
যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ মিনিট আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
১ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
১ ঘণ্টা আগে
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছ
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর জানায়, নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তসংস্থা কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রোববার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বিক সহায়তা দেন।
ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬টি কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন, সুইট হুই পাউডার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডারের একটি করে কনটেইনার। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকায় এসব পণ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য হ্যাজার্ডাস কার্গো কনটেইনার অপসারণ ও পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়।
এনবিআর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেনটরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কনটেইনারের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি নিলাম দ্রুত সম্পন্ন হলে বন্দর এলাকার কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে এনবিআর।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধ্বংসের কাজ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।

এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
১ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
১ ঘণ্টা আগে
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছ
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।
তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।
তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।
মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।
বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।
টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ মিনিট আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
১ ঘণ্টা আগে
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছ
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’
২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ মিনিট আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
১ ঘণ্টা আগে
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছ
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ভারত একদিকে রাশিয়ার বাইরে নতুন তেল সরবরাহের উৎস বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
কেপলারের লিড রিসার্চ অ্যানালিস্ট (রিফাইনিং, সাপ্লাই ও মডেলিং) সুমিত রিতোলিয়ার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের তেল ভারতের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড ব্রেন্ট ও মার্কিন অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামের ব্যবধান বাড়া, চীনের তেল ক্রয় কমা এবং বাজারে আর্বিট্রেজ বা দামের পার্থক্যজনিত সুযোগ তৈরি হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ধরনের তেল ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য লাভজনক বিকল্পে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাস শেষে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল আমদানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বরে তা কমে দৈনিক ৪ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ ব্যারেলের মধ্যে থাকতে পারে। এ বছর গড়ে দৈনিক আমদানি ছিল প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল, অর্থাৎ নতুন প্রবণতা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
সরকারি ও বাণিজ্যিক সূত্রে বলা হয়েছে, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তেলের প্রকার—যেমন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ও মার্স—বেশি পরিমাণে কিনছে, যাতে তেল সরবরাহের উৎস বৈচিত্র্য আনা যায় এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক বার্তা দেওয়া যায়।
এই পরিবর্তন এমন সময় ঘটছে, যখন রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের তেল আমদানির এই বৃদ্ধি মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এভাবে ভারত তার জ্বালানি নিরাপত্তা বজায় রেখে, রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে এবং রাশিয়া-সম্পর্কিত মার্কিন উদ্বেগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়লেও রাশিয়াই ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী রয়ে গেছে—মোট আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া থেকে আসে। ইরাক দ্বিতীয় এবং সৌদি আরব তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সুমিত রিতোলিয়া জানান, এই প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই নয়। তাঁর মতে, ‘বর্তমান বৃদ্ধির কারণ মূলত আর্বিট্রেজ সুযোগ, এটি কাঠামোগত পরিবর্তন নয়। দীর্ঘতর সমুদ্রপথ, বেশি ফ্রেইট খরচ এবং ডব্লিউটিআই তেলের হালকা, ন্যাফথা-সমৃদ্ধ গঠন ভারতের ক্রয়ের সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে।’
তবে রিতোলিয়া আরও বলেন, ‘এই উত্থান যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জ্বালানি সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গভীরতার নির্দেশক এবং ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বৈচিত্র্যকরণ কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে সরবরাহ নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক যুক্তি ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য একসঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুটি বৃহৎ তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা ভারত ও চীনের জন্য বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে উভয় দেশকেই রাশিয়ান তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বা বন্ধ করতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন বা বাতিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। ফলে কোম্পানিগুলোর হাতে প্রায় এক মাস সময় আছে এই রাশিয়ান তেল জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তি নিষ্পত্তির জন্য।
ভারতের সরকারি ও বেসরকারি উভয় রিফাইনারি বর্তমানে ওএফএসি বা অফিস অব ফরেইন এসেটস কন্ট্রোল নির্দেশিকা বিশ্লেষণ করছে, যাতে তারা অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একই সঙ্গে রাশিয়ান তেল ছাড়াই কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। উল্লেখ্য, রসনেফট ও লুকঅয়েল মিলে বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।
চলতি বছরে রাশিয়া ভারতের মোট অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে রসনেফট ও লুকঅয়েলের অংশ প্রায় ৬০ শতাংশ।
অপরদিকে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে। তবে ভারত সরকার এমন কোনো চুক্তি স্বীকার করেনি; বরং জানিয়েছে, তারা জ্বালানির উৎস বৈচিত্র্য আনার পথে এগোচ্ছে এবং নতুন সরবরাহ চ্যানেল সম্প্রসারণে আগ্রহী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ভারত একদিকে রাশিয়ার বাইরে নতুন তেল সরবরাহের উৎস বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
কেপলারের লিড রিসার্চ অ্যানালিস্ট (রিফাইনিং, সাপ্লাই ও মডেলিং) সুমিত রিতোলিয়ার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের তেল ভারতের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড ব্রেন্ট ও মার্কিন অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামের ব্যবধান বাড়া, চীনের তেল ক্রয় কমা এবং বাজারে আর্বিট্রেজ বা দামের পার্থক্যজনিত সুযোগ তৈরি হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ধরনের তেল ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য লাভজনক বিকল্পে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাস শেষে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল আমদানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বরে তা কমে দৈনিক ৪ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ ব্যারেলের মধ্যে থাকতে পারে। এ বছর গড়ে দৈনিক আমদানি ছিল প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল, অর্থাৎ নতুন প্রবণতা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
সরকারি ও বাণিজ্যিক সূত্রে বলা হয়েছে, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তেলের প্রকার—যেমন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ও মার্স—বেশি পরিমাণে কিনছে, যাতে তেল সরবরাহের উৎস বৈচিত্র্য আনা যায় এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক বার্তা দেওয়া যায়।
এই পরিবর্তন এমন সময় ঘটছে, যখন রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের তেল আমদানির এই বৃদ্ধি মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এভাবে ভারত তার জ্বালানি নিরাপত্তা বজায় রেখে, রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে এবং রাশিয়া-সম্পর্কিত মার্কিন উদ্বেগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়লেও রাশিয়াই ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী রয়ে গেছে—মোট আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া থেকে আসে। ইরাক দ্বিতীয় এবং সৌদি আরব তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সুমিত রিতোলিয়া জানান, এই প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই নয়। তাঁর মতে, ‘বর্তমান বৃদ্ধির কারণ মূলত আর্বিট্রেজ সুযোগ, এটি কাঠামোগত পরিবর্তন নয়। দীর্ঘতর সমুদ্রপথ, বেশি ফ্রেইট খরচ এবং ডব্লিউটিআই তেলের হালকা, ন্যাফথা-সমৃদ্ধ গঠন ভারতের ক্রয়ের সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে।’
তবে রিতোলিয়া আরও বলেন, ‘এই উত্থান যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জ্বালানি সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গভীরতার নির্দেশক এবং ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বৈচিত্র্যকরণ কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে সরবরাহ নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক যুক্তি ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য একসঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুটি বৃহৎ তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা ভারত ও চীনের জন্য বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে উভয় দেশকেই রাশিয়ান তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বা বন্ধ করতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন বা বাতিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। ফলে কোম্পানিগুলোর হাতে প্রায় এক মাস সময় আছে এই রাশিয়ান তেল জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তি নিষ্পত্তির জন্য।
ভারতের সরকারি ও বেসরকারি উভয় রিফাইনারি বর্তমানে ওএফএসি বা অফিস অব ফরেইন এসেটস কন্ট্রোল নির্দেশিকা বিশ্লেষণ করছে, যাতে তারা অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একই সঙ্গে রাশিয়ান তেল ছাড়াই কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। উল্লেখ্য, রসনেফট ও লুকঅয়েল মিলে বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।
চলতি বছরে রাশিয়া ভারতের মোট অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে রসনেফট ও লুকঅয়েলের অংশ প্রায় ৬০ শতাংশ।
অপরদিকে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে। তবে ভারত সরকার এমন কোনো চুক্তি স্বীকার করেনি; বরং জানিয়েছে, তারা জ্বালানির উৎস বৈচিত্র্য আনার পথে এগোচ্ছে এবং নতুন সরবরাহ চ্যানেল সম্প্রসারণে আগ্রহী।

এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক (ডেঞ্জারাস গুডস) কনটেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী সম্পন্ন হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ মিনিট আগে
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।
১ ঘণ্টা আগে
এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কে
১ ঘণ্টা আগে