জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কৃষকেরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাঁদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এই সুযোগে একশ্রেণির মজুতদার ব্যবসায়ী গোলায় ধান ওঠার আগেই খলা থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষকেরা জানান, এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ১২০ মেট্রিকটন। তবে এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাত থেকে প্রতি কেদার (৩০ শতাংশ এক কেদার) জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া গেছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় কৃষি কার্যালয়।
কৃষকেরা বলেন, ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং কৃষিকাজের ব্যয় মেটাতে ধারদেনা করে আনা ঋণ মেটাতে গোলায় ধান তোলার আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দাম না পাওয়ায় কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এই সুযোগে মিল মালিক ও মজুতদারেরা হাওরে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক সুমন দাস বলেন, ‘এক হাল (১২ কেদার) জমিতে আবাদ করে ধান পেয়েছি প্রায় আড়াই শ মণ। সারা বছরের খাবারের জন্য ১০০ মণ রেখে দেড় শ মণ ৮৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এত ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ধানগুলো বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অনেক জায়গা ঘুরেও এর চেয়ে বেশি দাম পাইনি।’
জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা এলাকার কৃষক রজত গোপ বলেন, ‘৪২ কেজিতে মণ ধরে হাওরে ধান বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির মজুতদার খলা থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি ৪২ কেজিতে মণ ধরে ৯০০ টাকা মণে ১০০ মণ ধান বিক্রি করেছি।’
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের কৃষক টুনু মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান আবাদে ব্যয় বেড়েছে। সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি করলেও কৃষকের লাভ হয় না। কিন্তু আমরা তো ন্যায্য দামই পাই না।’
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘হাওরপাড়ের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকের ধান রাখার নিরাপদ জায়গা নেই। ঝড়-বৃষ্টি বন্যা হলে অনেক সময় কৃষকের ধান পানিতে ভেসে যায়। এসব কারণে কৃষকেরা নিজের খাওয়ার ধান রেখে অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে দেন। আবার অনেক কৃষক ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করেন। মেরামত করেন ঘরবাড়িও।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব প্রমিত দেব বলেন, এবার ভালো ফলন হলেও কৃষকের সব ধান ফড়িয়াদের কাছে চলে যাচ্ছে। সরকার কৃষকদের ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রান্তিক কৃষকেরা এই সুবিধা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ গুদামে ধান নিয়ে গেলেও নানা অজুহাতে ধান দিতে পারেন না।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে সরকারনির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে পারে, এ জন্য আমরা মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছি।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় এবার ২ হাজার ৬০৮ মেট্রিকটন ধান কেনা হবে। লটারির মাধ্যমে ৮৬৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ২৮০ টাকা মণ ধরে ধান কেনা হবে। একজন কৃষক ৭৫ মণ ধান বিক্রি করতে পারবেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কৃষকেরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাঁদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এই সুযোগে একশ্রেণির মজুতদার ব্যবসায়ী গোলায় ধান ওঠার আগেই খলা থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষকেরা জানান, এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ১২০ মেট্রিকটন। তবে এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাত থেকে প্রতি কেদার (৩০ শতাংশ এক কেদার) জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া গেছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় কৃষি কার্যালয়।
কৃষকেরা বলেন, ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং কৃষিকাজের ব্যয় মেটাতে ধারদেনা করে আনা ঋণ মেটাতে গোলায় ধান তোলার আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দাম না পাওয়ায় কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এই সুযোগে মিল মালিক ও মজুতদারেরা হাওরে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক সুমন দাস বলেন, ‘এক হাল (১২ কেদার) জমিতে আবাদ করে ধান পেয়েছি প্রায় আড়াই শ মণ। সারা বছরের খাবারের জন্য ১০০ মণ রেখে দেড় শ মণ ৮৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এত ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ধানগুলো বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অনেক জায়গা ঘুরেও এর চেয়ে বেশি দাম পাইনি।’
জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা এলাকার কৃষক রজত গোপ বলেন, ‘৪২ কেজিতে মণ ধরে হাওরে ধান বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির মজুতদার খলা থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি ৪২ কেজিতে মণ ধরে ৯০০ টাকা মণে ১০০ মণ ধান বিক্রি করেছি।’
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের কৃষক টুনু মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান আবাদে ব্যয় বেড়েছে। সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি করলেও কৃষকের লাভ হয় না। কিন্তু আমরা তো ন্যায্য দামই পাই না।’
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘হাওরপাড়ের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকের ধান রাখার নিরাপদ জায়গা নেই। ঝড়-বৃষ্টি বন্যা হলে অনেক সময় কৃষকের ধান পানিতে ভেসে যায়। এসব কারণে কৃষকেরা নিজের খাওয়ার ধান রেখে অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে দেন। আবার অনেক কৃষক ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করেন। মেরামত করেন ঘরবাড়িও।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব প্রমিত দেব বলেন, এবার ভালো ফলন হলেও কৃষকের সব ধান ফড়িয়াদের কাছে চলে যাচ্ছে। সরকার কৃষকদের ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও প্রান্তিক কৃষকেরা এই সুবিধা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ গুদামে ধান নিয়ে গেলেও নানা অজুহাতে ধান দিতে পারেন না।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে সরকারনির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে পারে, এ জন্য আমরা মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছি।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় এবার ২ হাজার ৬০৮ মেট্রিকটন ধান কেনা হবে। লটারির মাধ্যমে ৮৬৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ২৮০ টাকা মণ ধরে ধান কেনা হবে। একজন কৃষক ৭৫ মণ ধান বিক্রি করতে পারবেন।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত বন্ধ থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ‘সেন্ট্রাল সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে
৬ মিনিট আগেআলোচিত বাংলাদেশি পর্নো তারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দেশে বসেই পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি করে আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে তাঁরা। এমনকি দেশে অন্যদের এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন।
১৪ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পারুল বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর পুত্রবধূ লিলি আক্তারের (৩০) বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের আসাদনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বেগম ওই এলাকার আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলো বলেন, ‘জেলেদের নাম আমরা তালিকাভুক্ত করিনি। ২০০৭-০৮ সালের দিকে ওই নামগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই সময় তালিকাভুক্ত করার পর কিছু জেলে মৃত্যুবরণ করেছেন, আবার বিভিন্ন ত্রুটির কারণে ৫৫৪ জেলেকে সহায়তার কার্ড দেওয়া হয়নি। ওই তালিকা ধরেই আমরা এখনো সহায়তা দিয়ে থাকি। সরকার যদি
১ ঘণ্টা আগে