Ajker Patrika

সিলেটে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা: তদন্ত শেষ হয়নি ১৪৫ মামলার একটিরও

  • ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ৪ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করার কথা।
  • অনেক মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে, সাক্ষীও পাচ্ছে না পুলিশ।
  • চলতি মাসেই কয়েকটি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে দাবি পুলিশের।
লবীব আহমদ, সিলেট 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১৪৫টি মামলা করা হলেও তদন্ত শেষ হয়নি একটিরও। এসব মামলায় ৯ হাজার ৯২৫ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৬৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কোনো বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। এর মধ্যে সিলেট নগর পুলিশে মামলা-আসামি ও গ্রেপ্তার বেশি রয়েছে। গড়ে ৬৮ জন একটি মামলার আসামি। তবে নভেম্বরের মধ্যে কয়েকটি মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আইনে কী আছে, জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল ফজল চৌধুরী নামের এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধির আইনে আছে ৪ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে। একটা মামলায় সর্বোচ্চ ৪ মাসের মধ্যে যদি তদন্ত সমাপ্ত না হয়, তাহলে ওই মামলায় যদি কেউ জেলহাজতে থাকে, তাহলে তাকে জামিনের বিষয়ে কনসিডার (বিবেচনা) করতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ৭, বিয়ানীবাজারে ৪ ও সিলেট সদর উপজেলার ২ জন শহীদ হয়েছেন। আর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিনাজপুরের রুদ্র সেন শহীদ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ৬টি থানায় ১০৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। সেখানে ৭৩টি মামলায় ৫ হাজার ৫০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩২৬ জনকে। আর সবচেয়ে কম ১টি মামলা করা হয়েছে মোগলাবাজার থানায়। সেখানে ১৪৫ জনকে আসামি করা হয়, আর পুলিশ এ পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার না করা দুঃখজনক ঘটনা।’

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক মামলার চার্জশিট দাখিলের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছি। ৫ আগস্টের মামলাগুলোতে আসলে বিভিন্ন এভিডেন্স কালেকশন করাটা অনেকটা কঠিন, এজন্য দেরি হচ্ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া শুরু করে দেব। এরপর দু-একটা হয়ে গেলে পরপর বাকিগুলোও হয়ে যাবে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা আশা করছি, বেশ কয়েকটি মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারব।’

সিলেটের পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘মামলাগুলো তদন্তাধীন। এগুলো আমি ক্লোজলি মনিটরিং করতেছি। এগুলো খুবই কমপ্লেক্স মামলা। অনেক মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে, যাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাদেরকে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে বাদী এসে আবার মামলা এফিডেভিট করাচ্ছে, যে ঘটনায় জড়িত ছিল না। এ কারণেই মূলত মামলাগুলো কিছুটা পেছাচ্ছে। আমরা বেশ কিছু মামলার চার্জশিট বা ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার পর্যায়ে চলে আসছি। মামলাগুলোর ভালো অগ্রগতি আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলের প্রস্তুতি, আটক ৪৪

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লায় আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলের প্রস্তুতির সময় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নগরীর টমছম ব্রিজ, ঝাউতলা ও বাদুড়তলা এলাকায় ছত্রভঙ্গ অবস্থায় ২৯ জনকে আটক করা হয়। একই দিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানে পৃথক অভিযানে আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নগরীতে মিছিল বের করার চেষ্টা করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে পুলিশ তৎপর ছিল এবং তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টার দিকে টমছম ব্রিজ এলাকায় সংগঠনটির একটি দল মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে ২৯ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যানার, লাঠি ও লাইটার জব্দ করা হয়। পরে অভিযানে পুলিশের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগও অংশ নেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী আরও জানান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, দাউদকান্দি, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, ভাঙ্গুরা, চান্দিনা থেকে একজন করে এবং নাঙ্গলকোট থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। নগরীতে আটক ২৯ জনসহ মোট ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ: সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের মস্তফাপুরে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালের দিকে এই অবরোধের সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা ব্রিজ ও কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডসহ প্রায় আটটি স্থানে সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে ফেলে অবরোধ করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবি ও সোমবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য রোববার সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের আটটি স্থানে গাছ ফেলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ২০টির মতো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন। পরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই ঘটনায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে গাছগুলো অপসারণ করে পুলিশ ও মাদারীপুর জেলা সদর এবং কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে গাছ সরানোর কাজে অংশ নেন স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মহাসড়ক থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু করে। পরে জেলা শহর থেকে আমরা যাই। গাছগুলো অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

ডাসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার ও কালকিনি থানার অংশে সাত-আট স্থানে সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে আমি চারটি ককটেলের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। এখন যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি 
ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুর বাজারের সার্ভিস লেনে দাঁড়িয়ে থাকা বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত শেষরাতে এই ঘটনা ঘটে। আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গাড়িটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-ককটেল হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ভাঙচুর করা আসবাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা আসবাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লবের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়িটিতে ককটেল হামলাও চালানো হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট বাড়িটিতে ভাঙচুর চলে।

খালেদ হাসান বিপ্লবের বাড়ি রাজশাহী নগরের মতিহার থানার কাজলা নতুন বউবাজার এলাকায়। হামলার সময় তাঁর বাবা হেলাল উদ্দিনকে (৬২) একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। আর মা খালেদা বেগমকে (৫৩) হাতুড়িপেটা করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

খালেদ হাসান বিপ্লব গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বাড়িতে নেই। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে চালানো এই হামলায় বাড়িতে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসিসহ বাড়ির সব আসবাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ১০০ থেকে ১৫০ জন ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসে। তখন বাইরে মূল ফটকে তালা দেওয়া থাকায় তারা ঢুকতে পারছিল না। পরে ৩০-৪০ জন প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকে। এরপর ভবনের সিঁড়ির পাশের আরেকটি গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। দোতলায় উঠে তারা খালেদ হাসান বিপ্লবকে খুঁজতে থাকে।

খালেদকে না পেয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বাধা দিতে গেলে খালেদের মা খালেদা বেগমকে হাতুড়িপেটা করা হয়। একপর্যায়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খালেদের মায়ের অনুরোধে পরে আগুন না দিয়ে ওই ব্যক্তিরা ফিরে যায়। তবে নামার সময় নিচতলায় থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া তখন বাড়িটি লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশের টহল দলের তিনজন সদস্য রাতে বাড়িটি দেখে যান। তাঁরা খালেদা বেগমকে আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাসপাতালে যেতে পারেননি খালেদা বেগম।

জানতে চাইলে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি রাতে থানায় ছিলাম না। ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত