নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অর্থনীতি একটা সময় অনেক ভালো করছিল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ শক্তিশালী ছিল। মূল্যস্ফীতিও কম ছিল। আর দুই বছর ধরে প্রায় দুই ডিজিটের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি। কয়েক বছর আগে বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩৩ বিলিয়ন করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, অর্জিত হয় ৯ বিলিয়ন ডলার। মাত্র কয়েক বছরে একটা ভালো অর্থনীতি খারাপ হয়ে পড়ল; যার প্রভাব পড়েছে জনগণের ওপর। এটা সামলাতে সময় লাগবে। প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ এবং তার বাস্তবায়ন।
গতকাল রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ‘ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং পরবর্তী বাজেট’শীর্ষক সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আয়বৈষম্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আয়করেও বৈষম্য দেখা দিয়েছে। আয়ের বৈষম্য কমাতে হবে। কম আয়ের মানুষের ওপর চাপ কমাতে হবে। কেননা, নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদার সমষ্টি দেখে কিন্তু সামষ্টিক চাহিদা দেখা দেয়; যা বৈষম্যের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসার ওপর পড়বে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে আমাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আর কর আহরণ ডিজিটালাইজড করতে হবে; যা সারা বিশ্ব করছে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সারা বিশ্বে একটা কথা রয়েছে, কর আহরণে ১ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫০-৬০ টাকা আয় হয়। এটা হেলাফেলার কথা নয়। সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকার কেন ডিজিটাইজড করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।’
বিজিএমইএর পরিচালক এবং শাশা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামশ মাহমুদ বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমদানি কমেছে, কিন্তু রপ্তানি আয় বেড়েছে। এটা তো স্থায়ী হবে না। বিশেষ করে সুদের হার বেড়েই যাচ্ছে। এতে ব্যবসার খরচ বাড়ছে। এভাবে দীর্ঘদিন চলা কঠিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সরকার বাজেট দেয়। বাজেটে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দিচ্ছে। তাঁদের অনেক করছাড় দেওয়া হয়। এসবের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন। আর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা এবং মূল্যস্ফীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায়। যাতে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ কম পড়ে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগানে বাড়তি নজরও রাখছে সরকার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা করাটা বোকামি। বাজেটের আগে ঘটা করে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শোনা হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষ করে পণ্যের এইচএস কোডের নামে হয়রানি বন্ধ করা উচিত। যেমন চট্টগ্রাম বন্দরের এইচএস কোড এবং টাকা কাস্টম হাউসের এইচএস কোড সমান হলেও মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। এসব হয়রানি দূর করতে হবে।
দেশের অর্থনীতি একটা সময় অনেক ভালো করছিল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ শক্তিশালী ছিল। মূল্যস্ফীতিও কম ছিল। আর দুই বছর ধরে প্রায় দুই ডিজিটের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি। কয়েক বছর আগে বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩৩ বিলিয়ন করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, অর্জিত হয় ৯ বিলিয়ন ডলার। মাত্র কয়েক বছরে একটা ভালো অর্থনীতি খারাপ হয়ে পড়ল; যার প্রভাব পড়েছে জনগণের ওপর। এটা সামলাতে সময় লাগবে। প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ এবং তার বাস্তবায়ন।
গতকাল রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ‘ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং পরবর্তী বাজেট’শীর্ষক সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আয়বৈষম্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আয়করেও বৈষম্য দেখা দিয়েছে। আয়ের বৈষম্য কমাতে হবে। কম আয়ের মানুষের ওপর চাপ কমাতে হবে। কেননা, নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদার সমষ্টি দেখে কিন্তু সামষ্টিক চাহিদা দেখা দেয়; যা বৈষম্যের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসার ওপর পড়বে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে আমাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আর কর আহরণ ডিজিটালাইজড করতে হবে; যা সারা বিশ্ব করছে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সারা বিশ্বে একটা কথা রয়েছে, কর আহরণে ১ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫০-৬০ টাকা আয় হয়। এটা হেলাফেলার কথা নয়। সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকার কেন ডিজিটাইজড করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।’
বিজিএমইএর পরিচালক এবং শাশা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামশ মাহমুদ বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমদানি কমেছে, কিন্তু রপ্তানি আয় বেড়েছে। এটা তো স্থায়ী হবে না। বিশেষ করে সুদের হার বেড়েই যাচ্ছে। এতে ব্যবসার খরচ বাড়ছে। এভাবে দীর্ঘদিন চলা কঠিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সরকার বাজেট দেয়। বাজেটে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দিচ্ছে। তাঁদের অনেক করছাড় দেওয়া হয়। এসবের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন। আর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা এবং মূল্যস্ফীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায়। যাতে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ কম পড়ে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগানে বাড়তি নজরও রাখছে সরকার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা করাটা বোকামি। বাজেটের আগে ঘটা করে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার কথা শোনা হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষ করে পণ্যের এইচএস কোডের নামে হয়রানি বন্ধ করা উচিত। যেমন চট্টগ্রাম বন্দরের এইচএস কোড এবং টাকা কাস্টম হাউসের এইচএস কোড সমান হলেও মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। এসব হয়রানি দূর করতে হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান এখন শতকোটি টাকা ছাড়িয়েছে, এর ফলে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধেও এখন ব্যর্থ হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করের বকেয়া, বিক্রি বাড়াতে না পারা, উৎপাদন খরচের অতিরিক্ত চাপ...
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য লাইটার জাহাজে লোড হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সীমানা ত্যাগ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম হ্রাস পাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম আরও কমিয়ে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে২ বছর পূর্ণ করে বাংলাদেশে তৃতীয় বছরে পা দিল তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কই তে’। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গুলশান আউটলেটে এক বিশেষ আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ‘কই তে’র সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা কোয়ে মা, চিফ বিজনেস অফিসার মি লাউ ইয়ং কিয়ং, কই তে বাংলাদেশের এবং ট্যাড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক...
১ দিন আগে