Ajker Patrika

সম্ভব হলে ঢাকাতেও আবাসিক গ্যাস বন্ধ করে দিতাম: জ্বালানি উপদেষ্টা

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ১৯: ২৩
গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসিকে গ্যাস-সংযোগ আর কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘কিয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়া সম্ভব নয়। আমার পক্ষে সম্ভব হলে আমি ঢাকাতেও বাসাবাড়ির গ্যাস বন্ধ করে দিতাম।’

আজ শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গ্যাস সবচেয়ে আন-অফিশিয়াল ব্যবহৃত হয় আবাসিকে। শিল্পকারখানায় যখন গ্যাসের ঘাটতি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যখন গ্যাস মেলে না, তখন বাসাবাড়িতে গ্যাস ব্যবহার আসলে একপ্রকার অপচয়। এতে যে ব্যয় হয়, তার সঙ্গে গ্যাস বিক্রির অর্থের বিস্তর ফারাক।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে গ্যাস উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় আমরা স্বল্পমূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। বেসরকারি সিলিন্ডার যেখানে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা, সেখানে আমরা দিচ্ছি ৮০০ টাকায়। এটা আমরা এখনই চালু করব। ভবিষ্যতে বাসাবাড়িতে গ্যাস-সংযোগ আর দেওয়া হবে না।’

উপদেষ্টা জানান, একসময় দেশে গ্যাসের ব্যবহার ছিল না বলেই আবাসিকে সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এখন এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে এবং সরকার এর দাম কমানোর চেষ্টা করছে। বাসাবাড়িতে এলপিজি ও শিল্প খাতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহারের দিকেই যাবে সরকার।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও ১ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভারের রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, ‘এই কূপগুলোর পাশ থেকেই গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। সিলেটের দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমানে মোট ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। আরও একটি কূপ খনন করা হবে, কাজ চলছে। আশা করছি, সেখান থেকেও ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।’

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন, কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, এমএসটি প্ল্যান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত