Ajker Patrika

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড: মতবিনিময় সভায় ব্যাখ্যা দিলেন ইউএনও 

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, ২১: ৫৬
তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড: মতবিনিময় সভায় ব্যাখ্যা দিলেন ইউএনও 

প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে কারাদণ্ড দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন। 

গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ওই মতবিনিময় সভা হয়। সভায় ইউএনও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক রানার পরিবার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে রানা জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। 

রানার বাড়ি নকলা পৌরসভার বাজারদী মহল্লায়। তাঁর পিতার নাম আলহাজ লিয়াকত আলী। রানা বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি আমার অফিসে সার্বিক মনিটরিং কমিটির মিটিং করছিলাম। হঠাৎ বাহিরে হট্টগোলের শব্দ পাই। ওই সময় আমার অফিসের সিএ শিলা আক্তার এসে আমাকে জানায়, রানা ভাই রুমে এসে ফাইল চাচ্ছে। তখন মিটিংয়ে উপস্থিত জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেখানে গিয়ে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। তখন হট্টগোল আরও বেড়ে গেলে আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফকে হট্টগোল থামাতে ডেকে পাঠাই। তিনি রানাকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। পরে সেখানে গিয়ে রানার সাথে কথা বলেন মিটিং উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুর। রানা তাঁর সাথেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাঁকে ধাক্কা দেন। আমরা রানাকে ৩০ মিনিট সময় দিয়েছি সে যেন চলে যায়। কিন্তু সে চলে না যাওয়ায় একটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত করতে তাৎক্ষণিক আমরা রানার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশ ডেকে সহকারী কমিশনার শিহাবুল আরিফের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আমরা রানাকে ১৮৮ ও ৫০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে ৬ মাসের দণ্ডাদেশ দিয়ে তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।’ 

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ‘এ জন্য রানার পরিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর জামিনের আবেদন করতে পারেন এবং রানা জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। রানা জাইকার ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প নিয়ে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন। আমার হাতে আরও প্রায় ২০ দিনের মতো সময় আছে। এটা নিয়ে এখনই এত হট্টগোলের কী আছে?’ 

সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শহীদুল ইসলাম হীরার এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ‘যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেটি সিসি টিভির আওতাভুক্ত নয়। তাই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেওয়া সম্ভব নয়।’ 

রানার স্ত্রী বন্যা আক্তারের অভিযোগ, ৫ মার্চ মঙ্গলবার রানা তাঁর ছেলে শাহরিয়ার জাহান মাহিনকে (১৫) সঙ্গে নিয়ে এডিপি প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন। আবেদনটি কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার কর্মচারী (সিএ) শীলার কাছে জমা দিয়ে রিসিভড কপি চান রানা। শীলা তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। রানা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবর শীলার কাছে রিসিভড কপি চান। 

তখন শীলা বলেন, ইউএনও ছাড়া রিসিভড কপি দেওয়া যাবে না। পরে রানা মোবাইল ফোনে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানান। এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও ও সিএ শীলার সাথে অসদাচরণের অভিযোগে রানাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ইউএনওর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ ওই কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

এ ব্যাপারে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও বীর মুক্তযোদ্ধা আবুল মুনসুর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

সভায় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মেরাজ উদ্দিন, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শহীদুল ইসলাম হীরা, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শাকিল মুরাদ, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ, বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম, নিউজ বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকিল, প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও কার্যকরী সদস্য মঞ্জুরুল আহসান, স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক জাহান প্রতিনিধি ফুয়াদ হোসেন, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর হোসেন আহমেদ, বিজয় টিভি প্রতিনিধি ইউসুফ আলী মন্ডল, আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোশারফ হোসাইন, যায়যায়দিনের প্রতিনিধি শফিউল আলম লাভলু, অপরাধ তথ্যচিত্রের প্রতিনিধি আরিফুর রহমান, আশ্রয় প্রতিদিনের প্রতিনিধি জিয়াউল আলম, জনবাণীর প্রতিনিধি আইনুল নাঈম উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে সিএনজি-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, সবজি ব্যবসায়ী নিহত; আহত ৩

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজিম উদ্দীন (৪০) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অদুদিয়া সড়কের আতুন্নিরঘাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজিম উদ্দীন চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান আলী তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান আসার সময় নতুন হাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানটি সড়ক থেকে ছিটকে ধানখেতে পড়ে যায়।

এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত নাজিমের সঙ্গে থাকা মানিক নামের এক যুবক জানান, নাজিম উদ্দীন ভোরে সবজি কেনার জন্য নতুন হাট থেকে অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম নগরীতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাভার্ড ভ্যানটি রং সাইডে এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। নিহত নাজিম উদ্দীন চার কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর রাউজান থানা-পুলিশ গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আবু হানিফ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন। নিহত আবু হানিফ (৩০) পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করেন। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির মেজ বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইয়েরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তা-ও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে, সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়া যায়। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীরে (হানিফ) ভেতরে বসায়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।’

হানিফ খানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেলল কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।’

এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: বড় ভাইয়ের মামলা, আসামি মাহিরসহ ৩

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে: শামীম বিন সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’

উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত