আবদুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নাড়ুয়া গ্রামে কাঁচা রাস্তায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক নেতারা তা বাস্তবায়ন করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামেশ্বরগাতী পাকার মোড় থেকে নাড়ুয়া ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। সড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কোথাও পানি জমে আছে, কোথাও কাদায় ভরা। রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ছোট ব্রিজ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করছেন ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মিশুক ও মোটরসাইকেলচালকেরা।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে নাড়ুয়া, তেঘুরী, বেংনাই ও মাটিকোড়া গ্রামের ১০-১২ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি হয়।
সুমাইয়া ইয়াসমিন, আবু কালাম, কামালসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, ‘ডেলিভারি রোগী কিংবা অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি হয় বেশি। রাস্তা পাকা হলে আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারব। জরুরি রোগীও সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো যাবে।’
শরিফুল ইসলাম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে বৃষ্টির মধ্যে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথের যা অবস্থা, শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নেওয়ার আগে রাস্তার ওপরই বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।’
কৃষকেরা জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় পরিবহন খরচও তিনগুণ বেড়েছে। এক মণ ধান বাজারে নিতে আগে ভাড়া লাগত ১০ টাকা, এখন দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। তবু মাঝেমধ্যে গাড়ি উল্টে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
ভ্যানচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কষ্ট ভাষায় বোঝানো যাবে না। অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে আবার তুলতে হয়। বৃষ্টির দিনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি।’
স্থানীয় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি শুধু কাগজেই আছে। বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আপনারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাড়ুয়া গ্রামের মানুষের ভোট নেন, রাস্তা পাকা করেন না বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা—এমন প্রশ্নের জবাবে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘খুব দ্রুতই রাস্তা পাকা করে দেওয়া হবে। ইনশা আল্লাহ।’
এ বিষয়ে জানতে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রবিউল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ওই রাস্তার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রাস্তার কাজ শুরু হবে।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নাড়ুয়া গ্রামে কাঁচা রাস্তায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক নেতারা তা বাস্তবায়ন করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামেশ্বরগাতী পাকার মোড় থেকে নাড়ুয়া ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। সড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কোথাও পানি জমে আছে, কোথাও কাদায় ভরা। রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ছোট ব্রিজ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করছেন ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মিশুক ও মোটরসাইকেলচালকেরা।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে নাড়ুয়া, তেঘুরী, বেংনাই ও মাটিকোড়া গ্রামের ১০-১২ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি হয়।
সুমাইয়া ইয়াসমিন, আবু কালাম, কামালসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, ‘ডেলিভারি রোগী কিংবা অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি হয় বেশি। রাস্তা পাকা হলে আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারব। জরুরি রোগীও সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো যাবে।’
শরিফুল ইসলাম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে বৃষ্টির মধ্যে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথের যা অবস্থা, শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নেওয়ার আগে রাস্তার ওপরই বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।’
কৃষকেরা জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় পরিবহন খরচও তিনগুণ বেড়েছে। এক মণ ধান বাজারে নিতে আগে ভাড়া লাগত ১০ টাকা, এখন দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। তবু মাঝেমধ্যে গাড়ি উল্টে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
ভ্যানচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কষ্ট ভাষায় বোঝানো যাবে না। অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে আবার তুলতে হয়। বৃষ্টির দিনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি।’
স্থানীয় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি শুধু কাগজেই আছে। বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আপনারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাড়ুয়া গ্রামের মানুষের ভোট নেন, রাস্তা পাকা করেন না বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা—এমন প্রশ্নের জবাবে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘খুব দ্রুতই রাস্তা পাকা করে দেওয়া হবে। ইনশা আল্লাহ।’
এ বিষয়ে জানতে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রবিউল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ওই রাস্তার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রাস্তার কাজ শুরু হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
১ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
১ ঘণ্টা আগেএকসময় আখের মিষ্টি গন্ধে মুখর থাকত রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলো। চিনিকলের সাইরেন বাজলেই প্রাণ ফিরত শ্রমিকপল্লিতে, জমজমাট হতো স্থানীয় বাজার। কিন্তু সেই সাইরেন বহুদিন বন্ধ। ৯ মাস আগে পুনরায় চালুর ঘোষণা এলেও এখনো বন্ধই পড়ে আছে এখানকার একমাত্র ভারী শিল্প শ্যামপুর সুগার মিল।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চরের অন্তত দুই বিঘা জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে চরের এক পাশে ১০ ফুট উঁচু সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের গোসিঙ্গা বাজারের পাশের চরে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে