নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিত্যপণ্যের চড়া দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছিল ঈদের ছুটির সময়। কিন্তু ছুটি শেষ হতেই আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে পণ্যের বাজারদর। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম ছুটির সময় কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়তির দিকে। নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দাম। অন্যদিকে ঈদের সময় কিছুটা কমার পর এখন আবার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান কবির বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের পর সপ্তাহ দুয়েক নিত্যপণ্যের দর কিছুটা কম থাকে। কিন্তু এবার দেখতে পাচ্ছি পরিস্থিতি পুরো উল্টো। ঈদের পরদিন যে দাম ছিল, আজ প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম তার চেয়ে ২০-২৫ টাকা বেশি।’
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের দুই দিন পর আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। ঈদের ছুটিতে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের ওপর। আর আড়তদারেরা দায় চাপাচ্ছেন মজুতদারদের ওপর। মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের বিক্রেতা ফারুক আলী বলেন, ‘সরবরাহ ঠিকই আছে। কিন্তু পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায় আমাদের একটু বেশি দামে বিক্রি করা লাগতেছে।’ অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল মিয়া বলেন, ‘পেঁয়াজ বাজারে না ছাইড়া অনেকেই মজুত করতেছে, যার কারণে দামটা বাইড়া গেছে।’
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৫০ এবং সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও ঈদের ছুটিতে কেজিতে ১০ টাকা কম ছিল।
রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, ‘ঈদের পরপর ব্রয়লার মুরগি ২২০-২২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আজকে পাইকারিতেই দাম বেশি। আমাদেরও তাই ১০-১২ টাকা বাড়াইতে হইসে।’
ঈদের সময় কমে আসা সবজির দামও এখন আবার চড়েছে। গতকাল বেগুন ৫০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০-৯০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০-৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা আম ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ এবং খোলা সয়াবিনের লিটার ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তবে পাম অয়েল এবং খোলা সয়াবিন তেল দুটোই বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানোর পরেও কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কারও শাস্তি পেতে হচ্ছে না। তাই বারবার একই ঘটনা ঘটছে। সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন, দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। নীতিনির্ধারকেরা যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তো ব্যবসায়ীদের দাম বাড়াতে আর অসুবিধা নেই। তাঁরা তো বেশি লাভ করে মজা পেয়ে গেছেন। দাম তো বাড়বেই।’
নিত্যপণ্যের চড়া দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছিল ঈদের ছুটির সময়। কিন্তু ছুটি শেষ হতেই আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে পণ্যের বাজারদর। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম ছুটির সময় কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়তির দিকে। নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দাম। অন্যদিকে ঈদের সময় কিছুটা কমার পর এখন আবার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান কবির বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের পর সপ্তাহ দুয়েক নিত্যপণ্যের দর কিছুটা কম থাকে। কিন্তু এবার দেখতে পাচ্ছি পরিস্থিতি পুরো উল্টো। ঈদের পরদিন যে দাম ছিল, আজ প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম তার চেয়ে ২০-২৫ টাকা বেশি।’
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের দুই দিন পর আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। ঈদের ছুটিতে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের ওপর। আর আড়তদারেরা দায় চাপাচ্ছেন মজুতদারদের ওপর। মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের বিক্রেতা ফারুক আলী বলেন, ‘সরবরাহ ঠিকই আছে। কিন্তু পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায় আমাদের একটু বেশি দামে বিক্রি করা লাগতেছে।’ অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল মিয়া বলেন, ‘পেঁয়াজ বাজারে না ছাইড়া অনেকেই মজুত করতেছে, যার কারণে দামটা বাইড়া গেছে।’
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৫০ এবং সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও ঈদের ছুটিতে কেজিতে ১০ টাকা কম ছিল।
রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, ‘ঈদের পরপর ব্রয়লার মুরগি ২২০-২২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আজকে পাইকারিতেই দাম বেশি। আমাদেরও তাই ১০-১২ টাকা বাড়াইতে হইসে।’
ঈদের সময় কমে আসা সবজির দামও এখন আবার চড়েছে। গতকাল বেগুন ৫০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০-৯০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০-৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা আম ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ এবং খোলা সয়াবিনের লিটার ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তবে পাম অয়েল এবং খোলা সয়াবিন তেল দুটোই বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানোর পরেও কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কারও শাস্তি পেতে হচ্ছে না। তাই বারবার একই ঘটনা ঘটছে। সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন, দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। নীতিনির্ধারকেরা যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তো ব্যবসায়ীদের দাম বাড়াতে আর অসুবিধা নেই। তাঁরা তো বেশি লাভ করে মজা পেয়ে গেছেন। দাম তো বাড়বেই।’
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন থেকে ডেটা চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেন এর কাছ থেকে সম্মাননা পেল ব্র্যাক ব্যাংক।
৩২ মিনিট আগেবাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান কে-কোমওয়েলের মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জিআইজেডের
৪৩ মিনিট আগেচলতি অর্থবছরে নেপালে ৪৭৫ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু কাঁচা পাটই রপ্তানি করা হয়েছে ১৫৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে নেপালি সংবাদমাধ্যম মেরিটাইম গেটওয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
২০ ঘণ্টা আগে