
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের অস্থিরতার কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার যুদ্ধের কারণে নতুন করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
লোহিতসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিতসাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশেরও বেশি যায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এসব গন্তব্যের জন্য লোহিতসাগর-সুয়েজ খালের নৌপথ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনী লোহিতসাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। তাই বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলো তাদের বাণিজ্য রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল। তবে দুটি কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। গত বছরের ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পোশাক খাত থেকে এসেছে। কোনো ধরনের ভূ-রাজনৈতিক বাধা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধান বন্দরটি অগভীর হওয়ায় অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি সময় লেগে যায়।
শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কনটেইনারের পরিবহন খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু শিগগিরই সেই খরচ আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম শিপিং কোম্পানির এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর পর ন্যূনতম লাভের আশায় কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা। এখন পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার ধাক্কাও সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যানানা রিপাবলিক, জে ক্রু এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে শোভন ইসলামের স্প্যারো গ্রুপ। গত সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী এক শীর্ষ মার্কিন ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের দেড় লাখ পোশাকের অর্ডার হারিয়েছেন।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘এমন একটি জাহাজও খুঁজে পাইনি যা সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে। প্রায় সব প্রধান শিপিং লাইনই আফ্রিকার কাছ দিয়ে যায়, কেপ অব গুড হোপ অতিক্রম করে। এতে শিপিংয়ের সময় বেড়ে যায় কমপক্ষে ১০ দিন এবং খরচ বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।’
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছে অর্ডারটি হারাতে হয় তাঁকে। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ক্রেতাকে আরও কম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শোভন বলেন, ‘পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে কেবল পণ্য সরবরাহের বাড়তি সময়ের কারণেই আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকি।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বাংলাদেশের মূল সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর যথেষ্ট গভীর না হওয়ায় এখানে কনটেইনারবাহী বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। তাই দ্রুত পণ্য সরবরাহে পিছিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মাঝারি জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, কেলাং বা তানজুং পেলেপাস বন্দরে পাঠান বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। সেখানে থাকা বড় জাহাজে কনটেইনারগুলো তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অন্তত বাড়তি ১৫ দিন লেগে যায়।
চীন ও মিসর থেকে সুতা আমদানিও করা হয় একই পদ্ধতিতে। এ কারণে রপ্তানির প্রক্রিয়ায় আরও ১০ দিন দেরি হয় এবং সেটা পোশাক তৈরির কাজ শুরুর আগেই। অর্থাৎ ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে স্থানান্তরের কারণে ২৫ দিন দেরি হয়।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিকারক অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ১৫-২০ দিন বাড়তি লেগে যায় বলে ক্রেতারা আমাদের সবচেয়ে সস্তা রেট দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ইস্যুতে আমরা সব সময়ই একদম শেষ সময়ে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আর সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটলেও তাতে আমাদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। লোহিতসাগরের এই সংঘাত হয়তো বাংলাদেশের কাছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়েও বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে।’
শোভন ইসলামের মতো অনেক বড় পোশাক প্রস্তুতকারকই এখন অর্ডার হারাচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে আছেন। বছরের শুরুতে পশ্চিমে পোশাকের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে ইউরোপের এক ক্রেতা আরডিএম গ্রুপকে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বলেছিলেন।
এই গ্রুপের কর্ণধার ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আকাশপথে পণ্য পাঠাতে গেলে নৌপথের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় ১০-১২ গুণ। সে ক্ষেত্রে আমরা অবধারিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হই। কিন্তু যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে আমাদের আর কোনো উপায়ও নেই। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সেই ক্রেতার কাছ থেকে ভবিষ্যতের অর্ডারও হারাতে হবে।’
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে উপযুক্ত কনটেইনারেরও অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকের পণ্য পাঠাতে বাড়তি দেরি হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনাল কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) তথ্য অনুসারে, ৭৫ শতাংশেরও বেশি রপ্তানিকারক পণ্য পরিবহনে ৪০ ফুট কনটেইনার ব্যবহার করেন। কিন্তু দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরীর অধিকাংশ ডিপোতে এখন এ ধরনের কনটেইনারের তীব্র সংকট চলছে।
বিআইসিডিএর মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, সুয়েজ খালের পরিবর্তে কেপ অব গুড হোপের নৌপথ ব্যবহারের কারণে কনটেইনারসহ জাহাজগুলো অতিরিক্ত অন্তত ২৫ দিন সাগরে থাকবে। এই দেরির কারণেই কনটেইনারের সংকট সৃষ্টি হয়। রপ্তানিকারকরা চাইলে ২০ ফুট কনটেইনারে করে পণ্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খরচ আরও ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এই কনটেইনার ব্যবহারে পোশাক প্রস্তুতকারকরা আগ্রহী নন।’
লোহিতসাগরে হামলা-সংঘাতের আগেও আরও কিছু সমস্যা ছিল। বিজিএমইএ থেকে পাওয়া তথ্য দেখায় যে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৬৭৯ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০৪ কোটি ডলার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গত বছর পোশাক খাত থেকে কমপক্ষে ৫০০০ কোটি ডলার আয় করতে চেয়েছিল। রপ্তানির অর্ডার এবং আয় প্রবৃদ্ধি স্থবির হওয়ার আগে আয়ের সিংহভাগ আসে বছরের প্রথমার্ধে।
তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। সুতরাং, প্রকৃত আয় খুব বেশি বাড়েনি।’
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু বড় সংকট মোকাবিলা করেছি। কিন্তু লোহিতসাগর পরিস্থিতি একটি বড় সমস্যা তৈরি করবে কারণ, পণ্য পরিবহনের সময় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুবই আঁটোসাঁটো সূচির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।’

ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৫ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শ্রমিকের সংজ্ঞা, ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকের সংখ্যা ও দ্বৈত প্রভিডেন্ট ফান্ড—শ্রম আইনের এই তিন ধারায় আপত্তি জানিয়েছেন কারখানামালিকেরা।
সংশোধিত শ্রম আইন, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানায়।
এ সময় প্রস্তুতির জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তিন বছর পেছানো ও বন্দরের বাড়তি মাশুল প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের ব্যবসায়ীদের চেয়ে ‘সরকার বিদেশিদের কথা শুনতেই বেশি আগ্রহী’ বলে অভিযোগ করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদেশিদের পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করছে সরকার। আমরা চার মাস ধরে সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি। ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্টারলিংকের ভাইস চেয়ারম্যানকে তিনি সময় দেন, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিনিধিকে সময় দেন না।’
সরকারের উদ্দেশে মাহমুদ হাসান খান বলেন, শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতির বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় এমন একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা দেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নষ্ট না করে বরং টেকসই উন্নয়নকে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। শ্রম আইন সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা যেন বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আইন এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে এটি শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের শিল্প খাতকে টিকে থাকতে হলে সরকারকে অবশ্যই একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাহমুদ হাসান খান সরকারের প্রতি গ্যাস-সংকটের দ্রুত সমাধান, কাস্টমস ও এনবিআর প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, অবকাঠামো ও লজিস্টিক উন্নয়ন এবং স্বল্প ব্যয়ে অর্থায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পথ মসৃণ করতে হলে সরকারকে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা অনুরোধ করছি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতি উপহার দিতে হলে উৎপাদনমুখী শিল্পের বাস্তব চাহিদা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাস্তবতা বিবেচনা করে দ্রুত, ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতারা উল্লেখ করেন, শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিল্পের অংশীদারদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হলে তা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাঁরা সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে যেভাবে চূড়ান্ত হয়েছি, এভাবে—“শ্রম আইনে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোনো ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ইহার মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা করণিক কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কোনো ব্যক্তি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তবে ২(৪৯)(খ) নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত সকল ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।” কিন্তু ‘‘কোনো ব্যক্তি’’-এর বদলে নতুন সংজ্ঞায় ‘‘কর্মকর্তা-কর্মচারী’’ যোগ করা হয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আওতায় দিতে সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে চলতি মাসে। আগামী ডিসেম্বরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রামসহ তিনটি বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে। এ জন্য ১৯৮০ সাল থেকে চলে আসা একই মাশুল ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এতে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ফি ৪১ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে দাবি করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা বলেছি, আগে কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বাড়ানো হোক। আমরা উপকারটি আগে পাই, তারপরে চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। একসঙ্গে না বাড়িয়ে ধারবাহিকভাবে ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যেতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর গত বছরে দুই হাজার কোটি টাকার মতো মুনাফা করেছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান তো মুনাফায় আছে। তাহলে কেন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন?’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর সেবা ফি নেওয়া হয় ডলারে। ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ২৯ দশমিক ৮৯ টাকা। বর্তমানে তা ১২২ টাকার বেশি হওয়ায় গত ৪০ বছর ধরে টাকার অঙ্কে ৩০৮ শতাংশ বেড়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আরও তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে টিকফা, এফটিএর মতো কয়েকটি চুক্তি করতে হবে। এগুলো করা হোক, নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ জন্য তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছি।’
তিন বছর পিছিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে আরও সাত বছর সময় পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত এক বছরে পোশাক খাতে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য দিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, নানা কারণে তা বন্ধ হয়েছে। এটি চলমান প্রসেস, এটি হয়। কারখানাওয়াইজ বিশ্লেষণ করে বলা যাবে কারণগুলো কী।
যে তিন বিষয়ে আপত্তি—
১. ট্রেড ইউনিয়ন গঠন: ভারসাম্যহীন ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত
টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ধাপে ধাপে শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল—যেখানে প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ন্যূনতম ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ ছিল, কিন্তু পরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একতরফাভাবে সেটি পরিবর্তন করে ২০–৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ধাপ করা হয়েছে পাঁচটি।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবতাবিবর্জিত। কারণ, মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হলে কারখানাগুলোতে এমন ব্যক্তিরা ট্রেড ইউনিয়ন করবেন, যাঁরা ওই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এটি অন্তর্দ্বন্দ্ব ও শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং উৎপাদন ব্যাহত করবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন।
২. ভবিষ্যৎ তহবিল ও সর্বজনীন পেনশন প্রগতি—দ্বৈত জটিলতা
টিসিসির আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে ‘ভবিষ্যৎ তহবিল’ বা ‘প্রগতি’—যেকোনো একটি স্কিম বেছে নিতে পারবে।
কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে, শ্রমিক চাইলে দুটি পদ্ধতিতেই অংশ নিতে পারবে—যা উদ্যোক্তাকে দুটি ভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমান্তরালে চালাতে বাধ্য করবে। এতে প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যয় বৃদ্ধি ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
৩. শ্রমিকের সংজ্ঞায় অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক ঝুঁকি
নতুন সংশোধনীতে শ্রমিকের সংজ্ঞায় ‘কর্মচারী/কর্মকর্তা’ যুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক স্তর ও শ্রমিক স্তরের মধ্যে বিভাজন ভেঙে যাবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, দায়িত্ব বণ্টনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে।

শ্রমিকের সংজ্ঞা, ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকের সংখ্যা ও দ্বৈত প্রভিডেন্ট ফান্ড—শ্রম আইনের এই তিন ধারায় আপত্তি জানিয়েছেন কারখানামালিকেরা।
সংশোধিত শ্রম আইন, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানায়।
এ সময় প্রস্তুতির জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তিন বছর পেছানো ও বন্দরের বাড়তি মাশুল প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের ব্যবসায়ীদের চেয়ে ‘সরকার বিদেশিদের কথা শুনতেই বেশি আগ্রহী’ বলে অভিযোগ করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদেশিদের পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করছে সরকার। আমরা চার মাস ধরে সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি। ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্টারলিংকের ভাইস চেয়ারম্যানকে তিনি সময় দেন, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিনিধিকে সময় দেন না।’
সরকারের উদ্দেশে মাহমুদ হাসান খান বলেন, শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতির বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় এমন একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা দেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নষ্ট না করে বরং টেকসই উন্নয়নকে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। শ্রম আইন সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা যেন বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আইন এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে এটি শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের শিল্প খাতকে টিকে থাকতে হলে সরকারকে অবশ্যই একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাহমুদ হাসান খান সরকারের প্রতি গ্যাস-সংকটের দ্রুত সমাধান, কাস্টমস ও এনবিআর প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, অবকাঠামো ও লজিস্টিক উন্নয়ন এবং স্বল্প ব্যয়ে অর্থায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পথ মসৃণ করতে হলে সরকারকে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা অনুরোধ করছি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতি উপহার দিতে হলে উৎপাদনমুখী শিল্পের বাস্তব চাহিদা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাস্তবতা বিবেচনা করে দ্রুত, ইতিবাচক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতারা উল্লেখ করেন, শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় শিল্পের অংশীদারদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হলে তা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাঁরা সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তব্য দেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে যেভাবে চূড়ান্ত হয়েছি, এভাবে—“শ্রম আইনে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোনো ঠিকাদার, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ইহার মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা করণিক কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কোনো ব্যক্তি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তবে ২(৪৯)(খ) নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত সকল ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।” কিন্তু ‘‘কোনো ব্যক্তি’’-এর বদলে নতুন সংজ্ঞায় ‘‘কর্মকর্তা-কর্মচারী’’ যোগ করা হয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আওতায় দিতে সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে চলতি মাসে। আগামী ডিসেম্বরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রামসহ তিনটি বন্দরের কনটেইনার ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে। এ জন্য ১৯৮০ সাল থেকে চলে আসা একই মাশুল ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এতে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ফি ৪১ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে দাবি করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা বলেছি, আগে কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বাড়ানো হোক। আমরা উপকারটি আগে পাই, তারপরে চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। একসঙ্গে না বাড়িয়ে ধারবাহিকভাবে ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যেতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর গত বছরে দুই হাজার কোটি টাকার মতো মুনাফা করেছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান তো মুনাফায় আছে। তাহলে কেন চার্জ বাড়ানোর প্রয়োজন?’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর সেবা ফি নেওয়া হয় ডলারে। ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ২৯ দশমিক ৮৯ টাকা। বর্তমানে তা ১২২ টাকার বেশি হওয়ায় গত ৪০ বছর ধরে টাকার অঙ্কে ৩০৮ শতাংশ বেড়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আরও তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে টিকফা, এফটিএর মতো কয়েকটি চুক্তি করতে হবে। এগুলো করা হোক, নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ জন্য তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছি।’
তিন বছর পিছিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে আরও সাত বছর সময় পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত এক বছরে পোশাক খাতে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য দিয়ে মাহমুদ হাসান খান বলেন, নানা কারণে তা বন্ধ হয়েছে। এটি চলমান প্রসেস, এটি হয়। কারখানাওয়াইজ বিশ্লেষণ করে বলা যাবে কারণগুলো কী।
যে তিন বিষয়ে আপত্তি—
১. ট্রেড ইউনিয়ন গঠন: ভারসাম্যহীন ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত
টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ধাপে ধাপে শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল—যেখানে প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ন্যূনতম ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ ছিল, কিন্তু পরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একতরফাভাবে সেটি পরিবর্তন করে ২০–৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ধাপ করা হয়েছে পাঁচটি।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবতাবিবর্জিত। কারণ, মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হলে কারখানাগুলোতে এমন ব্যক্তিরা ট্রেড ইউনিয়ন করবেন, যাঁরা ওই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এটি অন্তর্দ্বন্দ্ব ও শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং উৎপাদন ব্যাহত করবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন।
২. ভবিষ্যৎ তহবিল ও সর্বজনীন পেনশন প্রগতি—দ্বৈত জটিলতা
টিসিসির আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে ‘ভবিষ্যৎ তহবিল’ বা ‘প্রগতি’—যেকোনো একটি স্কিম বেছে নিতে পারবে।
কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে, শ্রমিক চাইলে দুটি পদ্ধতিতেই অংশ নিতে পারবে—যা উদ্যোক্তাকে দুটি ভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমান্তরালে চালাতে বাধ্য করবে। এতে প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যয় বৃদ্ধি ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
৩. শ্রমিকের সংজ্ঞায় অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক ঝুঁকি
নতুন সংশোধনীতে শ্রমিকের সংজ্ঞায় ‘কর্মচারী/কর্মকর্তা’ যুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক স্তর ও শ্রমিক স্তরের মধ্যে বিভাজন ভেঙে যাবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, দায়িত্ব বণ্টনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৫ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৫ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়েমের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংঘাত চলছে। সহজ ও সাশ্রয়ী লোহিত সাগর-সুয়েজ খাল নৌপথ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে; বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময়।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪
ব্যবসায়ীরা বলেন, উচ্চ সুদহার, পণ্য পরিবহনব্যবস্থার উন্নতি, গ্যাস-বিদুৎ সমস্যাসহ সব সমস্যা সমাধান করে প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী বছরই গ্র্যাজুয়েশনে রাজি তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
৫ ঘণ্টা আগে