Ajker Patrika

হাসপাতালে ভর্তি ৬৫ ভাগ রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩০
হাসপাতালে ভর্তি ৬৫ ভাগ রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত:  বিএসএমএমইউ

দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রকোপ আরও বেড়েছে। এক মাস আগে যেখানে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শতভাগই ছিলেন ডেলটা ধরনের, বর্তমানে ভর্তি ৬৫ ভাগ রোগী নতুন ধরন ওমিক্রনের শিকার। বাকি ৩৫ ভাগ ডেলটার। 

তবে ভর্তি ও বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন ৮৮ ভাগ। এক মাস আগেও যা ছিল ২০ শতাংশ। আর শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে ওমিক্রন পাওয়া গেছে ৮২ ভাগের। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও পুরুষ প্রায় সমান। একই সঙ্গে এবারও দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। গত ৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের ৯৩৭ জন করোনা রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স করে এমন তথ্য পেয়েছেন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষকেরা। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। গবেষণার নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির জেনেটিকস অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু। 

এই গবেষণার উদ্দেশ্য, ১৮টি জিনোমের গঠন উন্মোচন ও পরিবর্তনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর সম্পর্ক বের করা, ভাইরাসের বিবর্তনীয় সম্পর্ক, রোগের উপসর্গ, প্রখরতা, অবস্থানের মেয়াদকাল এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোম ডেটাবেইস তৈরি করা। 

গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সী পর্যন্ত রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৩০ থেকে ২৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। শিশুদের মধ্যেও করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুরুষের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিল ৪৯ শতাংশ ও নারী ৫১ শতাংশ। 

এ সময় বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যাঁদের ক্যানসার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতা রয়েছে, বয়স্ক এবং যাঁরা টিকা নেননি, তাঁরাই বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। 

এই মুহূর্তে ওমিক্রন সংক্রমণের প্রধান উৎস জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও দাপট ছিল ডেলটার, এখন নতুন এই ধরন জায়গা করে নিয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর দুই ডোজ ভ্যাকসিনও দেওয়া ছিল। এতে প্রমাণিত হলো যে, ধরন নয়, টিকা নেওয়ার জন্য রোগের প্রখরতা কম হয়েছে। এ ছাড়া ওমিক্রনে ডেলটা থেকে কম মাথাব্যথা এবং সর্দির মতো উপসর্গ হয়। হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা কম, তবে এখন বাড়ছে। 

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার প্রত্যেক ধরন বিপজ্জনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশন আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। তাই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা নিতে হবে বলেও জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত