গাইবান্ধা প্রতিনিধি
দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দখলের সংক্রমণ থেকে বেরই হতে পারছে না রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। দখলের থাবায় ক্রমে আয়তন কমছে বিশেষায়িত এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটির। সীমানা প্রাচীরের বাইরে জমি দখল করে গড়ে উঠেছে সাততলা বস্তি, ঘর, দোকান, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
১ ঘণ্টা আগেঅবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনার পর রংপুরের বদরগঞ্জের প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে উঠলেও ঘাটাবিল শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ঘেঁষে প্রধান শিক্ষকের অবৈধ দুটি ইটভাটা বন্ধ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে২০ বছর আগে গ্রাহককে প্রদান করা ঋণের টাকা আদায় না করায় উদাসীনতার দায়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) রৌমারী উপজেলা কার্যালয়ের জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিআরডিবি, কুড়িগ্রামের উপপরিচালককে এ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরের পোর্ট রোড মোকাম এখন ইলিশের বদলে তরমুজে সয়লাব। রোজায় আগাম এ ফলের যেমন চাহিদা, তেমনি দরও চড়া। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, আগাম আসা এ তরমুজের একাংশ এখনো অপরিপক্ব। অতি মুনাফার লোভে কৃষক অতিরিক্ত রাসায়নিক ও হরমোন প্রয়োগ করে বাজারে তুলেছেন। এ কারণে স্বাদের তরমুজ অনেকটা বিস্বাদ।
২ ঘণ্টা আগে