
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড পেলেন। আর ‘এ প্লাস’ গ্রেডই বা পেলেন কারা, কোন অর্জনের জন্য তা জেনে নেওয়া যাক:
গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত গ্লোবাল ফাইন্যান্সের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৩’ এ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রেও পর্যালোচনা মেয়াদের প্রথমার্ধে ম্যান্ডেট পূরণ হয়েছিল। কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬%। আবার মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রাকে কিছুমাত্রায় ছাড়ালেও এ অতিরিক্ত হার সীমিত ছিল ০.৬ শতাংশে। স্থিতিশীল ছিল টাকার বিনিময় হারও।
কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে টাকার ৯.৫% অবমূল্যায়ন হয়। ডলার-সংকটে তখন হাসফাঁস দশা হয় আমদানিকারকদের। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্যও বেড়ে যায়, মূল্যস্ফীতি হয়ে পড়ে লাগামহীন। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে ২০২২ সালের উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ঝুঁকিগুলোর শিকার হয় বাংলাদেশ।
২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০১টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের কার্যক্রমের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সর্বশেষ এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে গ্রেড দেওয়া হয়েছে, এ, বি, সি, ডি এবং এফ। এর মধ্যে এ, বি, সি, এবং ডি ক্যাটাগরিগুলোকে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে আরও তিনটি সাব-ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যেমন, ‘এ’ ক্যাটাগরির গভর্নরদের ‘এ প্লাস’, ‘এ’ এবং ‘এ মাইনাস’ সাব-ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের জন মাঙ্গুদিয়া ও সুরিনামের মরিস রোমারও ডি গ্রেড পেয়েছেন। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অকার্যকর এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যর্থ বলে বিবেচিত হলে, সে দেশের গভর্নরকে ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। এসব গর্ভনেরের মধ্যে রয়েছেন লাওসের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর বাউনলেউয়া সিনক্সায়ভোরাভং, ভেনেজুয়েলার ক্যালিক্সতো হোসে ওর্তেগা সানচেজ ও আর্জেন্টিনার মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল পেস।
অন্যদিকে শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। আর ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন ভারত, সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের গর্ভনরেরা।
ভারত: ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে ‘এ প্লাস’ গ্রেড দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর, শক্তিকান্ত দাস সবল জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছেন। ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ হারে বিকশিত হয়, যা ছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ, আগের বছরে যা ছিল ৮.৭ শতাংশ।
সম্ভাবনাময় এই গতির সাথে অন্যান্য প্রধান প্রধান খাতেও তার পারদর্শীতা ছিল উল্লেখ করার মতো। যেমন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, যেমন জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৪.২৫ শতাংশ এসেছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গভর্নর বাজারে অর্থপ্রবাহ সংকোচনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এই ফলাফল তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। এজন্য এপ্রিল পর্যন্ত ছয় বার রেপো সুদহার বাড়ানো হয়, এবং তা ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। অভূতপূর্ব এই পারদর্শীতার জন্য (শক্তিকান্ত) দাসকে যথাযথ মূল্যায়ন দিতেই হবে।
শক্তিকান্ত দাস সম্পর্কে আরও বলা হয়, অনিয়মিত ভারি বৃষ্টিপাতে ফসলহানির ফলে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতি তার সার্বিক পারদর্শীতার নির্দেশক নয়, এজন্য সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার অন্যান্য বড় অর্জন– ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তারল্য নীতি চালু এবং এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, যা গত বছরের অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড: ২০২২ এবং ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের খুব কমসংখ্যক কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) চেয়ে ভালো করেছে। সুদের হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও ব্যাংকটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভোগপণ্যর দাম গত বছরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালের আগস্টে ১ দশমিক ৬ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
অধিকন্তু, ইউরোপীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সঙ্কট এড়াতে ‘ক্রেডিট সুইস’ ইস্যু সময়মত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্লেষকেরা ভূয়সী প্রশংসা করেছ। এসব অর্জনকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকটির গর্ভনর থমাস জর্ডানকে ‘এ প্লাস’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে।
ভিয়েতনাম: ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হংও র্যাংকিংয়ে ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন বলেছে, চলতি বছর সুদহার কর্তন করেছে হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনাম অন্যতম। তারা পুনঃঅর্থায়নের নীতি সুদহার চারবার হ্রাস করে, জুন নাগাদ ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনে।
ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক ঋণদাতারা এসব কর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ দিতে পেরেছেন। এভাবে দেশটির ঋণ কাঠামোর যৌক্তিকীকরণকে দৃঢ় করেছেন গভর্নর নগুয়েন থি হং। বিশেষত, নগদ অর্থ কম থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলো যে কম সুদে ঋণ নিতে পারে তা নিশ্চিত করেছেন।
‘এ গ্রেড’ প্রাপ্ত গর্ভনরেরা: এই তালিকায় রয়েছেন আটজন গর্ভনর। তাঁরা হলেন, ব্রাজিলের রবার্তো ক্যাম্পোস নেতো, ইসরায়েলের আমির ইয়ারো, মরিশাসের হারভেশ কুমার শীগোলাম, নিউজিল্যান্ডের অ্যাড্রিয়ান অর, প্যারাগুংয়ের জোসে কান্তেরো সিয়েনরা, পেরুর জুলিও ভেলার্দে ফ্লোরেস, তাইওয়ানের ইয়াং চিন লং ও উরুগুয়ের দিয়েগো লাবাত।
‘এ মাইনাস গ্রেড’ প্রাপ্ত গর্ভনরেরা: এই তালিকায় রয়েছেন ১০ জন গর্ভনর। তাঁরা হলেন, কলম্বিয়ার লিওনার্দো ভিলার গোমেজ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের হিক্টর ভালদেজ আলবিজু, আইসল্যান্ডের অ্যাসজেইর জনসন, ইন্দোনেশিয়ার পেরি ওয়ারজিও, মেক্সিকোর ভিক্টোরিয়া রদ্রিগুয়েজ সেজা, মরোক্কোর আবদেল-লতিফ জওহারি, নরওয়ের ইড্যা ওলডেন বাখ, দক্ষিণ আফ্রিকার লেসিথজা গানায়াগো, দক্ষিণ কোরিয়ার হি চ্যাং-ইয়ং ও শ্রীলংকার নন্দলাল বীরাসিংহে।
১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন; সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসাবে নিয়মিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশিত হয়ে থাকে।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলো গভর্নরদের মূল্যায়নের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে; গত বছর এসব সূচকে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মতে, অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছে তারা।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড পেলেন। আর ‘এ প্লাস’ গ্রেডই বা পেলেন কারা, কোন অর্জনের জন্য তা জেনে নেওয়া যাক:
গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত গ্লোবাল ফাইন্যান্সের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৩’ এ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রেও পর্যালোচনা মেয়াদের প্রথমার্ধে ম্যান্ডেট পূরণ হয়েছিল। কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬%। আবার মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রাকে কিছুমাত্রায় ছাড়ালেও এ অতিরিক্ত হার সীমিত ছিল ০.৬ শতাংশে। স্থিতিশীল ছিল টাকার বিনিময় হারও।
কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে টাকার ৯.৫% অবমূল্যায়ন হয়। ডলার-সংকটে তখন হাসফাঁস দশা হয় আমদানিকারকদের। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্যও বেড়ে যায়, মূল্যস্ফীতি হয়ে পড়ে লাগামহীন। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে ২০২২ সালের উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ঝুঁকিগুলোর শিকার হয় বাংলাদেশ।
২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০১টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের কার্যক্রমের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সর্বশেষ এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে গ্রেড দেওয়া হয়েছে, এ, বি, সি, ডি এবং এফ। এর মধ্যে এ, বি, সি, এবং ডি ক্যাটাগরিগুলোকে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে আরও তিনটি সাব-ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যেমন, ‘এ’ ক্যাটাগরির গভর্নরদের ‘এ প্লাস’, ‘এ’ এবং ‘এ মাইনাস’ সাব-ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের জন মাঙ্গুদিয়া ও সুরিনামের মরিস রোমারও ডি গ্রেড পেয়েছেন। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অকার্যকর এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যর্থ বলে বিবেচিত হলে, সে দেশের গভর্নরকে ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। এসব গর্ভনেরের মধ্যে রয়েছেন লাওসের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর বাউনলেউয়া সিনক্সায়ভোরাভং, ভেনেজুয়েলার ক্যালিক্সতো হোসে ওর্তেগা সানচেজ ও আর্জেন্টিনার মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল পেস।
অন্যদিকে শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। আর ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন ভারত, সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের গর্ভনরেরা।
ভারত: ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে ‘এ প্লাস’ গ্রেড দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর, শক্তিকান্ত দাস সবল জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছেন। ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ হারে বিকশিত হয়, যা ছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ, আগের বছরে যা ছিল ৮.৭ শতাংশ।
সম্ভাবনাময় এই গতির সাথে অন্যান্য প্রধান প্রধান খাতেও তার পারদর্শীতা ছিল উল্লেখ করার মতো। যেমন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, যেমন জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৪.২৫ শতাংশ এসেছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গভর্নর বাজারে অর্থপ্রবাহ সংকোচনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এই ফলাফল তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। এজন্য এপ্রিল পর্যন্ত ছয় বার রেপো সুদহার বাড়ানো হয়, এবং তা ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। অভূতপূর্ব এই পারদর্শীতার জন্য (শক্তিকান্ত) দাসকে যথাযথ মূল্যায়ন দিতেই হবে।
শক্তিকান্ত দাস সম্পর্কে আরও বলা হয়, অনিয়মিত ভারি বৃষ্টিপাতে ফসলহানির ফলে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতি তার সার্বিক পারদর্শীতার নির্দেশক নয়, এজন্য সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার অন্যান্য বড় অর্জন– ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তারল্য নীতি চালু এবং এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, যা গত বছরের অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড: ২০২২ এবং ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের খুব কমসংখ্যক কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) চেয়ে ভালো করেছে। সুদের হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও ব্যাংকটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভোগপণ্যর দাম গত বছরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালের আগস্টে ১ দশমিক ৬ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
অধিকন্তু, ইউরোপীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সঙ্কট এড়াতে ‘ক্রেডিট সুইস’ ইস্যু সময়মত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্লেষকেরা ভূয়সী প্রশংসা করেছ। এসব অর্জনকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকটির গর্ভনর থমাস জর্ডানকে ‘এ প্লাস’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে।
ভিয়েতনাম: ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হংও র্যাংকিংয়ে ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন বলেছে, চলতি বছর সুদহার কর্তন করেছে হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনাম অন্যতম। তারা পুনঃঅর্থায়নের নীতি সুদহার চারবার হ্রাস করে, জুন নাগাদ ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনে।
ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক ঋণদাতারা এসব কর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ দিতে পেরেছেন। এভাবে দেশটির ঋণ কাঠামোর যৌক্তিকীকরণকে দৃঢ় করেছেন গভর্নর নগুয়েন থি হং। বিশেষত, নগদ অর্থ কম থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলো যে কম সুদে ঋণ নিতে পারে তা নিশ্চিত করেছেন।
‘এ গ্রেড’ প্রাপ্ত গর্ভনরেরা: এই তালিকায় রয়েছেন আটজন গর্ভনর। তাঁরা হলেন, ব্রাজিলের রবার্তো ক্যাম্পোস নেতো, ইসরায়েলের আমির ইয়ারো, মরিশাসের হারভেশ কুমার শীগোলাম, নিউজিল্যান্ডের অ্যাড্রিয়ান অর, প্যারাগুংয়ের জোসে কান্তেরো সিয়েনরা, পেরুর জুলিও ভেলার্দে ফ্লোরেস, তাইওয়ানের ইয়াং চিন লং ও উরুগুয়ের দিয়েগো লাবাত।
‘এ মাইনাস গ্রেড’ প্রাপ্ত গর্ভনরেরা: এই তালিকায় রয়েছেন ১০ জন গর্ভনর। তাঁরা হলেন, কলম্বিয়ার লিওনার্দো ভিলার গোমেজ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের হিক্টর ভালদেজ আলবিজু, আইসল্যান্ডের অ্যাসজেইর জনসন, ইন্দোনেশিয়ার পেরি ওয়ারজিও, মেক্সিকোর ভিক্টোরিয়া রদ্রিগুয়েজ সেজা, মরোক্কোর আবদেল-লতিফ জওহারি, নরওয়ের ইড্যা ওলডেন বাখ, দক্ষিণ আফ্রিকার লেসিথজা গানায়াগো, দক্ষিণ কোরিয়ার হি চ্যাং-ইয়ং ও শ্রীলংকার নন্দলাল বীরাসিংহে।
১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন; সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসাবে নিয়মিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশিত হয়ে থাকে।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলো গভর্নরদের মূল্যায়নের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে; গত বছর এসব সূচকে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মতে, অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছে তারা।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১১ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১১ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরদের র্যাংকিং করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য গভর্নর আব্দুর রউফ ডি গ্রেড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১১ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৬ ঘণ্টা আগে