Ajker Patrika

চুরির চার মাস পর দুবাইপ্রবাসীর কাছ থেকে আইফোন উদ্ধার, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ১৫: ৩৬
উদ্ধারকৃত আইফোন ও দুবাইয়ের ক্রয় রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত আইফোন ও দুবাইয়ের ক্রয় রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের তিনটি দোকান থেকে ৭৮ লাখ টাকার মোবাইল ফোন চুরির চার মাস পর চুরি যাওয়া একটি আইফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত মঙ্গলবার দিরাই উপজেলার এক দুবাইপ্রবাসীর কাছ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। তবে এতদিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।

চুরি যাওয়া ফোনটি অন্য একটি পুলিশ ফাঁড়ির এক উপপরিদর্শকের (এসআই) সহযোগিতায় উদ্ধার হওয়ায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মোবাইল ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুখে মাস্ক পরা পাঁচজন দুর্বৃত্ত জগন্নাথপুর সদরের মোবাইল মার্কেটের তিনটি দোকান—‘রাফি টেলিকম’ (দুটি শাখা) ও ‘এসএ টেলিকম’-এর তালা ভেঙে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসেট চুরি করে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া এ চুরির ঘটনায় রাফি টেলিকমের মালিক কামরুজ্জামান কামরান ওই দিনই অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী কামরান বলেন, “ঘটনার পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কোনো কার্যকর তৎপরতা দেখতে পাইনি। তাই আমার পরিচিত একজন এসআইয়ের সহযোগিতায় যেসব ফোনের আইএমইআই নম্বর জানা ছিল, সেগুলো প্রযুক্তি ব্যবহারে ট্র্যাক করি। এভাবে চার মাস পর এক লাখ টাকা মূল্যের একটি আইফোন দিরাই উপজেলার এক দুবাইপ্রবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করি।”

তিনি জানান, ওই প্রবাসী দুবাইয়ের যমযম আল মাদিনা নামের একটি দোকান থেকে মোবাইলটি প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন এবং রশিদও জমা দিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর প্রবাসী নিজেই ফোনটি ফেরত দেন।

এসএ টেলিকমের মালিক সুহেল মিয়া বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত থানা পুলিশের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। একজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে ফোন উদ্ধার করতে পারলে পুলিশ এতদিনেও কিছু করতে পারল না—এটাই তো বড় প্রশ্ন।”

মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রূপ মিয়া বলেন, “চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার ও দায়ীদের গ্রেপ্তারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে ব্যবসায়ীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা তদন্ত করছি এবং চোরদের শনাক্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মুখে মাস্ক থাকায় সনাক্ত করতে সময় লাগছে, তবে আমরা পিছিয়ে নেই।”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত