প্রতিনিধি

সিলেট: সিলেট ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিটি করপোরেশন। রোববার বিকেলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে সিসিকের অভিযানের পর এ তথ্য জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ অঞ্চলে গত দুই দিনে মোট পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এবিষয়ে মেয়র আরিফুল বলেন, ভূ-বিশেষজ্ঞদের মতে একসাথে কয়েকবার ছোট ভূকম্পনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। সেজন্য বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের তালিকায় মার্কেট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পুরোনো সরকারি দপ্তরও রয়েছে।
মেয়র জানান, ২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে গতকাল শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডে সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারে সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালি ম্যানশন, দরগাগেটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ।
এ ছাড়াও তালিকায় আছে—নগরীর শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬ /এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১ / ৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯ / ২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭ / ৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭ / ৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭ / ৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, জেন্টস গ্যালারি, বনকলাপাড়া নুরানি-১৪, ধোপাদিঘির দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার ও পনিটুলা এলাকায় ১৬ / ১ নম্বর আহাদ টাওয়ার।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলো খালি করেননি। এবার এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সিটি করপোরেশন।

সিলেট: সিলেট ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিটি করপোরেশন। রোববার বিকেলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে সিসিকের অভিযানের পর এ তথ্য জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ অঞ্চলে গত দুই দিনে মোট পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এবিষয়ে মেয়র আরিফুল বলেন, ভূ-বিশেষজ্ঞদের মতে একসাথে কয়েকবার ছোট ভূকম্পনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। সেজন্য বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের তালিকায় মার্কেট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পুরোনো সরকারি দপ্তরও রয়েছে।
মেয়র জানান, ২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে গতকাল শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডে সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারে সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালি ম্যানশন, দরগাগেটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ।
এ ছাড়াও তালিকায় আছে—নগরীর শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬ /এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১ / ৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯ / ২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭ / ৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭ / ৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭ / ৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, জেন্টস গ্যালারি, বনকলাপাড়া নুরানি-১৪, ধোপাদিঘির দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার ও পনিটুলা এলাকায় ১৬ / ১ নম্বর আহাদ টাওয়ার।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলো খালি করেননি। এবার এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সিটি করপোরেশন।

কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
১৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের।
৫ ঘণ্টা আগে
বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সপ্তাহ দুয়েক পর শুরু হবে পুরোদমে আম ধান কাটা-মাড়াই। কৃষকের গোলায় উঠবে নতুন আমন ধান। এর মধ্যে মাজরা ও কারেন্ট পোকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমনচাষিরা। মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। বেশ কিছু জমিতে ধানগাছ শুকিয়ে গেছে। কৃষকেরা ফসলের মাঠে ওষুধ স্প্রে করছেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
মাদিলা হাট এলাকার কৃষক আবু সালেহ ও আলাদীপুর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘জমিতে পোকার আক্রমণে চরম সমস্যায় পড়েছি। ধানের শিষ বের হয়েছে, অথচ জমিতে এখন কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, তবু পোকার হাত থাকে রেহাই মিলছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, তালিকাভুক্ত কিছু নির্দিষ্ট কৃষক ছাড়া কৃষি কর্মকর্তা কিংবা মাঠকর্মীরা তাঁদের কোনো খোঁজ রাখেন না। ফলে কীটনাশকের দোকানদারেরা যে ওষুধ দেন, তা জমিতে স্প্রে করা হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাঁপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ বিভিন্ন আগাম জাতের ধান ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের এসব আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আবওহাওয়ার কারণে এবার একটু বেশি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে (৩৪) সুগন্ধি ধান যেহেতু শেষে পাকে, তা নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত।
কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে। আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কৃষকদের ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।

সপ্তাহ দুয়েক পর শুরু হবে পুরোদমে আম ধান কাটা-মাড়াই। কৃষকের গোলায় উঠবে নতুন আমন ধান। এর মধ্যে মাজরা ও কারেন্ট পোকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আমনচাষিরা। মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। বেশ কিছু জমিতে ধানগাছ শুকিয়ে গেছে। কৃষকেরা ফসলের মাঠে ওষুধ স্প্রে করছেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
মাদিলা হাট এলাকার কৃষক আবু সালেহ ও আলাদীপুর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘জমিতে পোকার আক্রমণে চরম সমস্যায় পড়েছি। ধানের শিষ বের হয়েছে, অথচ জমিতে এখন কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, তবু পোকার হাত থাকে রেহাই মিলছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, তালিকাভুক্ত কিছু নির্দিষ্ট কৃষক ছাড়া কৃষি কর্মকর্তা কিংবা মাঠকর্মীরা তাঁদের কোনো খোঁজ রাখেন না। ফলে কীটনাশকের দোকানদারেরা যে ওষুধ দেন, তা জমিতে স্প্রে করা হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাঁপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ বিভিন্ন আগাম জাতের ধান ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের এসব আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আবওহাওয়ার কারণে এবার একটু বেশি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে (৩৪) সুগন্ধি ধান যেহেতু শেষে পাকে, তা নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত।
কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে। আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কৃষকদের ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, কৃষকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিসিক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
৩০ মে ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের।
৫ ঘণ্টা আগে
বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমো. হাবিবুল্লাহ, নেছারাবাদ (পিরোজপুর)

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিভিন্নভাবে সক্রিয় রয়েছেন। প্রচার চালাচ্ছেন নিজেদের কর্মী নিয়ে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের প্রয়াত নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদীর নাম ঘোষণা করেছে। কোনো অভ্যন্তরীণ বিভাজন ছাড়াই তিনি নির্বিঘ্নে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামায়াতের এই প্রার্থী।
এ আসনে শরিক দলসহ বিএনপির অন্তত ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁরা হলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন, ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. জুয়েল মৃধা, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফকরুল আলম, সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও পারিবারিক প্রভাবের কারণে সোহেল মঞ্জুর সুমন আলোচনায় এগিয়ে। তাঁর বাবা বিএনপির সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী নুরুল ইসলাম মঞ্জুর। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুমনের গ্রহণযোগ্যতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা তাঁকে হাইকমান্ডের সুনজরে রেখেছে।
মাহমুদ হোসেন ও জুয়েল মৃধা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছেন। দুজনে ভোটারদের নজর কাড়তে যুক্ত আছেন দান-অনুদানে। ইতিমধ্যে তাঁরা নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়ায় গড়েছেন শক্ত ঘাঁটি। ফকরুল আলম ও সৈকতও তৃণমূলে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। অন্যদিকে ইরানের নিজস্ব প্রচারণা না থাকলেও তিনি দাবি করেছেন, ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা চলছে। ধানের শীষ মানেই তিনি।
প্রত্যেকেই দলের প্রতি আনুগত্য ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘দলের দুর্দিনে পাশে ছিলাম, মনোনয়ন পেলে বিএনপির হারানো আসন পুনরুদ্ধার করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। দল মনোনয়ন দিলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জুয়েল মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছি; দল তা মূল্যায়ন করবে।’
ইরান বলেন, ‘আমি জোটের প্রার্থী। যত সময় পর্যন্ত এখান থেকে কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া হবে, আমিই একমাত্র প্রার্থী। কারণ ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তাই আমিই মনোনয়নের দাবিদার।’
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে যাঁরা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তাঁরা সবাই যোগ্য লোক। তবে দেশনায়ক তারেক রহমান যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেবেন; আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
প্রবীণ রাজনীতি-সচেতন মো. আবুল হোসেন মৃধা বলেন, ‘শুনছি বিএনপি থেকে অনেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। একজন সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত লোক এ আসনে নেতৃত্বে দেখতে চাই। যাঁরা এলাকার জন্য কাজ করবে, আশা করি দল সে ধরনের ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবে।’
স্থানীয় রাজনীতি-সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, বিএনপির প্রার্থী নির্ধারণের পরেই এ আসনে চূড়ান্ত নির্বাচনী সমীকরণ স্পষ্ট হবে। আপাতত জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে প্রচারণার সুবিধা ভোগ করছেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা ও মনোনয়ন চূড়ান্তে দেরি নির্বাচনী ফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিভিন্নভাবে সক্রিয় রয়েছেন। প্রচার চালাচ্ছেন নিজেদের কর্মী নিয়ে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের প্রয়াত নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদীর নাম ঘোষণা করেছে। কোনো অভ্যন্তরীণ বিভাজন ছাড়াই তিনি নির্বিঘ্নে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামায়াতের এই প্রার্থী।
এ আসনে শরিক দলসহ বিএনপির অন্তত ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁরা হলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন, ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. জুয়েল মৃধা, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফকরুল আলম, সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও পারিবারিক প্রভাবের কারণে সোহেল মঞ্জুর সুমন আলোচনায় এগিয়ে। তাঁর বাবা বিএনপির সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী নুরুল ইসলাম মঞ্জুর। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুমনের গ্রহণযোগ্যতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা তাঁকে হাইকমান্ডের সুনজরে রেখেছে।
মাহমুদ হোসেন ও জুয়েল মৃধা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছেন। দুজনে ভোটারদের নজর কাড়তে যুক্ত আছেন দান-অনুদানে। ইতিমধ্যে তাঁরা নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়ায় গড়েছেন শক্ত ঘাঁটি। ফকরুল আলম ও সৈকতও তৃণমূলে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। অন্যদিকে ইরানের নিজস্ব প্রচারণা না থাকলেও তিনি দাবি করেছেন, ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা চলছে। ধানের শীষ মানেই তিনি।
প্রত্যেকেই দলের প্রতি আনুগত্য ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘দলের দুর্দিনে পাশে ছিলাম, মনোনয়ন পেলে বিএনপির হারানো আসন পুনরুদ্ধার করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। দল মনোনয়ন দিলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জুয়েল মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছি; দল তা মূল্যায়ন করবে।’
ইরান বলেন, ‘আমি জোটের প্রার্থী। যত সময় পর্যন্ত এখান থেকে কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া হবে, আমিই একমাত্র প্রার্থী। কারণ ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তাই আমিই মনোনয়নের দাবিদার।’
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে যাঁরা মনোনয়ন চাচ্ছেন, তাঁরা সবাই যোগ্য লোক। তবে দেশনায়ক তারেক রহমান যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেবেন; আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
প্রবীণ রাজনীতি-সচেতন মো. আবুল হোসেন মৃধা বলেন, ‘শুনছি বিএনপি থেকে অনেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। একজন সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত লোক এ আসনে নেতৃত্বে দেখতে চাই। যাঁরা এলাকার জন্য কাজ করবে, আশা করি দল সে ধরনের ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবে।’
স্থানীয় রাজনীতি-সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, বিএনপির প্রার্থী নির্ধারণের পরেই এ আসনে চূড়ান্ত নির্বাচনী সমীকরণ স্পষ্ট হবে। আপাতত জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে প্রচারণার সুবিধা ভোগ করছেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা ও মনোনয়ন চূড়ান্তে দেরি নির্বাচনী ফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিসিক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
৩০ মে ২০২১
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
১৮ মিনিট আগে
কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের।
৫ ঘণ্টা আগে
বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেঅরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)

কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের। ২০২২ সালে পাইপ ড্রেনসহ সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সাভার পৌরসভার প্রকৌশল শাখা থেকে জানানো হয়েছে, বেদেপাড়ার প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য লুৎফর রহমানের মার্কেট থেকে বেদেপল্লির পোড়াবাড়ি সেতু পর্যন্ত ১ হাজার ২৪০ মিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণসহ ১ হাজার ১০০ মিটার সড়ক পাকা করা হয়। ২০২২ সালে তমা কনস্ট্রাকশন এবং সিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই সড়ক পাকাকরণসহ পাইপ ড্রেন নির্মাণের কাজ করে। পুরো কাজের মধ্যে ড্রেন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৭৯ টাকা এবং সড়ক পাকাকরণে ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দলিল লেখক আক্তার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে সেতু পর্যন্ত অন্তত ১৫টি স্থানে কার্পেটিংসহ সড়কের কয়েক ফুট জুড়ে ভেতরের দিকে ঢুকে সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা কয়েকটি সুড়ঙ্গ মাটি ও আবর্জনা দিয়ে ভড়াট করে দিলেও কয়েকটি সুড়ঙ্গ এখনো দৃশ্যমান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক পাকাকরণের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সড়কটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বেদেপাড়ার লোকজন জানান, কয়েক মাস ধরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রথমে ছোট গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর পর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেখানে সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় অনেক গর্ত ও সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। অনেক ম্যানহোলের ঢাকনা উঠে গেছে আবার অনেক ম্যানহোলের চার পাশে দেবে গেছে। তাঁরা আরও জানান, সুড়ঙ্গ বা গর্ত বড় হয়ে গেলে বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হয়। কিন্তু পৌরসভা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অবশেষে স্থানীয় লোকজন কোনো কোনো স্থানে মাটি ও আবর্জনা দিয়ে ভড়াট করে দেন। কিন্তু তা স্থায়ী হয় না। বৃষ্টি হলেই আবার তা সরে যায়। তাই পথচারী ও যানবাহনের শ্রমিকদের সতর্ক
করতে সৃষ্টি হওয়া গর্ত ও সুড়ঙ্গে বাঁশ পুঁতে বা আবর্জনা দিয়ে রাখা হয়, যা দেখে যে কেউ বুঝতে পারেন জায়গাটি বিপজ্জনক।
কাঞ্চনপুর মহল্লার হালিমা বেগমের চায়ের দোকানের সামনের বাঁকে কয়েক ফুটের ব্যবধানে দুটি সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়েছিল কয়েক মাস আগে। মাঝেমধ্যে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
হালিমা বেগম বলেন, ‘মাস তিনেক আগে আমার দোকানের সামনে সড়কে ছোট একটা গর্তের মতো হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ওই গর্ত বেশ বড় হয়ে যায়। একপর্যায়ে তা অনেক নিচের দিকে চলে যায় এবং সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়।’
যোগাযোগ করা হলে আত্মগোপনে থাকা সাভার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, ‘পাইপ ড্রেনের ওপরে যে মাটি ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে তা সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এ কারণে কার্পেটিংয়ের নিচ থেকে দেবে গিয়ে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সম্ভবত পাইপ ড্রেনের জোড়ায় ছিদ্র হয়ে পানি বের হয়। এ কারণে ওই স্থানের মাটি সরে গিয়ে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের। ২০২২ সালে পাইপ ড্রেনসহ সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সাভার পৌরসভার প্রকৌশল শাখা থেকে জানানো হয়েছে, বেদেপাড়ার প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য লুৎফর রহমানের মার্কেট থেকে বেদেপল্লির পোড়াবাড়ি সেতু পর্যন্ত ১ হাজার ২৪০ মিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণসহ ১ হাজার ১০০ মিটার সড়ক পাকা করা হয়। ২০২২ সালে তমা কনস্ট্রাকশন এবং সিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই সড়ক পাকাকরণসহ পাইপ ড্রেন নির্মাণের কাজ করে। পুরো কাজের মধ্যে ড্রেন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৭৯ টাকা এবং সড়ক পাকাকরণে ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দলিল লেখক আক্তার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে সেতু পর্যন্ত অন্তত ১৫টি স্থানে কার্পেটিংসহ সড়কের কয়েক ফুট জুড়ে ভেতরের দিকে ঢুকে সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা কয়েকটি সুড়ঙ্গ মাটি ও আবর্জনা দিয়ে ভড়াট করে দিলেও কয়েকটি সুড়ঙ্গ এখনো দৃশ্যমান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক পাকাকরণের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সড়কটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বেদেপাড়ার লোকজন জানান, কয়েক মাস ধরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রথমে ছোট গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর পর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেখানে সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় অনেক গর্ত ও সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। অনেক ম্যানহোলের ঢাকনা উঠে গেছে আবার অনেক ম্যানহোলের চার পাশে দেবে গেছে। তাঁরা আরও জানান, সুড়ঙ্গ বা গর্ত বড় হয়ে গেলে বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হয়। কিন্তু পৌরসভা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অবশেষে স্থানীয় লোকজন কোনো কোনো স্থানে মাটি ও আবর্জনা দিয়ে ভড়াট করে দেন। কিন্তু তা স্থায়ী হয় না। বৃষ্টি হলেই আবার তা সরে যায়। তাই পথচারী ও যানবাহনের শ্রমিকদের সতর্ক
করতে সৃষ্টি হওয়া গর্ত ও সুড়ঙ্গে বাঁশ পুঁতে বা আবর্জনা দিয়ে রাখা হয়, যা দেখে যে কেউ বুঝতে পারেন জায়গাটি বিপজ্জনক।
কাঞ্চনপুর মহল্লার হালিমা বেগমের চায়ের দোকানের সামনের বাঁকে কয়েক ফুটের ব্যবধানে দুটি সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়েছিল কয়েক মাস আগে। মাঝেমধ্যে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
হালিমা বেগম বলেন, ‘মাস তিনেক আগে আমার দোকানের সামনে সড়কে ছোট একটা গর্তের মতো হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ওই গর্ত বেশ বড় হয়ে যায়। একপর্যায়ে তা অনেক নিচের দিকে চলে যায় এবং সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি হয়।’
যোগাযোগ করা হলে আত্মগোপনে থাকা সাভার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, ‘পাইপ ড্রেনের ওপরে যে মাটি ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে তা সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এ কারণে কার্পেটিংয়ের নিচ থেকে দেবে গিয়ে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সম্ভবত পাইপ ড্রেনের জোড়ায় ছিদ্র হয়ে পানি বের হয়। এ কারণে ওই স্থানের মাটি সরে গিয়ে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিসিক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
৩০ মে ২০২১
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
১৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
৫ ঘণ্টা আগে
বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা (ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম) অকার্যকর। এই অকার্যকর ব্যবস্থা বসিয়েই ২ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মা ও শিশু হাসপাতালে মোট ১৯টি বিভাগ আছে। প্রতিদিন অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি থাকে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে ১৮০০ থেকে ২০০০ জন। একইভাবে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয় ২০০ থেকে ২৫০ রোগী। অ্যাকুইট মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি থাকে ১৫-১৮ জন। আইসিইউতে ভর্তি থাকে ২৫-৩০, সিসিইউতে ২০-২৫, এনআইসিইউতে ৬০-৭০, শিশু আইসিইউতে ৪০-৪৫ এবং ক্যানসার ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকে ৫০-৫৫ রোগী।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে ইপিজেডের কারখানায়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের ফায়ার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পর থেকে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম সরবরাহে সিম্যানটেক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের ১ জুন কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালে কাজটি শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো তারা কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেনি। অথচ পাঁচ দফায় ২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬২৮ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। এ-সংক্রান্ত বিলের কপি প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত আছে।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় গলদের বিষয়টি জানিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নুরুল হক সিম্যানটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘হাসপাতালের ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম বর্তমানে অকার্যকর, যা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা। ফলে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় এই হাসপাতাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। প্রাথমিক তদন্তে দুটি বিষয় দৃষ্টিগোচর হয়। এক. শিডিউলে বর্ণিত এনএফপিএ স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে কাজের চুক্তি থাকলেও তা বাস্তবে অনুসরণ করা হয়নি। দুই. শিডিউলে ইউপিভিসি পাইপ উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে নিম্নমানের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। চিঠিতে ‘ত্রুটিপূর্ণ কাজের জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিষ্ঠানটি দায়ী থাকবে’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিম্যানটেকের বিজনেস ডেভেলপার মুহাম্মদ নূর ফাহাদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘কার্যাদেশ মতে, অগ্নিনির্বাপণের পুরো ব্যবস্থাটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে কী হয়েছে, তা আমরা জানি না। কিন্তু গত এক বছর আমরা সেখানে কোনো কাজ করতে পারছি না।’ বর্তমানে তাদের ৭-৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে বলেও জানান তিনি।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘ফায়ার ব্যবস্থাপনায় গলদের বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর পুরো চিত্রটা আমাদের সামনে আসবে। এরপর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ক্ষেত্রে কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু সিস্টেমটা চালু হয়নি।’
নেপথ্যে আছে ভিন্ন ঘটনা
এদিকে এই অগ্নিনির্বাপণ ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পরিচালনা কমিটির সহসভাপতির বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলেছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল মোস্তফা। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানার বিরুদ্ধে আনা এক অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, হামলা হয় ১৬ অক্টোবর। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগের কপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা বলেন, ‘হাসপাতালের কেনাকাটার বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে নানা অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। সেই অনিয়ম ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে ঘুষি মারার এই মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার কি কাউকে ঘুষি মারার বয়স আছে?’
প্রকৌশলীকে ঘুষি মারার বিষয়টি সামনে আসার পর ফায়ার ব্যবস্থাপনায় গলদ বেরিয়ে আসে।

বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরই চিকিৎসাসেবা নিতে বেশি ভিড় জমে মা ও শিশু হাসপাতালে। প্রায় ৫ হাজার লোকের আনাগোনা থাকে এই হাসপাতালে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা (ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম) অকার্যকর। এই অকার্যকর ব্যবস্থা বসিয়েই ২ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মা ও শিশু হাসপাতালে মোট ১৯টি বিভাগ আছে। প্রতিদিন অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি থাকে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে ১৮০০ থেকে ২০০০ জন। একইভাবে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয় ২০০ থেকে ২৫০ রোগী। অ্যাকুইট মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি থাকে ১৫-১৮ জন। আইসিইউতে ভর্তি থাকে ২৫-৩০, সিসিইউতে ২০-২৫, এনআইসিইউতে ৬০-৭০, শিশু আইসিইউতে ৪০-৪৫ এবং ক্যানসার ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকে ৫০-৫৫ রোগী।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে ইপিজেডের কারখানায়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের ফায়ার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পর থেকে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম সরবরাহে সিম্যানটেক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের ১ জুন কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালে কাজটি শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো তারা কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেনি। অথচ পাঁচ দফায় ২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬২৮ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। এ-সংক্রান্ত বিলের কপি প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত আছে।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় গলদের বিষয়টি জানিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নুরুল হক সিম্যানটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘হাসপাতালের ফায়ার ডিটেকশন ও অ্যালার্ম সিস্টেম বর্তমানে অকার্যকর, যা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা। ফলে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় এই হাসপাতাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। প্রাথমিক তদন্তে দুটি বিষয় দৃষ্টিগোচর হয়। এক. শিডিউলে বর্ণিত এনএফপিএ স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে কাজের চুক্তি থাকলেও তা বাস্তবে অনুসরণ করা হয়নি। দুই. শিডিউলে ইউপিভিসি পাইপ উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে নিম্নমানের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। চিঠিতে ‘ত্রুটিপূর্ণ কাজের জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিষ্ঠানটি দায়ী থাকবে’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিম্যানটেকের বিজনেস ডেভেলপার মুহাম্মদ নূর ফাহাদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘কার্যাদেশ মতে, অগ্নিনির্বাপণের পুরো ব্যবস্থাটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে কী হয়েছে, তা আমরা জানি না। কিন্তু গত এক বছর আমরা সেখানে কোনো কাজ করতে পারছি না।’ বর্তমানে তাদের ৭-৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে বলেও জানান তিনি।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘ফায়ার ব্যবস্থাপনায় গলদের বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর পুরো চিত্রটা আমাদের সামনে আসবে। এরপর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ক্ষেত্রে কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু সিস্টেমটা চালু হয়নি।’
নেপথ্যে আছে ভিন্ন ঘটনা
এদিকে এই অগ্নিনির্বাপণ ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পরিচালনা কমিটির সহসভাপতির বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলেছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল মোস্তফা। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানার বিরুদ্ধে আনা এক অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, হামলা হয় ১৬ অক্টোবর। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগের কপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা বলেন, ‘হাসপাতালের কেনাকাটার বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে নানা অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। সেই অনিয়ম ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে ঘুষি মারার এই মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার কি কাউকে ঘুষি মারার বয়স আছে?’
প্রকৌশলীকে ঘুষি মারার বিষয়টি সামনে আসার পর ফায়ার ব্যবস্থাপনায় গলদ বেরিয়ে আসে।

সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিসিক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
৩০ মে ২০২১
কৃষকেরা বলছেন, কারেন্ট পোকা ধানগাছের নিচের অংশ কেটে দিচ্ছে। ফলে পাতা শুকিয়ে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে। অপর দিকে মাজরা পোকার আক্রমণে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ধানের শিষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ধানগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
১৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পিরোজপুর-২ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা। ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যদিও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক গজ পরপরই ছোট-বড় সুড়ঙ্গ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এসব সুড়ঙ্গ আর ম্যানহোলের কোনোটাতে বাঁশ আর কোনোটাতে আবর্জনা। এই চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভার পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বেদেপাড়া হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপুর ও পোড়াবাড়ি মহল্লার প্রধান সড়কের।
৫ ঘণ্টা আগে