Ajker Patrika

কলা খেয়ে গিনেস বুকে নীলফামারীর স্কুলশিক্ষার্থী অন্তু

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ০০
কলা খেয়ে গিনেস বুকে নীলফামারীর স্কুলশিক্ষার্থী অন্তু

দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্শ ছাড়া কলা খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিস ইসতে অন্তু। সে নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। অন্তু উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলী ও নাসমুন নাহার দম্পতির বড় ছেলে। 

সূত্রমতে, মহামারি করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গিনেস রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে অন্তুর। প্রথমে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে সে। পরে দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খেয়ে গিনেস রেকর্ড গড়ে অন্তু। গত বছরের ১৩ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ডে আবেদন করে সে। ৪ মে গিনেস কর্তৃপক্ষ অন্তুর আবেদন গ্রহণ করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক দ্রুততম পরার পরীক্ষা নেয়। অবশেষে ১৪ জুলাই দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭ দশমিক ৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে ৭ দশমিক ১৬ সেকেন্ডে ১০টি মাস্ক পরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে অন্তু। 

গত ৬ নভেম্বর রাতে অন্তুর কাছে গিনেস ওয়ার্ল্ডের বার্তা এসেছে। একই তারিখে হাতের ব্যবহার ছাড়াই একটি কলা মুখ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭ দশমিক ৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভাঙে। সে খেয়েছে ৩০ দশমিক ৭ সেকেন্ডে। এর ফলস্বরূপ অন্তু ১৯ ডিসেম্বর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ডের দুটি সনদপত্র।

অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আনন্দিত অন্তুর পরিবার ও বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। 

মা-বাবার সঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া অন্তুনাফিস ইসতে তৌফিক অন্তু বলে, ‘করোনাকালে বাসায় বসে পড়াশোনার পাশাপাশি টেলিভিশন দেখে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে। তারপর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার ইচ্ছা বড় হয়ে একজন প্রকৌশলী হওয়ার।’

অন্তুর মা নাসমুন নাহার বলেন, ‘ছোট থেকেই সে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। পোশাক কেনার কোনো চাহিদা নেই তার। আমরা যা কিনে দেই, সে তাতেই খুশি থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে পড়ে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিষ্কারের চিন্তা। ছেলে বিশ্ব রেকর্ড করেছে এতে আমরা গর্বিত।’

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অন্তু নিজের প্রচেষ্টায় গিনেস ওয়ার্ল্ডে দুটি রেকর্ড গড়েছে। শিক্ষকেরা তার কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন। ২০২১ সালে শুধু অন্তু নয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের আরও দুজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ে সেরাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর ছবি তুলে প্রধান ফটকের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার পরামর্শ থাকবে, শুধু রেকর্ড গড়া নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না, পড়ালেখার প্রতিও কঠোর নজর রাখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত