নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় খেলাপি শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ৯টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলোতে আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্ধের নোটিশ সাঁটানো হয়।
এসব কারখানায় অন্তত ১৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর বিক্ষোভ করেছেন জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা এসব শ্রমিক।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারখানা আবার চালুর আশ্বাস দিয়ে কর্মকর্তারা তাঁদের বলেন, মূলত কাঁচামাল সংকটের কারণে কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এ সংকট দূর হলে কারখানাগুলো আবার উৎপাদনে আসবে।
বন্ধ ঘোষণা করা ৯টি কারখানাগুলোর মধ্যে আছে—এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস–নফ, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।
এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হোসাইন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল সংকটের কারণে এস আলম গ্রুপের ৯টি কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংকটের সমাধান হলে কারখানাগুলো আবার উৎপাদনে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড ও চেমন ইস্পাত লিমিটেডসহ আরো তিনটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এগুলোতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলীর কালারপুল এলাকায় এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের হাজারখানেক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানান অনেক শ্রমিক।
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, কারখানা বন্ধের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় কারখানাগুলোর জন্য কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন চালু রাখা যাচ্ছে না। এ জন্য সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এসব কারখানায় অন্তত ১৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন বলেও এসব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর আরও একাধিক ব্যাংক ও বিমা দখল করে নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয়।
পাশাপাশি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ অনুমোদন করা হয়। এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় খেলাপি শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ৯টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলোতে আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্ধের নোটিশ সাঁটানো হয়।
এসব কারখানায় অন্তত ১৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর বিক্ষোভ করেছেন জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা এসব শ্রমিক।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারখানা আবার চালুর আশ্বাস দিয়ে কর্মকর্তারা তাঁদের বলেন, মূলত কাঁচামাল সংকটের কারণে কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এ সংকট দূর হলে কারখানাগুলো আবার উৎপাদনে আসবে।
বন্ধ ঘোষণা করা ৯টি কারখানাগুলোর মধ্যে আছে—এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস–নফ, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।
এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হোসাইন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল সংকটের কারণে এস আলম গ্রুপের ৯টি কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংকটের সমাধান হলে কারখানাগুলো আবার উৎপাদনে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড ও চেমন ইস্পাত লিমিটেডসহ আরো তিনটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এগুলোতে কোনো বিক্ষোভ হয়নি।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলীর কালারপুল এলাকায় এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের হাজারখানেক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানান অনেক শ্রমিক।
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, কারখানা বন্ধের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় কারখানাগুলোর জন্য কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন চালু রাখা যাচ্ছে না। এ জন্য সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এসব কারখানায় অন্তত ১৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন বলেও এসব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর আরও একাধিক ব্যাংক ও বিমা দখল করে নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয়।
পাশাপাশি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ অনুমোদন করা হয়। এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। গত বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি পদত্যাগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত এপ্রিল মাসে। সদ্যসমাপ্ত মাসটিতে ২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন বা ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার বেশি। সে হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্সে এসেছে ৯ কোটি ডলারের বেশি।
৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ হাজার ১০৬ টন আলু নেপালে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গতকাল রবিবার (৪ মে ) বিকেল পর্যন্ত এই আলু রপ্তানি করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
৫ ঘণ্টা আগে২০১৩ সালে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলেছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। গ্রাহক এমা সিনটেক্স লিমিটেড ফ্যাব্রিকস পাঠায়, আমদানিকারক মিমময় ফ্যাশন বুঝে নেয়। এরপর ব্যাংকে বিল দাখিল হয়, সুইফট বার্তাও যায়। তারপর হঠাৎ সব থেমে যায়—বিল বাতিল।
১২ ঘণ্টা আগে