Ajker Patrika

বেরোবিতে শেখ রাসেলের নামফলক ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

বেরোবি সংবাদদাতা
বেরোবিতে শেখ রাসেলের নামফলক ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের নামফলক ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সংযোগ সড়কের বটগাছে 'শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর' লেখা নামফলকটি ভেঙে মাটিতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। বঙ্গবন্ধু পুত্রের নামফলক ভেঙে ফেলার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে দেখছে না অনেকেই। এ নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে চলছে সমালোচনার ঝড়। 

জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন যাওয়ার সংযোগ সড়কটিকে শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর হিসেবে নামকরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের কয়েকজন শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সংযোগস্থলে থাকা বটগাছে ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ নামে একটি নামফলক বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে জায়গাটি ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। কিন্তু রাতের আঁধারে শেখ রাসেলের নাম সংবলিত ফলক ভাঙার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জিত শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরের সেই বটগাছের সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে আগত দর্শনার্থীরা। এ সময় অনেকেই ছবি তুলতে গিয়ে ভেঙে ফেলা সেই নামফলক দুটিকে পায়ের নিচে মাড়িয়ে ছবি তোলেন। 

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বেরোবি শাখার সভাপতি ধনঞ্জয় কুমার টগর এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল স্মরণে বেরোবিসাসের দেওয়া স্মৃতি ফলক ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ ফলকটি যারা স্বস্থান থেকে তুলে ফলেছে, প্রশাসনের নিকট তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার বিরোধী এই অপশক্তিকে মাথা উঁচু করতে দেওয়া যায় না। 

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, সারা দেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে এক মহোৎসবে মেতে উঠেছে ঠিক তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের স্মৃতিকে মুছে ফেলার জন্য অতীতের ন্যায় সকল ষড়যন্ত্র এখনো করে যাচ্ছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরের নামফলক ভেঙে ফেলার সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত প্রেতাত্মাদের হাত আছে বলে মনে করি। এই ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শেখ রাসেল আমাদের কাছ একটি আবেগের নাম। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এ কাজ করতে পারে না। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত