Ajker Patrika

অনন্ত বিজয় হত্যা মামলা: রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ

সিলেট প্রতিনিধি
অনন্ত বিজয় হত্যা মামলা: রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ

সিলেটের বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে আজ বুধবার এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি সম্পন্ন হয়।

তবে আসামিপক্ষ শুনানি শুরু করে শেষ করতে পারেননি। তাই বিচারক আগামীকাল বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন। যুক্তিতর্ক শেষ হলে মামলার রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর।

জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ছিল। এ সময় আদালতে মামলার আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও সফিউর রহমান ফারাবী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তখন আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আরও সময় চায়। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব গতকাল মঙ্গলবার সময় নির্ধারণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়।

মামলার এজাহারদাতা পক্ষে মামলা পরিচালনায় অংশ নেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অ্যাডভোকেট মুমিনুর রহমান টিটু, অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনায় অংশ নেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ও অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর বলেন, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আসামিপক্ষ শুনানি শেষ করতে না পারায় বিচারক আগামীকাল বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই সময় এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। এরপর নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

 ২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগ দেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ। এই মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি মান্নান রাহী কারান্তরীণ অবস্থায় মারা গেছেন। অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত