Ajker Patrika

সিলেটে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ নবীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানকে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা। ছবি: সংগৃহীত
ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) ও পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি নির্মলেন্দু দাশ রানাকে (৪৭) সিলেট মহানগরীতে মারধর করা হয়েছে। ‘ছাত্র-জনতা’ নামধারী কয়েকজন গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগরীর রিকাবিবাজার এলাকায় তাঁকে আটকে মারধর করেন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সিলেট মহানগরীর রিকাবিবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন নির্মলেন্দু দাশ রানা এবং বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জীবন। এ সময় ‘ছাত্র-জনতা’ নামধারী কয়েকজন নির্মলেন্দু দাশ রানাকে আটক করেন। পরে তাঁকে রাস্তায় নিয়ে বেধড়ক কিলঘুষি মারা হয়।

খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের লামাবাজার ফাঁড়ির এসআই আলী হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মলেন্দু দাশ রানাকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেয়।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে মারধর করা হয় সিলেট। ছবি: সংগৃহীত
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে মারধর করা হয় সিলেট। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় জামায়াতে ইসলামীর একটি মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্মলেন্দু দাশ রানাকে প্রধান আসামি করে এবং আওয়ামী লীগের আরও ২৬ নেতার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন জামায়াতে ইসলামীর সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহ মো. আলাউদ্দিন। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান রানা। পরে মামলা আপসের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের লেনদেনের গুঞ্জন ছড়ায়। এরপর জামায়াত নেতা আলাউদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানাকে সিলেটে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিস্তারিত জানার জন্য খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত