ভিয়েতনামের এক শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী ১ হাজার ২৫০ ডলার আত্মসাতের মামলায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থ তছরুপের মামলা এটি। আজ বৃহস্পতিবার তিনিসহ কয়েক ডজন আসামির বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এখন রায় ঘোষণার অপেক্ষা।
ভিয়েতনাম এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ট্রুং মাই ল্যান একটি ডেভেলপার কোম্পানির চেয়ারপারসন। তিনি ভিয়েতনামের সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক (এসসিবি) থেকে এক দশক ধরে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।
ল্যান এবং অন্য ৮৫ জন পাঁচ সপ্তাহের বিচারকার্যের পরে ভিয়েতনামের ব্যবসাকেন্দ্র হো চি মিন সিটিতে আদালতের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং পূর্ববর্তী এসসিবি নির্বাহীরা রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি এবং ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
তবে ল্যান অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর অধস্তনদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি কোনো ধরনের তছরুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কারণ এসসিবিতে তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই।
তবে বিচারকেরা এই যুক্তি মানেননি। তাঁরা বলেছেন, এসসিবি ব্যাংকের ৯১ দশমিক ৫ শতাংশের শেয়ারের মালিক ল্যান। সুতরাং ব্যাংকে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃতপক্ষে তিনিই ব্যাংকের মালিক। তিনিই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিয়োগেও তাঁর হাত ছিল।
অন্যান্য আসামির সাক্ষ্য এবং তদন্তের সময় সংগৃহীত নথিপত্র নির্দেশ করে যে, ল্যান পরোক্ষভাবে তিনটি ঋণদাতা সংস্থা—এসসিবি, দে নাত এবং তিন এনগিয়াতে বিপুলসংখ্যক শেয়ারের মালিক ছিলেন। পরবর্তী দুটি সংস্থাকে এসসিবিতে একীভূত করা হয়।
এরপর ব্যক্তিগত ব্যয় এবং নিজের আবাসন কোম্পানি ভ্যান থিন ফাত পরিচালনায় অর্থায়নের জন্য একটি আর্থিক উপকরণ বা উৎস হিসেবে তিনি এসসিবিকে ব্যবহার করেছেন।
২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ল্যান ৩৬৮টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছেন। জামানত কেটে নেওয়ার পরে এই ঋণগুলোর কারণে ২০২২ পর্যন্ত (ওই বছর ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়) এসসিবি ব্যাংকের লোকসান দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং (ভিয়েতনামের মুদ্রা)। এই সময়ের মধ্যে ল্যান ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘন করে ঋণগুলো শ্রেণিবদ্ধ করেন।
২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ল্যান ৯১৬টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দেন। এই সময়ে তিনি ৩০৪ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং তছরুপ করেছেন। এতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ১৩০ ভিয়েতনামি দং।
ভিয়েতনামে ২০১৮ সাল থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিদের অর্থ তছরুপকে ফৌজদারি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কারণে ল্যানের বিরুদ্ধে মামলাটি আত্মসাৎ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা ল্যানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আদালতের রায় তেমন হলে এ ধরনের মামলায় এটি একটি অস্বাভাবিক কঠোর শাস্তি হবে।
বহু দিন ধরেই এ মামলা চলছে। এই ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামের অভিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তাকে নাড়া দিয়েছে।
এদিকে ল্যান গত সপ্তাহে আদালতে তাঁর শেষ মন্তব্যে বলেছেন, তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়ে আমি মৃত্যুর কথা ভেবেছিলাম। আমি এতটাই ক্ষুব্ধ যে, এই অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যবসায়িক পরিবেশে জড়িয়ে পড়ার জন্য আমি এতটা বোকা ছিলাম! ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম।’
২০২২ সালের অক্টোবরে ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় শত শত মানুষ রাজধানী হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে এটি ছিল বিরল ঘটনা।
গতকাল বুধবার হ্যানয়ে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের বাইরে প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখানেই এর আগে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশ এই আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রায় ৪২ হাজার ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষ হতবাক হয়েছে।
ল্যান বিয়ে করেছেন হংকংয়ের একজন ধনী ব্যবসায়ীকে। তিনিও এখন বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে এসসিবি থেকে ঋণ নিতে জাল নথিপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ল্যান এই ব্যাংকের ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন।
ল্যানের জালিয়াতির অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালে ভিয়েতনামের জিডিপির প্রায় তিন শতাংশের সমান। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব তছরুপের ঘটনা ঘটেছে।
প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, বিচার চলাকালীন তাঁরা ল্যানের এক হাজারেরও বেশি আবাসন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন।
কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন এবং দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি লুকানোর জন্য ল্যান এবং কিছু এসসিবি কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তাদের ৫২ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছেন। ভিয়েতনামের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ঘুষের রেকর্ড।
স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের পরিদর্শক দলের সাবেক প্রধান ডো থি নানকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, বিচার চলাকালীন এসসিবির প্রাক্তন সিইও ভো তান ভ্যান তাঁকে স্টাইরোফোম বাক্সে করে নগদ অর্থ পাঠিয়েছিলেন। তবে তিনি বুঝতে পেরে বাক্সগুলো ফেরত দেন। কিন্তু ভ্যান সেগুলো ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন।
ভিয়েতনামে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ২০২১ সাল থেকে ১ হাজার ৭০০ টিরও বেশি দুর্নীতির মামলায় ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় ভিয়েতনামি আবাসন ব্যবসায়ী তান হোয়াং মিন গ্রুপের প্রধান দো আন দং ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বন্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার দায়ে গত মাসে আট বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীকে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন।
ভিয়েতনামের এক শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী ১ হাজার ২৫০ ডলার আত্মসাতের মামলায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থ তছরুপের মামলা এটি। আজ বৃহস্পতিবার তিনিসহ কয়েক ডজন আসামির বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এখন রায় ঘোষণার অপেক্ষা।
ভিয়েতনাম এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ট্রুং মাই ল্যান একটি ডেভেলপার কোম্পানির চেয়ারপারসন। তিনি ভিয়েতনামের সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক (এসসিবি) থেকে এক দশক ধরে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।
ল্যান এবং অন্য ৮৫ জন পাঁচ সপ্তাহের বিচারকার্যের পরে ভিয়েতনামের ব্যবসাকেন্দ্র হো চি মিন সিটিতে আদালতের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং পূর্ববর্তী এসসিবি নির্বাহীরা রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি এবং ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
তবে ল্যান অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর অধস্তনদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি কোনো ধরনের তছরুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কারণ এসসিবিতে তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই।
তবে বিচারকেরা এই যুক্তি মানেননি। তাঁরা বলেছেন, এসসিবি ব্যাংকের ৯১ দশমিক ৫ শতাংশের শেয়ারের মালিক ল্যান। সুতরাং ব্যাংকে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃতপক্ষে তিনিই ব্যাংকের মালিক। তিনিই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিয়োগেও তাঁর হাত ছিল।
অন্যান্য আসামির সাক্ষ্য এবং তদন্তের সময় সংগৃহীত নথিপত্র নির্দেশ করে যে, ল্যান পরোক্ষভাবে তিনটি ঋণদাতা সংস্থা—এসসিবি, দে নাত এবং তিন এনগিয়াতে বিপুলসংখ্যক শেয়ারের মালিক ছিলেন। পরবর্তী দুটি সংস্থাকে এসসিবিতে একীভূত করা হয়।
এরপর ব্যক্তিগত ব্যয় এবং নিজের আবাসন কোম্পানি ভ্যান থিন ফাত পরিচালনায় অর্থায়নের জন্য একটি আর্থিক উপকরণ বা উৎস হিসেবে তিনি এসসিবিকে ব্যবহার করেছেন।
২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ল্যান ৩৬৮টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছেন। জামানত কেটে নেওয়ার পরে এই ঋণগুলোর কারণে ২০২২ পর্যন্ত (ওই বছর ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়) এসসিবি ব্যাংকের লোকসান দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং (ভিয়েতনামের মুদ্রা)। এই সময়ের মধ্যে ল্যান ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘন করে ঋণগুলো শ্রেণিবদ্ধ করেন।
২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ল্যান ৯১৬টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দেন। এই সময়ে তিনি ৩০৪ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং তছরুপ করেছেন। এতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ১৩০ ভিয়েতনামি দং।
ভিয়েতনামে ২০১৮ সাল থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিদের অর্থ তছরুপকে ফৌজদারি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কারণে ল্যানের বিরুদ্ধে মামলাটি আত্মসাৎ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা ল্যানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আদালতের রায় তেমন হলে এ ধরনের মামলায় এটি একটি অস্বাভাবিক কঠোর শাস্তি হবে।
বহু দিন ধরেই এ মামলা চলছে। এই ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামের অভিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তাকে নাড়া দিয়েছে।
এদিকে ল্যান গত সপ্তাহে আদালতে তাঁর শেষ মন্তব্যে বলেছেন, তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়ে আমি মৃত্যুর কথা ভেবেছিলাম। আমি এতটাই ক্ষুব্ধ যে, এই অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যবসায়িক পরিবেশে জড়িয়ে পড়ার জন্য আমি এতটা বোকা ছিলাম! ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম।’
২০২২ সালের অক্টোবরে ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় শত শত মানুষ রাজধানী হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে এটি ছিল বিরল ঘটনা।
গতকাল বুধবার হ্যানয়ে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের বাইরে প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখানেই এর আগে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশ এই আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রায় ৪২ হাজার ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষ হতবাক হয়েছে।
ল্যান বিয়ে করেছেন হংকংয়ের একজন ধনী ব্যবসায়ীকে। তিনিও এখন বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে এসসিবি থেকে ঋণ নিতে জাল নথিপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ল্যান এই ব্যাংকের ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন।
ল্যানের জালিয়াতির অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালে ভিয়েতনামের জিডিপির প্রায় তিন শতাংশের সমান। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব তছরুপের ঘটনা ঘটেছে।
প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, বিচার চলাকালীন তাঁরা ল্যানের এক হাজারেরও বেশি আবাসন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন।
কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন এবং দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি লুকানোর জন্য ল্যান এবং কিছু এসসিবি কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তাদের ৫২ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছেন। ভিয়েতনামের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ঘুষের রেকর্ড।
স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের পরিদর্শক দলের সাবেক প্রধান ডো থি নানকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, বিচার চলাকালীন এসসিবির প্রাক্তন সিইও ভো তান ভ্যান তাঁকে স্টাইরোফোম বাক্সে করে নগদ অর্থ পাঠিয়েছিলেন। তবে তিনি বুঝতে পেরে বাক্সগুলো ফেরত দেন। কিন্তু ভ্যান সেগুলো ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন।
ভিয়েতনামে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ২০২১ সাল থেকে ১ হাজার ৭০০ টিরও বেশি দুর্নীতির মামলায় ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় ভিয়েতনামি আবাসন ব্যবসায়ী তান হোয়াং মিন গ্রুপের প্রধান দো আন দং ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বন্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার দায়ে গত মাসে আট বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীকে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন।
রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড, যার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের।
২ ঘণ্টা আগেরপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
২ ঘণ্টা আগেটানা ৯ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবছর কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকছে। প্রস্তাবিত ও সংশোধিত, উভয় লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে বড় ফারাক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর থেকে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি...
১ দিন আগে১১ বছরের সফল যাত্রা সম্পন্ন করল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। দেশের অন্যতম বেসরকারি এই বিমান সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ বছরে পা রাখল। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে একটি নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে