ইআরডির প্রতিবেদন
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
বিদেশি ঋণের চুক্তি ও অর্থছাড়ের গতি কমলেও বেড়েছে আগের ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি ৭১ লাখ ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু আসল টাকা ফেরত দিতে হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, আর সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৩৭ কোটি। অথচ এই সময় দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নতুন প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্পে অর্থছাড়—দুটিই কমেছে আগের বছরের তুলনায়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছর বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪২৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৭৬০ কোটি ডলারের বেশি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় অর্ধেকে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রশাসনিক অস্থিরতা এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, না হলে তহবিল প্রবাহ কমতেই থাকবে।’
বর্তমানে প্রকল্প পর্যালোচনার প্রক্রিয়া কঠোর হওয়ায় চুক্তির সংখ্যাও কমছে বলে জানিয়েছেন ইআরডি কর্মকর্তারা। তাঁদের ভাষায়, নির্বাচনের আগে নেওয়া একাধিক প্রকল্পে চুক্তি হওয়ায় তখন প্রতিশ্রুতির অঙ্ক ছিল অনেক বেশি। নতুন সরকার এসে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ে সময় নিচ্ছে, তাই ঋণচুক্তি কম হলেও শিগগির গতি ফিরবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
চলতি সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি এসেছে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ কর্মসূচি থেকে—১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যৌথভাবে দিয়েছে মাত্র ১০৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এডিবি থেকেও এ বছর এসেছে ৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি।
শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়, প্রকল্পে অর্থছাড়ও কমেছে স্পষ্টভাবে। এপ্রিল শেষে ছাড় হয়েছে ৫১৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার—বছরের ব্যবধানে কমেছে ১১২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণ এবং ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার সহায়তা ছিল।
বিশ্বব্যাংকের আইডিএ সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এডিবি ১৪০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, আগের বছরের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার পরিশোধ করেছিল ২৮১ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ৩০ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বে, পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে ঝুঁকি তৈরি হবে। অথচ সরকারের এ বছর বৈদেশিক বাজেট সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন, বিশ্বব্যাংক থেকে ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন এবং এডিবি থেকে ১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এখন ঋণ সংগ্রহের চেয়ে পরিশোধে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এতে দায়মুক্তি বাড়লেও বাজেট বাস্তবায়নের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
দীর্ঘ মেয়াদে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। না হলে প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের গতি হ্রাস এবং পরিশোধের চাপ একসঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
বিদেশি ঋণের চুক্তি ও অর্থছাড়ের গতি কমলেও বেড়েছে আগের ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি ৭১ লাখ ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু আসল টাকা ফেরত দিতে হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, আর সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৩৭ কোটি। অথচ এই সময় দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নতুন প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্পে অর্থছাড়—দুটিই কমেছে আগের বছরের তুলনায়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছর বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪২৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৭৬০ কোটি ডলারের বেশি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় অর্ধেকে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রশাসনিক অস্থিরতা এখনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, না হলে তহবিল প্রবাহ কমতেই থাকবে।’
বর্তমানে প্রকল্প পর্যালোচনার প্রক্রিয়া কঠোর হওয়ায় চুক্তির সংখ্যাও কমছে বলে জানিয়েছেন ইআরডি কর্মকর্তারা। তাঁদের ভাষায়, নির্বাচনের আগে নেওয়া একাধিক প্রকল্পে চুক্তি হওয়ায় তখন প্রতিশ্রুতির অঙ্ক ছিল অনেক বেশি। নতুন সরকার এসে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ে সময় নিচ্ছে, তাই ঋণচুক্তি কম হলেও শিগগির গতি ফিরবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
চলতি সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি এসেছে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ কর্মসূচি থেকে—১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান যৌথভাবে দিয়েছে মাত্র ১০৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এডিবি থেকেও এ বছর এসেছে ৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি।
শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়, প্রকল্পে অর্থছাড়ও কমেছে স্পষ্টভাবে। এপ্রিল শেষে ছাড় হয়েছে ৫১৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার—বছরের ব্যবধানে কমেছে ১১২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণ এবং ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার সহায়তা ছিল।
বিশ্বব্যাংকের আইডিএ সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এডিবি ১৪০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, আগের বছরের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার পরিশোধ করেছিল ২৮১ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ৩০ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বে, পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে ঝুঁকি তৈরি হবে। অথচ সরকারের এ বছর বৈদেশিক বাজেট সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন, বিশ্বব্যাংক থেকে ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন এবং এডিবি থেকে ১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এখন ঋণ সংগ্রহের চেয়ে পরিশোধে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এতে দায়মুক্তি বাড়লেও বাজেট বাস্তবায়নের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
দীর্ঘ মেয়াদে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। না হলে প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের গতি হ্রাস এবং পরিশোধের চাপ একসঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
ডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর আজ মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জাতীয় মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সঙ্গে রাশিয়ার মান সংস্থা—ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেটিং অ্যান্ড মেট্রোলজির (জিওএসটিআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবছরের অন্যতম সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল দেশের ১ নম্বর পেইন্ট ব্র্যান্ড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। ১২ জুলাই রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডাস্ট্রি, ইনোভেশন ও ইনফ্রাস্
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে অসংলগ্নতা থাকায় সেগুলো পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৪ ঘণ্টা আগে