নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মাত্র এক রাতের ব্যবধানে কী এমন ঘটল যে মাছ, মাংস, সবজি—সবকিছুর দাম এত বেড়ে যাবে? ঝড়-বৃষ্টি হলো, নাকি সরবরাহ কমে গেল?’ এনজিওকর্মী শামসুন্নাহারের এমন প্রশ্নই ছিল গতকাল শুক্রবার রামপুরা বাজারে দোকানিদের কাছে। শামসুন্নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিকল্পনা ছাড়াই বৃহস্পতিবার বিকেলে সহকর্মীর সঙ্গে বাজারে এসেছিলেন। হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তখন কেনাকাটা করেননি। সপ্তাহের সওদা কিনতে গতকাল সকালে একই বাজারে এসে দেখেন মাছ, মুরগি, সবজিসহ প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে অনেকটা বেশি। শামসুন্নাহারের মতো যাঁরা নিয়মিত বাজারে যান, তাঁদের সবারই অভিযোগ, সপ্তাহান্তে কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ানো হয় প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম।
গতকাল রাজধানীর রামপুরা, মোহাম্মদপুর ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দিনের তুলনায় সবজি, মাছ, মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি৷ মোহাম্মদপুর বাজারের সবজিবিক্রেতা খলিল মিয়া বলেন, শুক্রবার ছুটিতে সবাই বাজারে আসে। কেনাবেচা বেশি হয়। তাই দামটা একটু বেশি থাকে।
বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০, পটোল ৫০-৬০, কাঁকরোল ৭০-৮০, টমেটো ৬০-৮০, কুমড়া ৪০-৫০, করলা ৬০-৮০, কাঁচা পেঁপে ৭০-৮০, ধুন্দল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৫০-৬০, ঝিঙা ৭০-৮০, সজনে ১৬০-২০০ এবং কাঁচা আম ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতিটি ৫০-৮০ টাকা, লেবু হালিপ্রতি ২৫-৪০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন বাজারে ১৮০-২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রামপুরা বাজারের সবজিবিক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম এই সময়ে একটু বেশিই থাকে।
বাজারে ডজনপ্রতি ফার্মের লাল ডিম ১৫০-১৫৫ টাকা, সাদা ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২২০-২৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ৩৭০-৪০০, সোনালিকা ৩৬০-৩৯০ আর দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের দিনের চেয়ে মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মোহাম্মদপুর বাজারে মুরগিবিক্রেতা আল আমিন বলেন, শুক্রবার একটু চাপ বেশি থাকে। তাই দাম বেশি পড়ে৷
একই অবস্থা মাছের বাজারেও। ছোট রুই মাছ কেজিপ্রতি ৩২০-৩৫০ টাকা, বড় রুই ৪০০-৭০০, পাঙাশ ২৩০-২৫০, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০-১৭০০, তেলাপিয়া ২২০-২৫০, চাষের কই ২৮০-৩২০, শিং ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। চিংড়ির দাম বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৫০-১০০ টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতারা৷
মাছবিক্রেতা সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘বন্ধের দিনে বিশেষ কইরে শুক্র-শনিবার দাম সামান্য বেশি থাকে।’
সপ্তাহান্তে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াটা অন্যায্য এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহান্তে এবং ঈদে, রমজানে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের দেশে ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। সব জায়গায় বিক্রি বেশি হলে দাম কমে, অথচ আমাদের দেশে বিক্রি বাড়লে দামও বাড়ে। এটা অযৌক্তিক। এ জন্য বাজার তদারকি প্রয়োজন।’ তাঁর মতে, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে অভিযান পরিচালনা করে, শুক্রবার সেটা সেভাবে হয় না। তাদের জনবলও কম।
‘মাত্র এক রাতের ব্যবধানে কী এমন ঘটল যে মাছ, মাংস, সবজি—সবকিছুর দাম এত বেড়ে যাবে? ঝড়-বৃষ্টি হলো, নাকি সরবরাহ কমে গেল?’ এনজিওকর্মী শামসুন্নাহারের এমন প্রশ্নই ছিল গতকাল শুক্রবার রামপুরা বাজারে দোকানিদের কাছে। শামসুন্নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিকল্পনা ছাড়াই বৃহস্পতিবার বিকেলে সহকর্মীর সঙ্গে বাজারে এসেছিলেন। হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তখন কেনাকাটা করেননি। সপ্তাহের সওদা কিনতে গতকাল সকালে একই বাজারে এসে দেখেন মাছ, মুরগি, সবজিসহ প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে অনেকটা বেশি। শামসুন্নাহারের মতো যাঁরা নিয়মিত বাজারে যান, তাঁদের সবারই অভিযোগ, সপ্তাহান্তে কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ানো হয় প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম।
গতকাল রাজধানীর রামপুরা, মোহাম্মদপুর ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দিনের তুলনায় সবজি, মাছ, মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি৷ মোহাম্মদপুর বাজারের সবজিবিক্রেতা খলিল মিয়া বলেন, শুক্রবার ছুটিতে সবাই বাজারে আসে। কেনাবেচা বেশি হয়। তাই দামটা একটু বেশি থাকে।
বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০, পটোল ৫০-৬০, কাঁকরোল ৭০-৮০, টমেটো ৬০-৮০, কুমড়া ৪০-৫০, করলা ৬০-৮০, কাঁচা পেঁপে ৭০-৮০, ধুন্দল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৫০-৬০, ঝিঙা ৭০-৮০, সজনে ১৬০-২০০ এবং কাঁচা আম ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতিটি ৫০-৮০ টাকা, লেবু হালিপ্রতি ২৫-৪০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন বাজারে ১৮০-২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রামপুরা বাজারের সবজিবিক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম এই সময়ে একটু বেশিই থাকে।
বাজারে ডজনপ্রতি ফার্মের লাল ডিম ১৫০-১৫৫ টাকা, সাদা ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২২০-২৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ৩৭০-৪০০, সোনালিকা ৩৬০-৩৯০ আর দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের দিনের চেয়ে মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মোহাম্মদপুর বাজারে মুরগিবিক্রেতা আল আমিন বলেন, শুক্রবার একটু চাপ বেশি থাকে। তাই দাম বেশি পড়ে৷
একই অবস্থা মাছের বাজারেও। ছোট রুই মাছ কেজিপ্রতি ৩২০-৩৫০ টাকা, বড় রুই ৪০০-৭০০, পাঙাশ ২৩০-২৫০, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০-১৭০০, তেলাপিয়া ২২০-২৫০, চাষের কই ২৮০-৩২০, শিং ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। চিংড়ির দাম বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৫০-১০০ টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতারা৷
মাছবিক্রেতা সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘বন্ধের দিনে বিশেষ কইরে শুক্র-শনিবার দাম সামান্য বেশি থাকে।’
সপ্তাহান্তে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াটা অন্যায্য এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহান্তে এবং ঈদে, রমজানে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের দেশে ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। সব জায়গায় বিক্রি বেশি হলে দাম কমে, অথচ আমাদের দেশে বিক্রি বাড়লে দামও বাড়ে। এটা অযৌক্তিক। এ জন্য বাজার তদারকি প্রয়োজন।’ তাঁর মতে, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে অভিযান পরিচালনা করে, শুক্রবার সেটা সেভাবে হয় না। তাদের জনবলও কম।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে