সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
বন, টিলা, পাহাড় ও চা-বাগানে ভরা হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন চা-শ্রমিকপুত্র উজ্জ্বল কুমার দাশ ও চা-কন্যা খাইরুন আক্তার।
চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বরাবরই সোচ্চার এ দুই প্রার্থী। উজ্জ্বল কুমার দাশ বাংলাদেশ চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং খাইরুন আক্তার বাংলাদেশ চা কল্যাণ নারী সংগঠনের সভাপতি।
সাধারণ শ্রমিকেরা ৫ টাকা, ১০ টাকা দিয়ে একটি ফান্ড গঠন করে তাঁদের প্রার্থী করেছেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। শ্রমিকেরা নিজ খরচে প্রচারও চালিয়ে চাচ্ছেন তাঁদের পক্ষে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেউন্দি বাগানের চা-শ্রমিক অধীর কুমার দাশের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার দাশ বড়। স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং পঞ্চাশ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ভর্তি হন চুনারুঘাট কলেজে। একমাত্র বাবার উপার্জন দিয়ে সংসার চালানোর পর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তিনি বাগানে চা-শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কাজের ফাঁকে লেখাপড়া চালিয়ে যান। চুনারুঘাট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর বিএ ভর্তি হন হবিগঞ্জে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে। ছাত্রাবস্থায়ই একটি এনজিওতে চাকরি নেন। ছেড়ে দেন চা-শ্রমিকের কাজ। বিএ পাসের পর বেশ কয়েকটি এনজিওতে কাজ করেন। বর্তমানে চা-শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার তিনি।
অন্যদিকে, খাইরুন আক্তার মাত্র ১৭০ টাকা দৈনিক মজুরিতে চা-পাতা উত্তোলন করে সংসার চালান। তাঁর বাড়ি চান্দপুর চা-বাগানে। খাইরুন অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ে যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁর বাবা আব্দুল মজিদ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মা, তিন বোন আর এক ভাইয়ের মুখে খাবার জোগাড় করতে পড়াশোনা ছেড়ে বাগানে শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান খাইরুন।
শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। কাজের ফাঁকে অবহেলিত চা-শ্রমিকদের নানা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় ২৪টি বাগান রয়েছে। আমরা সবাই একসাথে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে যা পারি, তা দিয়ে সাহায্য করছি। আশা করি দুজনই বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।’
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুন আক্তার বলেন, ‘শ্রমিকেরা ৫ টাকা, ১০ টাকা থেকে শুরু করে যে যা পারে, তা দিয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা যদি সহযোগিতা না করত, তাহলে দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব হতো না।’
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার দাশ বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ আমল থেকেই শোষিত হয়ে আসছি। আমাদের ভোটের অধিকার দেওয়া হলেও জমির অধিকার পাই না। তাই শ্রমিকেরা তাদের জমির অধিকার এবং তাদের অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী করেছে। আশা করি নির্বাচনে জয়ী হয়ে তাদের দাবি আদায়ে ভূমিকা পালন করতে পারব।’
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। তাঁরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের (আনারস), সৈয়দ লিয়াকত হাসান (ঘোড়া), লুৎফুর রহমান চৌধুরী (কই মাছ), রায়হান উদ্দিন (মোটরসাইকেল) ও হাবিবুর রহমান জুয়েল (কাপ-পিরিচ)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন লুৎফুর রহমান মহালদার (চশমা), উজ্জ্বল কুমার দাশ (বই), আব্দুল কাইয়ুম (মাইক), কবির মিয়া (টিউবওয়েল), মো. মুখলিছুর রহমান (টিয়া পাখি), আজিজুল হক রুমন (উড়োজাহাজ), শাহজাহান মিয়া (তালা)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন। তাঁরা হলেন আবিদা খাতুন (ফুটবল), চা-কন্যা খাইরুন আক্তার (কলস), সাফিয়া আক্তার (হাঁস), পারুল আক্তার (পদ্মফুল) ও ইয়াসমিন আক্তার মুক্তার (পাখা)।
বন, টিলা, পাহাড় ও চা-বাগানে ভরা হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন চা-শ্রমিকপুত্র উজ্জ্বল কুমার দাশ ও চা-কন্যা খাইরুন আক্তার।
চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বরাবরই সোচ্চার এ দুই প্রার্থী। উজ্জ্বল কুমার দাশ বাংলাদেশ চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং খাইরুন আক্তার বাংলাদেশ চা কল্যাণ নারী সংগঠনের সভাপতি।
সাধারণ শ্রমিকেরা ৫ টাকা, ১০ টাকা দিয়ে একটি ফান্ড গঠন করে তাঁদের প্রার্থী করেছেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। শ্রমিকেরা নিজ খরচে প্রচারও চালিয়ে চাচ্ছেন তাঁদের পক্ষে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেউন্দি বাগানের চা-শ্রমিক অধীর কুমার দাশের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার দাশ বড়। স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং পঞ্চাশ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ভর্তি হন চুনারুঘাট কলেজে। একমাত্র বাবার উপার্জন দিয়ে সংসার চালানোর পর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই তিনি বাগানে চা-শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কাজের ফাঁকে লেখাপড়া চালিয়ে যান। চুনারুঘাট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর বিএ ভর্তি হন হবিগঞ্জে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে। ছাত্রাবস্থায়ই একটি এনজিওতে চাকরি নেন। ছেড়ে দেন চা-শ্রমিকের কাজ। বিএ পাসের পর বেশ কয়েকটি এনজিওতে কাজ করেন। বর্তমানে চা-শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার তিনি।
অন্যদিকে, খাইরুন আক্তার মাত্র ১৭০ টাকা দৈনিক মজুরিতে চা-পাতা উত্তোলন করে সংসার চালান। তাঁর বাড়ি চান্দপুর চা-বাগানে। খাইরুন অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ে যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁর বাবা আব্দুল মজিদ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মা, তিন বোন আর এক ভাইয়ের মুখে খাবার জোগাড় করতে পড়াশোনা ছেড়ে বাগানে শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান খাইরুন।
শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। কাজের ফাঁকে অবহেলিত চা-শ্রমিকদের নানা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় ২৪টি বাগান রয়েছে। আমরা সবাই একসাথে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে যা পারি, তা দিয়ে সাহায্য করছি। আশা করি দুজনই বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।’
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুন আক্তার বলেন, ‘শ্রমিকেরা ৫ টাকা, ১০ টাকা থেকে শুরু করে যে যা পারে, তা দিয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা যদি সহযোগিতা না করত, তাহলে দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব হতো না।’
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার দাশ বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ আমল থেকেই শোষিত হয়ে আসছি। আমাদের ভোটের অধিকার দেওয়া হলেও জমির অধিকার পাই না। তাই শ্রমিকেরা তাদের জমির অধিকার এবং তাদের অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী করেছে। আশা করি নির্বাচনে জয়ী হয়ে তাদের দাবি আদায়ে ভূমিকা পালন করতে পারব।’
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। তাঁরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের (আনারস), সৈয়দ লিয়াকত হাসান (ঘোড়া), লুৎফুর রহমান চৌধুরী (কই মাছ), রায়হান উদ্দিন (মোটরসাইকেল) ও হাবিবুর রহমান জুয়েল (কাপ-পিরিচ)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন লুৎফুর রহমান মহালদার (চশমা), উজ্জ্বল কুমার দাশ (বই), আব্দুল কাইয়ুম (মাইক), কবির মিয়া (টিউবওয়েল), মো. মুখলিছুর রহমান (টিয়া পাখি), আজিজুল হক রুমন (উড়োজাহাজ), শাহজাহান মিয়া (তালা)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন। তাঁরা হলেন আবিদা খাতুন (ফুটবল), চা-কন্যা খাইরুন আক্তার (কলস), সাফিয়া আক্তার (হাঁস), পারুল আক্তার (পদ্মফুল) ও ইয়াসমিন আক্তার মুক্তার (পাখা)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে