Ajker Patrika

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিকৃবির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

সিলেট প্রতিনিধি
Thumbnail image
সিকৃবির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করেন।

সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ওড়ানো, শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত, কেক কাটা ও শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে আলোচনা সভা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত এতে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকী।

সিকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য আলিমুল ইসলাম। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সিকৃবির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভেটেরিনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।

ইকবাল হোসেন স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সিলেট অঞ্চলের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশেষভাবে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

সিকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কাটা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কাটা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের ও সাফল্যের নেপথ্যের রূপকারদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্য থেকেও উন্নতমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পরিবার ভাবতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত