সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।
অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।
৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।
ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।
জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
উন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।
বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।
বিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।
প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’
বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’
মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
১ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
১ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ওই বিনিয়োগের অর্থ ফেরাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের ১০০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে। একই সঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডের (বর্তমানে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড) ৫১ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হলেও ২৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা দরে কেনা হয়।
বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কোম্পানির প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৪ পয়সা এবং রিটেইন আর্নিংস ঋণাত্মক ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত)। ওই সময় ডিএসইর ওটিসি প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।
১ কোটি টাকা করে জরিমানা
বিএসইসি বলেছে, বিনিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন প্রকাশ না করা, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) না করা ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ার লক–ইন না করা—এসব সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রিয়াজ ইসলাম, চেয়ারম্যান ও গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগ, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসান, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক মেদিনা আলী, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক সৈয়দ কামরুল হুদা এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক মো. ওমর সোব চৌধুরী।
বিনিয়োগ ফেরাতে ব্যর্থ হলে শতকোটি টাকা জরিমানা
বিএসইসি জানিয়েছে, এই ছয় ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সুদসহ মোট ৯০ কোটি টাকা ৩০ দিনের মধ্যে ফান্ডগুলোতে ফেরত আনতে হবে। এই অর্থ ফেরতের জন্য এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত না এলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা, পরিচালক জর্জ এম স্টক থ্রিকে ১ কোটি টাকা, পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগকে ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ মোট জরিমানা ধার্য করা হবে ১০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর বিধান লঙ্ঘন করে লোকসানি ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিতে বিনিয়োগের ফলে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ায় জনস্বার্থে ছয়টি ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
ফান্ডগুলোর যথাযথ তদারকিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিজিআইসি) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগকে ১০ লাখ টাকা এবং একই সময়ে তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি করার কারণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ৫২ টাকা ২৫ পয়সা দরে মোট ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগের শেয়ার মূল্যায়ন করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।
তদন্তে দেখা গেছে, এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন ও রিয়াজ ইসলামের মধ্যে যোগসাজশের ভিত্তিতে শেয়ার মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ওই বিনিয়োগের অর্থ ফেরাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের ১০০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে। একই সঙ্গে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডের (বর্তমানে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড) ৫১ শতাংশ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হলেও ২৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা দরে কেনা হয়।
বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কোম্পানির প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৭৪ পয়সা এবং রিটেইন আর্নিংস ঋণাত্মক ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা (৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত)। ওই সময় ডিএসইর ওটিসি প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।
১ কোটি টাকা করে জরিমানা
বিএসইসি বলেছে, বিনিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন প্রকাশ না করা, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) না করা ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা শেয়ার লক–ইন না করা—এসব সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রিয়াজ ইসলাম, চেয়ারম্যান ও গ্রিন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগ, তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসান, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিনিধি পরিচালক মেদিনা আলী, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক সৈয়দ কামরুল হুদা এবং এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ানের প্রতিনিধি পরিচালক মো. ওমর সোব চৌধুরী।
বিনিয়োগ ফেরাতে ব্যর্থ হলে শতকোটি টাকা জরিমানা
বিএসইসি জানিয়েছে, এই ছয় ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সুদসহ মোট ৯০ কোটি টাকা ৩০ দিনের মধ্যে ফান্ডগুলোতে ফেরত আনতে হবে। এই অর্থ ফেরতের জন্য এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত না এলে রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা, পরিচালক জর্জ এম স্টক থ্রিকে ১ কোটি টাকা, পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগকে ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ মোট জরিমানা ধার্য করা হবে ১০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর বিধান লঙ্ঘন করে লোকসানি ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিতে বিনিয়োগের ফলে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ায় জনস্বার্থে ছয়টি ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
ফান্ডগুলোর যথাযথ তদারকিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিজিআইসি) ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগকে ১০ লাখ টাকা এবং একই সময়ে তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি করার কারণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি জানায়, কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার ৫২ টাকা ২৫ পয়সা দরে মোট ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগের শেয়ার মূল্যায়ন করেছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।
তদন্তে দেখা গেছে, এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন ও রিয়াজ ইসলামের মধ্যে যোগসাজশের ভিত্তিতে শেয়ার মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
১ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে বিনিয়োগ ও কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের মূলধন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় অনৈতিক যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯৭৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সংস্থার পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে বিনিয়োগ ও কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের মূলধন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় অনৈতিক যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
১ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে। ডলারের দর কারসাজি হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এসব স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে শুধু স্বাধীনতা দিলেই হবে না, বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। এটা নিশ্চিত করতে না পারলে সেই স্বাধীনতা কার্যকর হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কখনো প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি। আমলাদের গভর্নর করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদহার ও ডলারের দাম ঠিক হয়েছে। ওই সময় দেশ থেকে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে। সেটা দিতে হবে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা।
আশিকুর রহমান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। প্রবৃদ্ধিকে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং আর্থিক খাতে সুশাসন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। বাজারব্যবস্থা যদি মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য বা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ব্যাংক খাতের সব সূচক খারাপ হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই আমরা তা জানতাম। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হয়েছে। প্রকৃত চেহারা ফুটে উঠেছে। এত দিন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালকের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং বিভাগ বিলুপ্ত করে দিতে হবে। ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন চলবে না। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। পরবর্তী সরকারকে এর স্বীকৃতি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা কার্যকর হবে না।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, আর্থিক খাত হলো পুরো অর্থনীতির প্রাণ। আর্থিক খাত যেখানে পৌঁছে গেছে, তা থেকে উদ্ধার না করলে অর্থনীতির গতি ফেরানো যাবে না। ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে দেওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলাম। সেটা না করে ২০২২ সালে স্বল্প সময়ে ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যার চাপ সবাইকে নিতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির ধারাবাহিকতা থাকা জরুরি। ব্যাংকিং বিভাগকে অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। আর আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যত স্বাধীনতা দেওয়া হোক, কাকে গভর্নর করা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদের সময় আমরা ভালো পরিবেশ দেখেছি। আইনে যা-ই হোক, ব্যাংক খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা বেশি জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আখতার হোসেন প্রমুখ।
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে। ডলারের দর কারসাজি হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এসব স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে শুধু স্বাধীনতা দিলেই হবে না, বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। এটা নিশ্চিত করতে না পারলে সেই স্বাধীনতা কার্যকর হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কখনো প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি। আমলাদের গভর্নর করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদহার ও ডলারের দাম ঠিক হয়েছে। ওই সময় দেশ থেকে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে। সেটা দিতে হবে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা।
আশিকুর রহমান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। প্রবৃদ্ধিকে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং আর্থিক খাতে সুশাসন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। বাজারব্যবস্থা যদি মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য বা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ব্যাংক খাতের সব সূচক খারাপ হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই আমরা তা জানতাম। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হয়েছে। প্রকৃত চেহারা ফুটে উঠেছে। এত দিন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালকের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং বিভাগ বিলুপ্ত করে দিতে হবে। ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন চলবে না। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। পরবর্তী সরকারকে এর স্বীকৃতি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা কার্যকর হবে না।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, আর্থিক খাত হলো পুরো অর্থনীতির প্রাণ। আর্থিক খাত যেখানে পৌঁছে গেছে, তা থেকে উদ্ধার না করলে অর্থনীতির গতি ফেরানো যাবে না। ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে দেওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলাম। সেটা না করে ২০২২ সালে স্বল্প সময়ে ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যার চাপ সবাইকে নিতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির ধারাবাহিকতা থাকা জরুরি। ব্যাংকিং বিভাগকে অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। আর আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে যত স্বাধীনতা দেওয়া হোক, কাকে গভর্নর করা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদের সময় আমরা ভালো পরিবেশ দেখেছি। আইনে যা-ই হোক, ব্যাংক খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা বেশি জরুরি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আখতার হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
১ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদ
০৫ ডিসেম্বর ২০২২মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঘটনায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামসহ ছয় পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ৬ কোটিসহ মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলা
১ ঘণ্টা আগেবিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও।
১ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরিবারের কাছে ব্যাংকগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদের হার ও ডলারের দাম ঠিক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে