Ajker Patrika

কোরিয়ান ইপিজেডের ভূমি জটিলতা দ্রুত নিরসনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ছবি: আজকের পত্রিকা

কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) ভূমি সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সব বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইয়ংওন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক রপ্তানিকারক দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ইয়ংওন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং বৈঠকে উল্লেখ করেন, বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তিনি দ্রুত সেগুলো সমাধানের অনুরোধ জানান।

কোরিয়ান ইপিজেডের জমি সমস্যার সমাধান ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কোরিয়ান ইপিজেড বাংলাদেশের জন্য একটি মডেল হিসেবে দাঁড়াক। এটি বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে এবং বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।’

ইপিজেডের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য কিহাক সাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের জন্য পথ খুলে দেবে। কোরিয়ান ইপিজেড অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠবে।’

তবে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম দ্রুততর করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ধীরগতির জাহাজীকরণের কারণে বাংলাদেশ উচ্চমানের ফ্যাশন পোশাকের অর্ডার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কিহাক সাং আরও জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজারো তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে ইয়ংওন কর্পোরেশন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ করছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধন করা হবে। তিনি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ মাতিন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম আইন সহজ করা এবং সোলার প্যানেলের জন্য নেট মিটারিং পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বৈষম্যমূলক নীতির কারণে ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের সোলার প্যানেল আমদানিতে অন্তত ২৬ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, শ্রম আইন সংস্কারে অস্থায়ী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সবুজ চ্যানেল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

কিহাক সাং শ্রম আইন নিয়ে বলেন, ‘আমাদের স্বচ্ছ ও সহজ প্রক্রিয়া দরকার।’

বৈঠকে উপস্থিত ক্লথিং জায়ান্ট ইনডিটেক্সের কান্ট্রি হেড জাভিয়ার কার্লোস সান্তোনজা ওলসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবসাবান্ধব সংস্কারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই মুগ্ধ। এই নতুন বাংলাদেশই আমরা চাই।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছর বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বৈঠকে বাংলাদেশে একাধিক গার্মেন্ট কারখানার পরিচালক ব্রিটিশ কোম্পানি ডিউহার্স্টের পরিচালক পল অ্যান্থনি ওয়ারেনও উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত