দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে সংকটে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই দেশটির ২ হাজারেরও বেশি দোকানের ঝাপ বন্ধ হয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৮ বছরের মধ্যে এ প্রথম এত দোকান খালি পড়ে থাকছে।
গত দুই বছর বেশ সফলভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাজ্যের এ স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। মহামারির সময় মানুষ কেনাকাটার জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেছে নিয়েছিল। সরকারও ভাড়া এবং বাণিজ্যের বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছিল।
লোকাল ডেটা কোম্পানির (এলডিসি) গবেষণা বলছে, এ বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের মূল সড়কের পাশে, শপিংমল ও খুচরা বিক্রির মোট ১ হাজার ৯১৫টি দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে চালু হওয়া দোকানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৩৫টি এবং ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮০৪টি।
এলডিসির তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কেশসজ্জা ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৩৮৯টি কেশসজ্জার দোকান। মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছে রিয়েল এস্টেট এজেন্সি, পানশালা, মাছ ও খুচরা দোকান, ফুল বিক্রেতা, কসাইখানা, সংবাদ সংস্থা এবং গাড়ির ডিলারশিপগুলো।
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, সরবরাহ খরচ বৃদ্ধি এবং কোভিড কালে নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপের কারণেও স্বাধীন ছোট ব্যবসাগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তবে সস্তার পণ্য এবং অফিস থেকে ফিরতি পথে কেনা যায় এমন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাপিত, বিউটি সেলুন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের সংখ্যা ও পরিসর বাড়ছে। বিদ্যালয় এবং সামাজিকীকরণ সেবার চাহিদাও বেড়েছে। এ ছাড়া স্বাধীন ভেপ শপ (ই–সিগারেট) এবং হেলথ ক্লাবের ব্যবসাও বাড়ছে।
অর্থনৈতিক মন্দার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইংল্যান্ডের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলে ও ইয়র্কশায়ারে। তবে বৃহত্তর লন্ডনের বেশিরভাগ অঞ্চলই এর আওতার বাইরে রয়েছে।
এলডিসির বাণিজ্যিক পরিচালক লুসি স্টেইনটন বলেন, ‘এ বছরের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশে আমাদের স্বাধীন ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, কেশসজ্জা ও পানশালার মতো ব্যবসাগুলো এ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।’
লুসি বলেন, ‘মুনাফার হার ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় ধস নেমেছে। যার ফলে এস্টেট এজেন্টের সংখ্যা দিনদিন কমে আসছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের (সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনসহ) দোকানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না পত্রিকার এজেন্টরা।।’
লুসি বলেন, ‘মহামারির সময় চালু হওয়া ক্ষুদ্র এ ব্যবসাগুলো বর্তমানের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার মতো অর্থ সঞ্চয় করতে পারেনি। কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভোক্তারা এখন তেমন খরচ করেন না। আর তাঁদের ব্যবসাও বেশি দিনের নয়। সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ কমে আসার কারণে ক্ষুদ্র এ উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
ক্ষুদ্র বাণিজ্য সংঘের প্রধান মার্টিন ম্যাকট্যাগ বলেন, ‘মহামারির সময় আমরা নতুন অনেক ব্যবসা সমৃদ্ধ হতে দেখেছি। মহামারির মতো দুঃসময়ে এটি এক আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছিল। হুট করেই মানুষ তাঁদের দীর্ঘদিন দমিয়ে রাখা ইচ্ছা পূরণের সুযোগ পেয়েছিল। তবে, দুঃখজনকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ ব্যবসাগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের প্রথমার্ধে মোট ২ হাজার চেইন স্টোর বন্ধ হয়ে গেছে। আগের বছর বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের সংখ্যাও একই পরিমাণ ছিল। বর্তমানে বন্ধ দোকানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৪ হাজার বেশি। সে হিসাবে দেশটির দোকানঘর খালি পড়ে থাকার হার গত বছরের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে সংকটে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই দেশটির ২ হাজারেরও বেশি দোকানের ঝাপ বন্ধ হয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৮ বছরের মধ্যে এ প্রথম এত দোকান খালি পড়ে থাকছে।
গত দুই বছর বেশ সফলভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাজ্যের এ স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। মহামারির সময় মানুষ কেনাকাটার জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেছে নিয়েছিল। সরকারও ভাড়া এবং বাণিজ্যের বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছিল।
লোকাল ডেটা কোম্পানির (এলডিসি) গবেষণা বলছে, এ বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের মূল সড়কের পাশে, শপিংমল ও খুচরা বিক্রির মোট ১ হাজার ৯১৫টি দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে চালু হওয়া দোকানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৩৫টি এবং ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮০৪টি।
এলডিসির তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কেশসজ্জা ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৩৮৯টি কেশসজ্জার দোকান। মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছে রিয়েল এস্টেট এজেন্সি, পানশালা, মাছ ও খুচরা দোকান, ফুল বিক্রেতা, কসাইখানা, সংবাদ সংস্থা এবং গাড়ির ডিলারশিপগুলো।
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, সরবরাহ খরচ বৃদ্ধি এবং কোভিড কালে নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপের কারণেও স্বাধীন ছোট ব্যবসাগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তবে সস্তার পণ্য এবং অফিস থেকে ফিরতি পথে কেনা যায় এমন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাপিত, বিউটি সেলুন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের সংখ্যা ও পরিসর বাড়ছে। বিদ্যালয় এবং সামাজিকীকরণ সেবার চাহিদাও বেড়েছে। এ ছাড়া স্বাধীন ভেপ শপ (ই–সিগারেট) এবং হেলথ ক্লাবের ব্যবসাও বাড়ছে।
অর্থনৈতিক মন্দার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইংল্যান্ডের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলে ও ইয়র্কশায়ারে। তবে বৃহত্তর লন্ডনের বেশিরভাগ অঞ্চলই এর আওতার বাইরে রয়েছে।
এলডিসির বাণিজ্যিক পরিচালক লুসি স্টেইনটন বলেন, ‘এ বছরের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশে আমাদের স্বাধীন ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, কেশসজ্জা ও পানশালার মতো ব্যবসাগুলো এ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।’
লুসি বলেন, ‘মুনাফার হার ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় ধস নেমেছে। যার ফলে এস্টেট এজেন্টের সংখ্যা দিনদিন কমে আসছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের (সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনসহ) দোকানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না পত্রিকার এজেন্টরা।।’
লুসি বলেন, ‘মহামারির সময় চালু হওয়া ক্ষুদ্র এ ব্যবসাগুলো বর্তমানের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার মতো অর্থ সঞ্চয় করতে পারেনি। কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভোক্তারা এখন তেমন খরচ করেন না। আর তাঁদের ব্যবসাও বেশি দিনের নয়। সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ কমে আসার কারণে ক্ষুদ্র এ উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
ক্ষুদ্র বাণিজ্য সংঘের প্রধান মার্টিন ম্যাকট্যাগ বলেন, ‘মহামারির সময় আমরা নতুন অনেক ব্যবসা সমৃদ্ধ হতে দেখেছি। মহামারির মতো দুঃসময়ে এটি এক আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছিল। হুট করেই মানুষ তাঁদের দীর্ঘদিন দমিয়ে রাখা ইচ্ছা পূরণের সুযোগ পেয়েছিল। তবে, দুঃখজনকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ ব্যবসাগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের প্রথমার্ধে মোট ২ হাজার চেইন স্টোর বন্ধ হয়ে গেছে। আগের বছর বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের সংখ্যাও একই পরিমাণ ছিল। বর্তমানে বন্ধ দোকানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৪ হাজার বেশি। সে হিসাবে দেশটির দোকানঘর খালি পড়ে থাকার হার গত বছরের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম আয়োজিত স্থাপত্যবিষয়ক সম্মেলন ‘আর্কিটেকচার: হোয়ার টু গো’ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের খ্যাতনামা স্থপতি, একাডেমিশিয়ান ও উদ্ভাবনী তরুণ প্রজন্ম অংশ নেয়।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৩১ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনের ১৭ দিন আগে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানায় ই-ক্যাবের নির্বাচন বোর্ড।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার এক দম্পতির বিরুদ্ধে গৃহপালিত বিড়ালকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্মস্থল গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মাকে ট্যাগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠান দুটিও নিজ নিজ...
৬ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক সংস্থা ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এমিরেটসের ব্র্যান্ড ভ্যালু আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী আকাশভ্রমণকারীদের মধ্যে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে উল্লেখ করেছে।
৮ ঘণ্টা আগে