মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
এই প্রকল্প দেশের ছয়টি বিভাগের ১৪টি জেলায় বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। বিভাগগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে এমন শক্তির উৎস, যা সহজে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জ্বালানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস। এর ব্যবহার পরিবেশের ওপর চাপ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে কার্যকর। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার পাশাপাশি দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার মানোন্নয়ন করা হবে। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুতের প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে থাকা প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় গত ২৭ অক্টোবর উত্থাপন করা হয়েছে। এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং সরকার এটি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তবে প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কর্মপরিকল্পনা আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারিশগুলো কার্যকর করা হলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও সহজ এবং ফলপ্রসূ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের এই ইতিবাচক মনোভাব প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রকল্পের আর্থিক কাঠামো
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, যা তিনটি উৎস থেকে নির্বাহ করা হবে। সরকারের তহবিল থেকে ১০২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা (২৫.৫৩%), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে ২৩৬০ কোটি টাকা (৫৮.৯৪%) এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৫.৫৩%) ব্যয় করা হবে। এই ত্রিমুখী আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কেন এই প্রকল্প?
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সোলার প্যানেল ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী। বিশেষত কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, মাতারবাড়ী, মহেশখালী ও টেকনাফে ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে আধুনিক সঞ্চালনব্যবস্থা অপরিহার্য।
প্রকল্পের কার্যক্রম
প্রকল্পের অধীনে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন—একটি ৪০০ কেভি গ্রিড, ২টি ২৩০ কেভি গ্রিড ও ৭টি ১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র, ১৬৩.৩০ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন, ৭৫ কিলোমিটার পুরোনো লাইন উন্নত কন্ডাক্টরে রূপান্তর এবং ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লোড সেন্টারগুলো জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সঞ্চালনব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন আসবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুর রসিদ খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্চালনব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভি লাইন ব্যবহার করা হয়, যা মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অক্ষম। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক (বিতরণ এবং সঞ্চালন লাইন) স্থাপনের মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতা দূর করা হবে। এতে লোড সেন্টারগুলোকে কাছাকাছি জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।
চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সুপারিশ করেছে, ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদ ও জনবলের ধরন এবং সংখ্যা নির্ধারণে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। দৈনিক ভাতা, প্রশিক্ষণ ব্যয়, ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
এই প্রকল্প দেশের ছয়টি বিভাগের ১৪টি জেলায় বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। বিভাগগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে এমন শক্তির উৎস, যা সহজে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জ্বালানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস। এর ব্যবহার পরিবেশের ওপর চাপ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে কার্যকর। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার পাশাপাশি দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার মানোন্নয়ন করা হবে। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুতের প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে থাকা প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় গত ২৭ অক্টোবর উত্থাপন করা হয়েছে। এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং সরকার এটি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তবে প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কর্মপরিকল্পনা আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারিশগুলো কার্যকর করা হলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও সহজ এবং ফলপ্রসূ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের এই ইতিবাচক মনোভাব প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রকল্পের আর্থিক কাঠামো
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, যা তিনটি উৎস থেকে নির্বাহ করা হবে। সরকারের তহবিল থেকে ১০২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা (২৫.৫৩%), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে ২৩৬০ কোটি টাকা (৫৮.৯৪%) এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৫.৫৩%) ব্যয় করা হবে। এই ত্রিমুখী আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কেন এই প্রকল্প?
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সোলার প্যানেল ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী। বিশেষত কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, মাতারবাড়ী, মহেশখালী ও টেকনাফে ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে আধুনিক সঞ্চালনব্যবস্থা অপরিহার্য।
প্রকল্পের কার্যক্রম
প্রকল্পের অধীনে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন—একটি ৪০০ কেভি গ্রিড, ২টি ২৩০ কেভি গ্রিড ও ৭টি ১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র, ১৬৩.৩০ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন, ৭৫ কিলোমিটার পুরোনো লাইন উন্নত কন্ডাক্টরে রূপান্তর এবং ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লোড সেন্টারগুলো জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সঞ্চালনব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন আসবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুর রসিদ খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্চালনব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভি লাইন ব্যবহার করা হয়, যা মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অক্ষম। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক (বিতরণ এবং সঞ্চালন লাইন) স্থাপনের মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতা দূর করা হবে। এতে লোড সেন্টারগুলোকে কাছাকাছি জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।
চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সুপারিশ করেছে, ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদ ও জনবলের ধরন এবং সংখ্যা নির্ধারণে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। দৈনিক ভাতা, প্রশিক্ষণ ব্যয়, ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
এই প্রকল্প দেশের ছয়টি বিভাগের ১৪টি জেলায় বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। বিভাগগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে এমন শক্তির উৎস, যা সহজে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জ্বালানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস। এর ব্যবহার পরিবেশের ওপর চাপ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে কার্যকর। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার পাশাপাশি দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার মানোন্নয়ন করা হবে। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুতের প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে থাকা প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় গত ২৭ অক্টোবর উত্থাপন করা হয়েছে। এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং সরকার এটি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তবে প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কর্মপরিকল্পনা আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারিশগুলো কার্যকর করা হলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও সহজ এবং ফলপ্রসূ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের এই ইতিবাচক মনোভাব প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রকল্পের আর্থিক কাঠামো
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, যা তিনটি উৎস থেকে নির্বাহ করা হবে। সরকারের তহবিল থেকে ১০২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা (২৫.৫৩%), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে ২৩৬০ কোটি টাকা (৫৮.৯৪%) এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৫.৫৩%) ব্যয় করা হবে। এই ত্রিমুখী আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কেন এই প্রকল্প?
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সোলার প্যানেল ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী। বিশেষত কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, মাতারবাড়ী, মহেশখালী ও টেকনাফে ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে আধুনিক সঞ্চালনব্যবস্থা অপরিহার্য।
প্রকল্পের কার্যক্রম
প্রকল্পের অধীনে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন—একটি ৪০০ কেভি গ্রিড, ২টি ২৩০ কেভি গ্রিড ও ৭টি ১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র, ১৬৩.৩০ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন, ৭৫ কিলোমিটার পুরোনো লাইন উন্নত কন্ডাক্টরে রূপান্তর এবং ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লোড সেন্টারগুলো জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সঞ্চালনব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন আসবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুর রসিদ খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্চালনব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভি লাইন ব্যবহার করা হয়, যা মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অক্ষম। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক (বিতরণ এবং সঞ্চালন লাইন) স্থাপনের মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতা দূর করা হবে। এতে লোড সেন্টারগুলোকে কাছাকাছি জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।
চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সুপারিশ করেছে, ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদ ও জনবলের ধরন এবং সংখ্যা নির্ধারণে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। দৈনিক ভাতা, প্রশিক্ষণ ব্যয়, ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
এই প্রকল্প দেশের ছয়টি বিভাগের ১৪টি জেলায় বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি। বিভাগগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে এমন শক্তির উৎস, যা সহজে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং জ্বালানির অন্যান্য প্রাকৃতিক উৎস। এর ব্যবহার পরিবেশের ওপর চাপ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে কার্যকর। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার পাশাপাশি দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার মানোন্নয়ন করা হবে। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুতের প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে থাকা প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় গত ২৭ অক্টোবর উত্থাপন করা হয়েছে। এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং সরকার এটি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তবে প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, কর্মপরিকল্পনা আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সুপারিশগুলো কার্যকর করা হলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও সহজ এবং ফলপ্রসূ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের এই ইতিবাচক মনোভাব প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রকল্পের আর্থিক কাঠামো
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৪ হাজার ৪ কোটি ২ লাখ টাকা, যা তিনটি উৎস থেকে নির্বাহ করা হবে। সরকারের তহবিল থেকে ১০২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা (২৫.৫৩%), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে ২৩৬০ কোটি টাকা (৫৮.৯৪%) এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৫.৫৩%) ব্যয় করা হবে। এই ত্রিমুখী আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কেন এই প্রকল্প?
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সোলার প্যানেল ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী। বিশেষত কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, মাতারবাড়ী, মহেশখালী ও টেকনাফে ১ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে আধুনিক সঞ্চালনব্যবস্থা অপরিহার্য।
প্রকল্পের কার্যক্রম
প্রকল্পের অধীনে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন—একটি ৪০০ কেভি গ্রিড, ২টি ২৩০ কেভি গ্রিড ও ৭টি ১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র, ১৬৩.৩০ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন, ৭৫ কিলোমিটার পুরোনো লাইন উন্নত কন্ডাক্টরে রূপান্তর এবং ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ লোড সেন্টারগুলো জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সঞ্চালনব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন আসবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুর রসিদ খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্চালনব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভি লাইন ব্যবহার করা হয়, যা মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অক্ষম। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক (বিতরণ এবং সঞ্চালন লাইন) স্থাপনের মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতা দূর করা হবে। এতে লোড সেন্টারগুলোকে কাছাকাছি জেনারেশন সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।
চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সুপারিশ করেছে, ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদ ও জনবলের ধরন এবং সংখ্যা নির্ধারণে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। দৈনিক ভাতা, প্রশিক্ষণ ব্যয়, ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেসংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত চীন ও জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৯০.৭ বিলিয়ন ডলার)। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালে চীনের আট বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চেয়েছিল বার্লিন। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরোপিত শুল্কের জেরে আগের বছরের বাণিজ্যিক গতি কমে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৯৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এই পতনের গতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিজিএ ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডর্ক জান্দুরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও নতুন বাণিজ্য নীতি রপ্তানি কমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি জানান, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিকের মতো জনপ্রিয় জার্মান পণ্যের চাহিদা কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির গ্লোবাল হেড অব ম্যাক্রো কার্স্টেন ব্রেজেস্কি বলেন, ট্রাম্পের চলমান শুল্ক হুমকি এবং ইউরোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অদূর ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেও জার্মান রপ্তানি কমেছে। ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনে জার্মান রপ্তানি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে, চীন থেকে জার্মানিতে আমদানি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১০৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
ব্রেজেস্কি সতর্ক করে বলেন, চীন থেকে আমদানির এই নতুন উত্থান উদ্বেগজনক। কারণ, এই আমদানি পণ্যগুলোর বেশির ভাগই ডাম্পিং মূল্যে আসছে। তিনি আরও বলেন, এটি কেবল চীনের ওপর জার্মানির নির্ভরতা বাড়াবে না, বরং জার্মানির মূল শিল্পগুলোতে চাপ বাড়াবে। প্রকৃতপক্ষে চীন জার্মান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় বেসরকারি ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক গতিশীলতার অভাবে বৈশ্বিক বাজারের যেকোনো পরিবর্তন এখন জার্মানিতে অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত চীন ও জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৯০.৭ বিলিয়ন ডলার)। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালে চীনের আট বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চেয়েছিল বার্লিন। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরোপিত শুল্কের জেরে আগের বছরের বাণিজ্যিক গতি কমে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৯৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি কমেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এই পতনের গতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিজিএ ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডর্ক জান্দুরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও নতুন বাণিজ্য নীতি রপ্তানি কমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি জানান, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিকের মতো জনপ্রিয় জার্মান পণ্যের চাহিদা কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির গ্লোবাল হেড অব ম্যাক্রো কার্স্টেন ব্রেজেস্কি বলেন, ট্রাম্পের চলমান শুল্ক হুমকি এবং ইউরোর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অদূর ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেও জার্মান রপ্তানি কমেছে। ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে চীনে জার্মান রপ্তানি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে, চীন থেকে জার্মানিতে আমদানি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১০৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
ব্রেজেস্কি সতর্ক করে বলেন, চীন থেকে আমদানির এই নতুন উত্থান উদ্বেগজনক। কারণ, এই আমদানি পণ্যগুলোর বেশির ভাগই ডাম্পিং মূল্যে আসছে। তিনি আরও বলেন, এটি কেবল চীনের ওপর জার্মানির নির্ভরতা বাড়াবে না, বরং জার্মানির মূল শিল্পগুলোতে চাপ বাড়াবে। প্রকৃতপক্ষে চীন জার্মান শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় বেসরকারি ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক গতিশীলতার অভাবে বৈশ্বিক বাজারের যেকোনো পরিবর্তন এখন জার্মানিতে অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪প্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেসংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আরেকটি হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপকরণ সংগ্রহ।
চলতি বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিকবিষয়ক কমিটির সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। আজ অনুষ্ঠিত এ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়।
কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করার পর নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এটি ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায়।
প্রস্তাব অনুযায়ী ১ কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ৫০ লাখ কাঁচামাল বইয়ে রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বই ও সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।
বিস্তারিত আলোচনার পর কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। কমিটি উল্লেখ করে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে আরেকটি হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপকরণ সংগ্রহ।
চলতি বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিকবিষয়ক কমিটির সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। আজ অনুষ্ঠিত এ সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়।
কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করার পর নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবটি আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এটি ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পের আওতায়।
প্রস্তাব অনুযায়ী ১ কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ৫০ লাখ কাঁচামাল বইয়ে রূপান্তর করা যাবে। এ ছাড়া ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বই ও সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে।
বিস্তারিত আলোচনার পর কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। কমিটি উল্লেখ করে, ই-পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেসংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও সরবরাহে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউবেল এনার্জি প্রজেক্ট’।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪চলতি বছরের প্রথম আট মাসে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। জার্মানির পরিসংখ্যান অফিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের কারণে জার্মান রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেপ্রথম প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চায়। সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেসংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে