জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ (সিলেট)
১২ বছর বয়স থেকে কেরোসিনের গন্ধ শুঁকে আসছেন আবদুর রহিম (৩০)। প্রায় ২০ বছরের অভ্যাসে বিষয়টি তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে। শুরু থেকে পরিবারের সদস্য, বন্ধু, আত্মীয়রা বাধা দিলেও রহিমকে বিরত রাখা যায়নি। তবে, এত বছর পরে এই নেশা থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের আবদুল রহিম বলেন, 'এই কেরোসিনের ঘ্রাণ না নিলে আমার ভালো লাগে না। এটা আমার নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। একটি ৫ লিটার কেরোসিনের ড্রাম সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। আমি এই নেশা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। তবে বহু চেষ্টা করেও পারছি না। আমি খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান, মা-বাবাও না থাকায় চিকিৎসাও নিতে পারছি না। যদি সমাজের কোনো বিত্তবান ব্যক্তি এগিয়ে আসেন তাহলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে আমি এর থেকে মুক্তি পেতে পারি।'
জানা যায়, ১০-১৫ মিনিট পরপর কেরোসিনের ঘ্রাণ নেন রহিম। ঘ্রাণ না নিলে তাঁর জীবনযাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে যায়, পাগলপ্রায় লাগে। অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। কেরোসিনের গন্ধ নিলে আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন। তাই কেরোসিনের বোতলটি তাঁর নিত্যসঙ্গী। হাটে-মাঠে, কাজকর্মে, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেলে এমনকি ঘুমের সময় একে পাশে রাখেন রহিম। কিছুক্ষণ পরপর ড্রামটির মুখে মুখ লাগিয়ে গন্ধ শুঁকেন।
আবদুর রহিমের গ্রামের বাসিন্দা হুঁশিয়ার আলী জানান, এলাকার অনেকেই তাঁকে কেরোসিনের ঘ্রাণ নেওয়া থেকে বিরত রাখার অনেক চেষ্টা করেছেন। এতে কোন লাভ হয়নি। তাঁর মা-বাবাও বেঁচে নেই। দারিদ্র্যর কারণে রহিম ভালো চিকিৎসা নিতে পারছেন না বলে উল্লেখ করে এলাকার আরেক বাসিন্দা আমরুস আলী।
পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারার কথা জানান রহিম নিজেও। তাঁর আক্ষেপ, কবে এই বিচিত্র নেশা থেকে মুক্তি পাব? তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন—এটা এক ধরনের নেশা। একে এক ধরনের মানসিক সমস্যা বলে তিনি মনে করেন। আব্দুর রহিম এলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা দেখে প্রয়োজনে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানোর আশ্বাসও দেন।
১২ বছর বয়স থেকে কেরোসিনের গন্ধ শুঁকে আসছেন আবদুর রহিম (৩০)। প্রায় ২০ বছরের অভ্যাসে বিষয়টি তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে। শুরু থেকে পরিবারের সদস্য, বন্ধু, আত্মীয়রা বাধা দিলেও রহিমকে বিরত রাখা যায়নি। তবে, এত বছর পরে এই নেশা থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের আবদুল রহিম বলেন, 'এই কেরোসিনের ঘ্রাণ না নিলে আমার ভালো লাগে না। এটা আমার নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। একটি ৫ লিটার কেরোসিনের ড্রাম সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। আমি এই নেশা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। তবে বহু চেষ্টা করেও পারছি না। আমি খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান, মা-বাবাও না থাকায় চিকিৎসাও নিতে পারছি না। যদি সমাজের কোনো বিত্তবান ব্যক্তি এগিয়ে আসেন তাহলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে আমি এর থেকে মুক্তি পেতে পারি।'
জানা যায়, ১০-১৫ মিনিট পরপর কেরোসিনের ঘ্রাণ নেন রহিম। ঘ্রাণ না নিলে তাঁর জীবনযাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে যায়, পাগলপ্রায় লাগে। অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। কেরোসিনের গন্ধ নিলে আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন। তাই কেরোসিনের বোতলটি তাঁর নিত্যসঙ্গী। হাটে-মাঠে, কাজকর্মে, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেলে এমনকি ঘুমের সময় একে পাশে রাখেন রহিম। কিছুক্ষণ পরপর ড্রামটির মুখে মুখ লাগিয়ে গন্ধ শুঁকেন।
আবদুর রহিমের গ্রামের বাসিন্দা হুঁশিয়ার আলী জানান, এলাকার অনেকেই তাঁকে কেরোসিনের ঘ্রাণ নেওয়া থেকে বিরত রাখার অনেক চেষ্টা করেছেন। এতে কোন লাভ হয়নি। তাঁর মা-বাবাও বেঁচে নেই। দারিদ্র্যর কারণে রহিম ভালো চিকিৎসা নিতে পারছেন না বলে উল্লেখ করে এলাকার আরেক বাসিন্দা আমরুস আলী।
পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারার কথা জানান রহিম নিজেও। তাঁর আক্ষেপ, কবে এই বিচিত্র নেশা থেকে মুক্তি পাব? তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন—এটা এক ধরনের নেশা। একে এক ধরনের মানসিক সমস্যা বলে তিনি মনে করেন। আব্দুর রহিম এলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা দেখে প্রয়োজনে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানোর আশ্বাসও দেন।
প্রায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সময় নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবল। বর্তমানে দুজন অতিথি শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস নেন। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল পারকি। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত এই সৈকতের দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার। পাশে বিশাল ঝাউবাগান থাকা সৈকতটি একসময় পর্যটকে মুখর থাকলেও এখন সেই অবস্থা আর নেই। ভাঙনের কারণে বালু সরে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে
৪ ঘণ্টা আগেরংপুর জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ৮টি উপজেলায় জনবলসংকট চরমে। এতে ঠিকমতো গবাদি পশুর চিকিৎসা পাচ্ছে না খামারিরা। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ১১টি পদের জন্য একজন করে মোট ৮৮ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রেষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেকয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে ওঠা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় এ বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত এক মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ রোহিঙ্গাসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুন পর্যন্ত জেলায় ২১৬ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপও।
৪ ঘণ্টা আগে