জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রেমিট্যান্সের জোয়ার ও রপ্তানি আয়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধি বৈদেশিক লেনদেনের সামগ্রিক চিত্রে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তথ্য বলছে, জুলাইয়ে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসে এ ঘাটতি ছিল ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি কমেছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
রপ্তানি আয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি জুলাইয়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৯৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ। একই সময়ে আমদানিও বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে—গত জুলাইয়ে যেখানে আমদানি ছিল ৫২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এবার তা দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে, যা গত বছর ছিল ১৪৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তবে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি কমার পেছনে মূল অবদান রেখেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বেশি। বৃদ্ধির হার প্রায় ৩০ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ব্যালান্স অব পেমেন্টের সামগ্রিক চিত্রে আপাতত উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবে যেসব সূচক এখন ভালো অবস্থায় আছে, সেগুলো সামনে নেতিবাচক হতে পারে।’
এফডিআই প্রবাহেও বড় উত্থান লক্ষ করা গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে সরাসরি বিদেশি নিট বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ১০৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় তিন গুণ প্রবাহ ঘটেছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই শেষে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এটি ছিল ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ হিসাবেও রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ‘কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন বোঝার মূল সূচক হলো চলতি হিসাব। এখানে উদ্বৃত্ত থাকলে দেশকে ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয় না। কিন্তু ঘাটতি হলে বিদেশি ঋণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে’।
রেমিট্যান্সের জোয়ার ও রপ্তানি আয়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধি বৈদেশিক লেনদেনের সামগ্রিক চিত্রে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তথ্য বলছে, জুলাইয়ে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসে এ ঘাটতি ছিল ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি কমেছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
রপ্তানি আয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি জুলাইয়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৯৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ। একই সময়ে আমদানিও বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে—গত জুলাইয়ে যেখানে আমদানি ছিল ৫২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এবার তা দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে, যা গত বছর ছিল ১৪৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তবে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি কমার পেছনে মূল অবদান রেখেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বেশি। বৃদ্ধির হার প্রায় ৩০ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ব্যালান্স অব পেমেন্টের সামগ্রিক চিত্রে আপাতত উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবে যেসব সূচক এখন ভালো অবস্থায় আছে, সেগুলো সামনে নেতিবাচক হতে পারে।’
এফডিআই প্রবাহেও বড় উত্থান লক্ষ করা গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে সরাসরি বিদেশি নিট বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ১০৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় তিন গুণ প্রবাহ ঘটেছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই শেষে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এটি ছিল ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ হিসাবেও রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ‘কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন বোঝার মূল সূচক হলো চলতি হিসাব। এখানে উদ্বৃত্ত থাকলে দেশকে ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয় না। কিন্তু ঘাটতি হলে বিদেশি ঋণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে’।
দেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার উপকূল এখন সফটশেল কাঁকড়ার চাষে সরব। বছরজুড়ে বাড়ছে কাঁকড়া চাষ এবং রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। অল্প জমিতে স্বল্প বিনিয়োগে লাভবান হওয়া যায় বলে প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে এ খাতের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মূলত বাগদা চিংড়ি চাষে ঘন ঘন ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই এখন কাঁকড়ার ঘেরে ঝুঁকছেন।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের কৃষি ও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) স্বল্প মেয়াদী ঋণ বিতরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ব্যাংক যদি এসব প্রতিষ্ঠানকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ দেয় তবে তাদের খেলাপিবিহীন ঋণের বিপরীতে মাত্র ১ শতাংশ প্রভিশন রাখতে
১৩ ঘণ্টা আগেশুরু হয়েছে দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস কার্টআপ লিমিটেডের সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘অক্টোবর অফারস’। গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই অফারে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় ছাড়, ভাউচার ও ক্যাশব্যাকের সুযোগ।
১৩ ঘণ্টা আগে