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। আমরা চাই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সে কারণেই আলোচনা চলছে। নির্বাচন সামনে থাকায় এখন পূর্ণাঙ্গ রিভিউ করা যৌক্তিক নয়। কারণ, রিভিউয়ের সঙ্গে আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশনও সম্পৃক্ত থাকে। সংস্থাটি চায় নতুন সরকার গঠনের পর তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত রিভিউ সম্পন্ন করতে।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশন অক্টোবরেই আসবে। তারা আংশিকভাবে ঋণ প্যাকেজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে, তবে চূড়ান্ত রিভিউ হবে না। ফেব্রুয়ারিতে বোর্ডের সভায় সেটি উপস্থাপন করা হবে, তখন জাতীয় নির্বাচনও শেষ হয়ে যাবে।
আইএমএফের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতির মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে, আর ষষ্ঠ কিস্তি নির্ধারিত আছে আগামী বছরের জুনে। সাধারণত প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফ দুই সপ্তাহব্যাপী মূল্যায়ন মিশন পাঠায়, যাতে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি যাচাই করা হয়। সে অনুযায়ী, পঞ্চম কিস্তির মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করতে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন।
বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ডিসেম্বরে নির্ধারিত ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় অংশ নিতে সেখানে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইএমএফ চায় নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে এখনো সম্মতি বা আপত্তি কোনোটি জানায়নি। আমাদের তেমন আর্থিক চাপ নেই, তাই এটি কোনো সমস্যা নয়।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘অর্থ ছাড়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যালোচনা (রিভিউ) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। আমরা চাই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সে কারণেই আলোচনা চলছে। নির্বাচন সামনে থাকায় এখন পূর্ণাঙ্গ রিভিউ করা যৌক্তিক নয়। কারণ, রিভিউয়ের সঙ্গে আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশনও সম্পৃক্ত থাকে। সংস্থাটি চায় নতুন সরকার গঠনের পর তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত রিভিউ সম্পন্ন করতে।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের আর্টিকেল-৪ মিশন অক্টোবরেই আসবে। তারা আংশিকভাবে ঋণ প্যাকেজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে, তবে চূড়ান্ত রিভিউ হবে না। ফেব্রুয়ারিতে বোর্ডের সভায় সেটি উপস্থাপন করা হবে, তখন জাতীয় নির্বাচনও শেষ হয়ে যাবে।
আইএমএফের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতির মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে। ডিসেম্বর মাসে পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে, আর ষষ্ঠ কিস্তি নির্ধারিত আছে আগামী বছরের জুনে। সাধারণত প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফ দুই সপ্তাহব্যাপী মূল্যায়ন মিশন পাঠায়, যাতে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি যাচাই করা হয়। সে অনুযায়ী, পঞ্চম কিস্তির মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করতে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন।
শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতনের পরদিন দেশের বাজারেও বেশ বড় অঙ্কে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা ৮ দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম ভরিতে এক লাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমানো হয়েছে।
১১ মিনিট আগেগ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ( বিকেএমইএ) প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
২০ মিনিট আগেনতুন করে আতপ ও সেদ্ধ চাল, সার, পাঠ্যবই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও ই-পাসপোর্টের মালামাল কেনার পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ
২৬ মিনিট আগে