Ajker Patrika

চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ১৬: ৩০
চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী আলমগীরকে বেঁধে পেটানো হয়। ছবি: সংগৃহীত
চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী আলমগীরকে বেঁধে পেটানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় চোর সন্দেহে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবকের নাম আলমগীর মিয়া (২৫)। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে।

তিনি এখন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আলমগীরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে আলমগীর স্থানীয় নয়াবাজার থেকে বাড়ি না ফিরে ভুল করে অন্য পথে চলে যান। রাতে তাঁকে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে চোর সন্দেহ আটক করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে কয়েকজন মিলে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে আলমগীরকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে সিএনজি অটোরিকশা করে তাঁর বাড়ির পাশে রেখে যাওয়া হয়।

আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, ‘আমার ভাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছে না। সঠিকভাবে শুধু বলছে, কারা জানি তাকে চোর ভেবে খুব মারধর করেছে। সে অনেকবার অনুরোধ করেছে তাকে না মারার জন্য, কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি। এমনভাবে মেরেছে শরীর থেকে রক্ত পড়ছিল। পরে আমরা জেনেছি, কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদসহ এলাকার কয়েকজন মিলে তাকে খুব মারধর করেছে। সে তার বাড়ি ঠিকানা যতটুকু পারছে বলেছিল। বাবার নাম চাচার নাম বলেছিল। তারপরও সবাই তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

প্রতিবন্ধী আলমগীরকে পেটানোর অভিযোগের ব্যাপারে টিলাগাঁও ইউনিয়নে ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, ‘আমি আসার আগে লোকজন চোর সন্দেহে হয়তো পিটিয়েছে। আমার এলাকায় কিছু দিন আগে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য এলাকাবাসী ছেলেটিকে চোর সন্দেহ করেছে। এ ছাড়া এই এলাকায় একসঙ্গে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে ছেলেটিকে বাড়িতে পাঠিয়েছি।’

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কনক কান্তি সিনহা জানান, প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত