Ajker Patrika

শেভরনের বিরুদ্ধে ১৩০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ 

সিলেট প্রতিনিধি
শেভরনের বিরুদ্ধে ১৩০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ 

চাকরির ১২ বছর পর স্থায়ীকরণের আবেদন করায় ১৩০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে তেল ও গ্যাস উত্তোলনকারী বিদেশি কোম্পানি শেভরন। আজ সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন শেভরনের চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুসফেক উস সালেহীন। 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় চাকরি করার পরও আমাদের বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর অনুযায়ী চাকরিতে স্থায়ী করা হয়নি। আমরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। এ রকম শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। আমরা আমাদের আইনগত অধিকার আদায়ের জন্য শ্রম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। 

আদালতে চলমান মামলার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মামলার বাদীকে টার্গেট করে ১৩০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের ২০ মার্চ ৩২ জন, ২৪ এপ্রিল ১৫ জন, ২৫ এপ্রিল দুজন এবং ৩০ এপ্রিল ৭৮ জনকে টার্মিনেট করা হয়।’ 

তারা বলেন, ‘শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো লিখিত আদেশ না দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাতের বেলা মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে চাকরিচ্যুতের কথা জানানো হয়। আমরা শেভরনের নিযুক্ত শ্রমিক হলেও টার্মিনেট করা হয় ঠিকাদারের মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও আইনবহির্ভূত।’ 

শ্রমিকেরা বলেন, ‘আমরা কোম্পানির অধীন সিলেট, মৌলভীবাজার, বিবিয়ানা, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত। আমাদের চাকরির বয়স নিম্নে ১২ বৎসর এবং কারও কারও সর্বোচ্চ ২৪ বৎসর। আমরা যখন চাকরিতে যোগ দিই তখন সরাসরি শেভরন বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেড, শেভরন বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লিমিটেড কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে এর পূর্বসূরি অক্সিডেন্টাল কিংবা ইউনোকল বাংলাদেশের অধীন ছিল। শেভরন আসে ২০০৫ সালে। 

তখনকার বিদ্যমান শ্রম আইনের বিধানমতে তিন থেকে ছয় মাস চাকরি করার কারণে আমরা সবাই আইনের প্রয়োগ বলে আমাদের বিদ্যমান চাকরিতে শেভরন কিংবা পূর্বসূরির অধীন আপনা-আপনি চাকরিতে স্থায়ী হই। কিন্তু শেভরন কর্তৃপক্ষ (কিংবা উহার পূর্বসূরি) তখন আমাদের অস্থায়ী নিয়োগপত্র প্রদান করে; পরিচয়পত্র দেন, কাজের উপকরণ দেন; বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নিলে শেভরনের লোগো সংবলিত সনদপত্র দেন। কিন্তু আইনের বিধান অমান্য করে শেভরন কর্তৃপক্ষ আমাদের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপত্র, সার্ভিস বহি প্রদান থেকে বিরত থাকে এবং কোম্পানির মুনাফার অংশ দেয়নি।’ 

শেভরনের চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা এসব বঞ্চনা নেপথ্যে কিছু বিদেশি এবং দেশীয় কর্মকর্তা-সুপারভাইজার জড়িত বলে দাবি করে বলেন, ‘এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একদিকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার বানিয়েছেন, নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার-হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।’ 

শ্রমিকেরা শেভরনের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপত্র প্রদান এবং অন্যান্য অধিকার বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ জন্য তারা সরকারের শ্রম অধিদপ্তর তথা রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় হারুনুর রশীদ, রেজাউল করিম, সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল মুকিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের চার পাটপণ্যে ভারতের বন্দর নিষেধাজ্ঞা

গোপনে ১৯০ মিলিয়ন ডলারের নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত