Ajker Patrika

দেশ আগাচ্ছে, এই বয়ান ফেলে দিতে হবে: হোসেন জিল্লুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৩
সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিবিএফের অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিবিএফের অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন সস্তা কিছু আত্মতুষ্টি এসে যায়। আমরা বলি দেশ আগাচ্ছে। এখনকার সময়ে বাংলাদেশ আগাচ্ছে, এই বয়ান ফেলে দিতে হবে। আগাচ্ছে এটা বিষয় নয়, কী গতিতে আগাচ্ছে সেটা হলো বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মতুষ্টির ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ২০০৪ সালে ভিয়েতনাম আর আমরা একই জায়গায় ছিলাম। কিন্তু এখন তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। দেশের মানুষ পরিশ্রমী, তাই কিছু না কিছু এমনিতেই আগাবে। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্তে, অর্থনীতিতে এবং মানসিকতায় আরও গতি আনতে হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন।

পরিবর্তনের বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখতে নতুন ‘গ্রোথ ড্রাইভার’ (চালিকাশক্তি) খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আরএমজি রপ্তানি করছে, সেটা তো আছেই, নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে। ফার্মা, কৃষি, আইটি ও লেদার খাতের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।

দুর্নীতি সূচকের মতো হয়রানিকে রাষ্ট্রীয় ব‍্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধে কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।

তিনি বলেন, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে, আর আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নন-এলাই বা ওপেনলি ননপলিটিক্যাল দেশ হিসেবে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।

বাণিজ্যযুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, বাণিজ্য সহায়তা ও সহজীকরণ, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন মাসরুর রিয়াজ।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং সংগঠনটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থানের পর সংগঠনটির নেতৃত্বে একজন সাবেক আমলাকে বসানো হয়েছে, যার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অভিজ্ঞতা নেই।

ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থা ‘এতিমের মতো’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা কার কাছে যাব, কোথায় যাব, কী করব, বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে পোর্ট চার্জ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতা আব্দুল হক যুদ্ধের প্রভাব ও করণীয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নেপালে জেন-জিদের পার্লামেন্ট দখল, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান গ্রেপ্তার

ভারতে শেখ হাসিনার পরিণতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থাকে যা বলেছেন বদরুদ্দীন উমর

প্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে আনা হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের সুপারিশ করবে কমিশন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত