তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালায় স্বল্পমূল্যের ওএমএসের আটা কিনতে প্রতিদিন শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। ভোর থেকে সারবদ্ধভাবে অপেক্ষা করেও অনেকে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। বিশেষ করে আটা কিনতে আসা বৃদ্ধ, অসুস্থ নারী ও শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে তালা সদরের ওএমএস ডিলার আনোয়ার হোসেন আনুর বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ২৪ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কারও কোলে দুধের শিশু, কেউ আবার অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোর থেকে অপেক্ষা করছে। ৫ কেজি আটা কেনার জন্য অনেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ভ্যানভাড়া দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে।
জেয়ালতা গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ (৬৭) বলেন, ‘ভোর থেকে লাইন ধরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন আরও লম্বা হয়। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পাই না।’ আরেক ক্রেতা ছকিনা বেগম বলেন, ‘২০ টাকা ভ্যানভাড়া দিয়ে এসেছি, কিন্তু জানি না আটা পাব কি না। বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।’ রাজমিস্ত্রি আব্দুস সবুর বলেন, ‘এলাকায় এখন কাজ নেই, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই মানুষ সরকারি আটা কিনতে লাইনে আসে। কিন্তু অনেকেই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফেরে।’
ডিলারের প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। কিন্তু চাহিদা এত বেশি যে শত শত মানুষ এসে পড়ে। তাই সপ্তাহে এক দিন নারীদের ও এক দিন পুরুষদের জন্য আলাদা দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ৫ কেজির পরিবর্তে আড়াই কেজি করে দিচ্ছি, তবু সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
ওএমএস ডিলার মো. আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘প্রতিদিন মাত্র ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা তালা সদরের বিপুল চাহিদার তুলনায় খুবই কম। অর্ধেক মানুষ খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হয়। বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে হলে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় চাল ও আটা বরাদ্দ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে হবে। বরাদ্দ কম থাকায় মানুষ কষ্টে আছে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
তালা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
সাতক্ষীরার তালায় স্বল্পমূল্যের ওএমএসের আটা কিনতে প্রতিদিন শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। ভোর থেকে সারবদ্ধভাবে অপেক্ষা করেও অনেকে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। বিশেষ করে আটা কিনতে আসা বৃদ্ধ, অসুস্থ নারী ও শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে তালা সদরের ওএমএস ডিলার আনোয়ার হোসেন আনুর বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ২৪ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কারও কোলে দুধের শিশু, কেউ আবার অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোর থেকে অপেক্ষা করছে। ৫ কেজি আটা কেনার জন্য অনেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ভ্যানভাড়া দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে।
জেয়ালতা গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ (৬৭) বলেন, ‘ভোর থেকে লাইন ধরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন আরও লম্বা হয়। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পাই না।’ আরেক ক্রেতা ছকিনা বেগম বলেন, ‘২০ টাকা ভ্যানভাড়া দিয়ে এসেছি, কিন্তু জানি না আটা পাব কি না। বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।’ রাজমিস্ত্রি আব্দুস সবুর বলেন, ‘এলাকায় এখন কাজ নেই, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই মানুষ সরকারি আটা কিনতে লাইনে আসে। কিন্তু অনেকেই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফেরে।’
ডিলারের প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। কিন্তু চাহিদা এত বেশি যে শত শত মানুষ এসে পড়ে। তাই সপ্তাহে এক দিন নারীদের ও এক দিন পুরুষদের জন্য আলাদা দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ৫ কেজির পরিবর্তে আড়াই কেজি করে দিচ্ছি, তবু সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
ওএমএস ডিলার মো. আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘প্রতিদিন মাত্র ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা তালা সদরের বিপুল চাহিদার তুলনায় খুবই কম। অর্ধেক মানুষ খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হয়। বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে হলে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় চাল ও আটা বরাদ্দ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে হবে। বরাদ্দ কম থাকায় মানুষ কষ্টে আছে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
তালা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় রাসায়নিক গুদাম ও সংলগ্ন একটি পোশাক কারখানায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। দগ্ধ ও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। তবে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছ
১০ মিনিট আগে‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সমন্বয়ক শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বেসরকারি কোনো শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন না।’
২৩ মিনিট আগেশ্রমিকেরা কারখানার ফ্যান, অ্যাডজাস্ট ফ্যান চালু করলে আগুনের ধোঁয়া অফিসে চলে আসে। তখন হঠাৎই কাশতে শুরু করেন শ্রমিকেরা, অনেকে বমি করে, অনেকে জ্ঞানও হারায়।
২৭ মিনিট আগেগার্মেন্টসের আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রকার মাল্টিপারপাস কেমিক্যালের আগুন নির্বাপণে সময় লাগবে। এই সব কেমিক্যালের কারণে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস তৈরি হয়েছে, যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা করছে।
৩০ মিনিট আগে