Ajker Patrika

সৈয়দপুর স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কিনতে এখনো যাত্রীদের ভোগান্তি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ২১: ০৭
সৈয়দপুর স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কিনতে এখনো যাত্রীদের ভোগান্তি

ট্রেনের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ নতুন নিয়মে টিকিট কাটতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেশনের ট্রেন যাত্রীদের। রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই। সার্ভার জটিলতার কারণে ধীর গতিতে চলছে টিকিট বিক্রি। 

স্থানীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রীরা ঠিকমতো টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছেন কিনা তা তদারকি করছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ট্রেনের টিকিট কাটতে আসা বেশির ভাগ যাত্রীরা। যাত্রীরা বলছে, স্টেশনের যাত্রীদের জন্য আলাদা একটি রেজিস্ট্রেশন কাউন্টার থাকার কথা থাকলেও সেটি বসানো হয়নি। নেই তথ্য সেবাকেন্দ্র। 

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুর উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সৈয়দপুর ছাড়াও রংপুরের তারাগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই এই রুটে যাতায়াত করে। এখান থেকে প্রতিদিন ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা রুটে পাঁচটি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১ মার্চ থেকে ট্রেনের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু টিকিট কেনার নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত না জানায় এ স্টেশনে এসে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। 

আজ সোমবার সরেজমিন স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ও এনআইডি না নিয়ে টিকিট কাউন্টারে এসে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অনেকে আবার ঠিকমতো নিবন্ধন করতে পারছেন না। আবার নিবন্ধন হতে দেরি হওয়ায় অনেকেই সঠিক সময়ে ট্রেন ধরতে পারছেন না। অনেক বয়স্ক যাত্রী নতুন নিয়মে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণাই রাখেন না। তারাই বেশি বিপদে পড়েছেন। নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় সৈয়দপুর রেলস্টেশনের যাত্রীদের জন্য আলাদা একটি রেজিস্ট্রেশন বুথের কথা থাকলেও সেটি বসানো হয়নি। 

ঢাকা যাওয়ার জন্য প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট পাননি ইসরাত পারভীন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমার এনআইডি দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু ইনভ্যালিড দেখায়। এরপর আমার স্বামীর নম্বর দিয়ে চেষ্টা করছি, কিন্তু সেটিও ইনভ্যালিড দেখায়। কাউন্টারে গিয়ে অনুরোধ করলে তারা বলেন এসএমএস না আসলে টিকিট পাওয়া যাবে না।’ 

খুলনা যাওয়ার জন্য রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আতিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামার তো মোবাইল নাই। আইডি কার্ড খান ভুল আছিল, ওইখান দুই মাস আগে নির্বাচন অফিসোত ঠিক করির দিছি। এলাও পাও নাই। সে জন্যে টিকিট কাটির পায়ছি না। খুলনা বেটির বাড়িত যাবার নাগিবে। স্টেশনে আসিয়া মুই কী বিপদোত পড়নু! কেনকা করি বেটির বাড়ি যাব এলাই!’ 

আসলাম হোসেন নামে আরেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বারবার চেষ্টা করেও নিবন্ধনের ফিরতি মেসেজ পাইনি। গত রোববার একটি কম্পিউটার দোকান থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু সোমবার দুপুর হয়ে গেল ফিরতি মেসেজ পাইনি। এ কারণে টিকিট কাটতেও পারছি না।’ 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি নতুন পদ্ধতি তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে স্টেশনে যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখন অনলাইনে ঢুকে যাত্রীরা নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিজেই টিকিট কাটতে পারছেন। অন্য কারও টিকিট কাটার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবারও মেয়েসন্তান হওয়ায় খালে ফেলে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঁচ দিনের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে মা শারমিন খাতুনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, দুই মেয়ের পর আবারও মেয়েসন্তান জন্ম নেওয়ায় ওই শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার শারমিন খাতুন রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে চান। নিখোঁজ ডায়েরি করার কারণ হিসেবে ইব্রাহিম বলেন—তাঁদের মেয়েকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিল। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি জানান, ইব্রাহিম খলিলের কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন স্বীকার করে, পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও আবার মেয়েশিশু জন্ম হওয়ায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।

এরপর শারমিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আজ সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: রাজধানীতে সারা দিনে ১৩১ জন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: রাজধানীতে সারা দিনে ১৩১ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা ডিএমপির বিভিন্ন থানা-পুলিশ।

এর মধ্যে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছয়, উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ দুই, গুলশান থানা-পুলিশ ২৪, খিলক্ষেত থানা-পুলিশ চার, ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ তিন, ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ছয়, নিউমার্কেট থানা-পুলিশ ছয়, শাহবাগ থানা-পুলিশ তিন, মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আট, হাতিরঝিল থানা-পুলিশ এক, পল্টন থানা-পুলিশ ছয়, মতিঝিল থানা-পুলিশ ৪০ ও ডিবি, ওয়ারী ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুর নয়, ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে মাদারীপুরে সড়ক অবরোধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে মাদারীপুরকে যেন অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, সে দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্দোলনকারীরা জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে ঘোষণা হতে পারে ফরিদপুর বিভাগ। এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে মাদারীপুর জেলাকে। সেই আশঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছেন জেলাবাসী।

তাঁদের দাবি, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই ফরিদপুর বিভাগে নয়, ঢাকা বিভাগেই থাকতে চান মাদারীপুর জেলাবাসী।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলা শাখার সদস্য রুবেল মৃধা, জহিরুল ইসলাম সানি, আশিকুল ইসলাম, নেয়ামুল হক, কিরণ আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা শেখ (৪৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত সমেতউল্লাহ শেখের ছেলে।

অভিযুক্ত ভাতিজারা হলেন শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ। তাঁদের বাবার নাম রহমতউল্লাহ শেখ। নিহতের আরেক ভাতিজা রমজান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বজন ও পুলিশ জানায়, সমেতউল্লাহ শেখের দুই স্ত্রী ছিলেন। এক স্ত্রীর সন্তান রহমতউল্লাহ শেখ এবং অন্য স্ত্রীর সন্তান মোস্তফা শেখ, মুনজিল শেখ, ফজেল শেখ ও এন্দা শেখ। সমেতউল্লাহ শেখ মারা গেলেও তাঁর জমি এখনো সঠিকভাবে ভাগ-বণ্টন হয়নি। জমি নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মোস্তফারা চার ভাই মাছ চাষ করলেও রহমতউল্লাহ শেখকে ভাগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রহমতউল্লাহর ছেলেরা পুকুরের ভাগ বুঝে নিতে মোস্তফার কাছে গেলে তিনি শুক্রবার বসার কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে মোস্তফার ভাই মুনজিল বালাদিয়াড় বাজারের দিকে গেলে রহমতউল্লাহর ছেলেরা তাকে পিটিয়ে আহত করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান মোস্তফার স্বজনেরা। অভিযোগ দেওয়ার খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রহমতউল্লাহর ছেলেরা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। এ সময় তাঁর ভাতিজা শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখসহ কয়েকজন তাঁকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ঘিরে ধরেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসা অন্য ভাতিজারাও হামলার শিকার হন।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোস্তফা শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া লিটন শেখ, জাদু শেখ ও এনামুল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর বালাদিয়াড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মোস্তফা শেখের বাড়ির সামনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় নারী বিনা বেগম বলেন, ‘জমি নিয়ে আগেও ঝামেলা হতো, পুলিশ আসত। কিন্তু আজ এভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলবে, তা কেউ ভাবেনি।’

এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত