আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল এবং সাজু মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, হলটি দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়েছিলেন। শুরু থেকে একটি মহল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতায় নামে। প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গতকাল সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে আজ বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আয়োজক কামরুজ্জমান সাইফুল। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মোহাম্মদ কামরুজ্জমান সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে ফিল্ম মার্কেটিং এবং ফিল্ম অফস্ক্রিন অ্যাডভার্টাইজিং এর সাথে জড়িত। এ কারনে চলচ্চিত্রের প্রতি আমার এক ধরনের ভালোবাসা আছে। যেহেতু টাঙ্গাইল শহরে কোন সিনেমা হলে নেই সে কারনে আমরা উভয়ে মিলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তান্ডব ছবিটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করি। টাঙ্গাইল শহরের ভেতরে কোন অডিটোরিয়াম খালি না থাকায় ‘জেলা পরিষদের’ মালিকানাধীন কালিহাতী থানার অন্তর্গত আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামটি যথাযথ নিয়মে ১ মাসের জন্য ভাড়া নেই।
ঈদের দিন থেকে সিনেমা চালানোর জন্য প্রচারণা এবং অডিটোরিয়ামটি প্রস্তুত করতে থাকি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই ঈদের আগের দিন স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো থেকে অডিটোরিয়ামে তান্ডব চালানো বন্ধ করার জন্য মাইকে ঘোষণা হয়েছে এবং সমস্ত পোস্টার ও ব্যনার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আলেম সমাজ বা ওলামা পরিষদ নামে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে স্থানীয় জনগণের ভেতরে আশংকা তৈরি হয় যে অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন অডিটোরিয়াম ঘেরাও হতে পারে এরকম সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। চারিদিকে আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলাফল ঈদের দিন অডিটোরিয়ামটিতে কোন দর্শক আসেনি। সঠিক সময়ে আশে পাশের এলাকার দর্শক না আসায় দূরের দর্শক অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে এসেও ঘুরে যেতে থাকে। তবুও একপ্রকার অনন্যোপায় হয়েই মাত্র ২০ / ২৫ জন দর্শক নিয়েই সন্ধ্যার শো টি চালু করে দেয়া হয়।
পরের দিন আলেম সমাজ আউলিয়াবাদ বাজারসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সিনেমা হল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে। আমরা ঈদের আগেই স্থানীয় থানায় পুলিশি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এলাকার থমথমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থানায় যোগাযোগ করা হলে আলেম সমাজের কথা শুনে কার্যত থানা থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়না। টাঙ্গাইল ডিএসবি এবং এসপি অফিসে যোগাযোগ করার পর ঈদের বন্ধের অযুহাতে নিরাপত্তা না দিয়ে পাশ কাটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সব জায়গাথেকে চেষ্টা করেও আমাদের প্রশসানিক সহায়তা পেতে ব্যর্থ হতে হয়। এমতাবস্থায় শত বাধা সত্বেও ঈদের পরের দিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেই। সেদিন মিছিল না হলেও আলেম সমাজের সমাবেশ ঘটে। জানা যায় শুধুমাত্র আউলিয়াবাদ নয় আলেম সমাজ সারা টাঙ্গাইল শহরে সর্বদলীয় মিছিল সমাবেশ করার আহŸান করা হয়েছে। উপরন্তু সহায়তা প্রদান না করে থানা, উপজেলা, জেলা পরিষদ তদুপারি ডিএসবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল হলে পারমিশন ক্যানসেল করে দেয়া হবে। প্রায় সবাই আমাকে নেগোশিয়েট করার পরামর্শ দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনও সংস্কৃতিপ্রেমী হলেও তারা এরকম ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যূ নিয়ে আলেম সমাজের মতের বাইরে কথা বলতে চায়না। তবুও আলেম সমাজের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া গেল এক শর্তে তারা কেউ কোন কথা বলবেনা শুধুমাত্র আমাকেই যা বলার বলতে হবে।
আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না চলে যাবো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকবে। অত্র এলাকায় প্রচারণার জন্য মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। অডিটোরিয়ামে থাকা সমস্ত কর্মীকে ভেতরে অবরোধ করে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে অত্র এলাকায় একটি আতঙ্কিত ও থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আরো গুঞ্জন শোনা যায় অডিটোরিয়ামের বাইরে বের হলেই আমাদের উপর হামলা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি অডিটোরিয়াম থেকে বড় ব্যানারটি খুলে ফেললে কার্যত হলটি বন্ধ হয়ে যায়।
অত্র এলাকায় আমাকে ‘নাস্তিক’ ‘মুরতাদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে করে আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তহীনতায় ভুগতে থাকি। এমতাবস্থায় আমরা নিজেদের জান মাল রক্ষোর্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অডিটোরিয়ামটি বন্ধ করে রাতের আধারে চলে আসতে বাধ্য হই।
চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমাধ্যম। এর নির্মাণ আয়োজন যেমন বিশাল তেমনই প্রদর্শনের জন্য দরকার পড়ে ব্যাপক প্রস্তুতির। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সিনেমা একটা বড় আনন্দ ও বিনোদনেরই অংশবিশেষ। ঈদের সময় মানুষ দীর্ঘ সারি পেরিয়ে সিনেমা হলে যায়। অনেক হলে এসি নেই। একে তো লোকে লোকারণ্য তার উপর আবার নড়বড়ে ফ্যান। ঘামে সারা গা জবজব করে। এতসব মেনে নিয়েও মানুষ সিনেমা দেখে। বিনোদন পেতে চায়। আর তাইতো ঈদের সময় বড় বড় তারকা সম্বলিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। প্রযোজকের লগ্নি উঠে আসে। এক সময় আমাদের ১৪০০ এর ও বেশি নিয়মিত সিনেমা হল ছিলো। কমতে কমতে এখন ৭০ / ৮০টি নিয়মিত এবংদেড় শতাধিকের মতো সিনেমা হল হিসেবে টিকে আছে। সরকার যদি অপশক্তির কাছে ভয় পায় তাহলে অচিরেই সিনেমা হল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়াম মানেই এ দেশের যেকোন সিনেমা হল। শুধুমাত্র আলেম সমাজের বাঁধার কারনে এখান থেকে তান্ডব সরিয়ে নেয়া মানে পুরো তান্ডবের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথেই এমন ধর্মীয় ধুয়ো তুলে আঘাত হানা। এ কারনেই শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সমিতির প্রতিবাদ করতে হবে। সাংবাদিকদের কলম তুলতে হবে। নইলে আজ আমাকে ধ্বংস করেছে কাল সবাইকে এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আউলিয়াবাদের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং তান্ডব প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ও তদসংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই একটা অশনী সংকেত! আজ আমি ধ্বসপ্রাপ্ত এবং ক্লান্ত। আমার ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার আমার উপর নিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উপর যে আঘাত হানা হয়ে তার বিচারের দায়ভার জাতীর উপর দিয়ে ভারমুক্ত হলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
৯ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেপবিপ্রবি সংবাদদাতা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের ছাউনিযুক্ত এই বাসশেড নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে উদ্বোধনের আগেই স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা দুর্বল কংক্রিট, খোয়া ও মরিচা পড়া রডের টুকরাগুলো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন স্থাপনার এমন পরিণতি উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পের মান নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ল্যাব পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হালিম বলেন, ‘সাধারণত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ২৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার না করার নির্দেশনা থাকে। কিন্তু ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে স্ল্যাবের এক পাশে ক্ষতি হয়েছে।’ নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু পুরোনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসানুর রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। খুব দ্রুত আমরা এটি ঠিক করার ব্যবস্থা করব।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
৯ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
৯ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া করে ঈদের দিন থেকে ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেটি বন্ধ করা হয়েছে।
১১ জুন ২০২৫
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে সদ্য নির্মিত বাসশেডের সামনের একটি স্ল্যাব উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
৯ মিনিট আগে
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে