সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
শরৎ শেষে এল হেমন্ত। হেমন্তের ‘প্রাণ’ নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাড়ির উঠোন ভরে উঠছে নতুন ধানে। চারদিকে ধানের ম-ম গন্ধ। এমন আনন্দ আর উৎসবে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠাপুলির নানা আয়োজন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, মোহাম্মদপুর, নারগুন, সালান্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গানে গানে মাঠে চলছে ধান কাটা, মাড়াই। প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে নতুন ধানের স্তূপ। অনেকের বাড়িতে চলছে সকালে ভাপা-পুলি, তেলের পিঠা, নতুন চালের পায়েস ও নাড়ু-মুড়ির মুখরোচক খাবার।
জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, এবার বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ করে ধানের ফলন হচ্ছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ধান কাটা-মাড়াই কিছুটা ধীরে হচ্ছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দ কাজ করছে।
কৃষক জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমন ধান কাটার মৌসুমে ধানের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা (শুকনা) মণ। এবার তাই ধান শুকিয়ে বিক্রি করব। এতে দাম ভালো পাব আশা করছি।’
বেগুনবাড়ী এলাকার কৃষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন ধান মাড়াই করে মেয়ে ও জামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে নিমন্ত্রণ করি। এ সময় বাড়িতে নতুন চালের পিঠা-পুলি, ক্ষীর-পায়েস ইত্যাদি তৈরি করা হয়।’
একই এলাকার শাহেল বানু বলেন, ‘এই দিনে মেয়ের বাড়িতে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি পাঠাই। এবারও ঢেঁকিতে আতপ চাল গুঁড়ো করছি পিঠা পাঠানোর জন্য।’
সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার রাস্তার পাশে ধান শুকাচ্ছেন নার্গিস বেগম। তিনি ওই এলাকার নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী।
নার্গিস বেগম বলেন, ‘খেত থেকে ধান কেটে আনার পর বাড়ির উঠানে মাড়াই করছি। এরপর সব ধানই বিক্রি করে দিয়ে অল্প কিছু রাখছি পিঠা খেতে। ওই ধানই শুকাচ্ছি। প্রতি বছর নতুন ধান উঠলেই সেই ধানে চাল করে গুঁড়ো করি। নিজেদের গুঁড়ো করা চালে তৈরি পিঠা অনেক মজা হয়। পিঠা বানানোর দিন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা বাড়িতে আসেন। সবাই একসঙ্গে বসে পিঠা বানাই।’
ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন, সমৃদ্ধির ঋতু হেমন্ত যখন আসে বাংলায়, তখন পল্লির কুটির থেকে প্রান্তর পাকা ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে চারদিক। ফসল তোলার এই সময়টিতে মনে হয় বঙ্গজননী তার দ্বার খুলে দেয়। আহ্বান জানায় ভান্ডার থেকে অন্ন সংগ্রহের জন্য। তাই প্রকৃতির ভান্ডার থেকে মুঠো মুঠো সুখ কুড়িয়ে নেওয়ার আয়োজনে মেতে ওঠে গ্রামবাসী। তবে যাঁদের জন্য এসব আয়োজনম সেই কৃষকই ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে সার্থক হবে নবান্ন উৎসব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় এবার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এই পরিমাণ জমি থেকে উৎপাদিত হবে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন ধান। সেই ধান থেকে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাঠে পুরোদমে আমন ধান কাটা হচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় এবার কৃষকেরা দারুণ খুশি।
শরৎ শেষে এল হেমন্ত। হেমন্তের ‘প্রাণ’ নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাড়ির উঠোন ভরে উঠছে নতুন ধানে। চারদিকে ধানের ম-ম গন্ধ। এমন আনন্দ আর উৎসবে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠাপুলির নানা আয়োজন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, মোহাম্মদপুর, নারগুন, সালান্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গানে গানে মাঠে চলছে ধান কাটা, মাড়াই। প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে নতুন ধানের স্তূপ। অনেকের বাড়িতে চলছে সকালে ভাপা-পুলি, তেলের পিঠা, নতুন চালের পায়েস ও নাড়ু-মুড়ির মুখরোচক খাবার।
জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, এবার বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ করে ধানের ফলন হচ্ছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ধান কাটা-মাড়াই কিছুটা ধীরে হচ্ছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দ কাজ করছে।
কৃষক জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমন ধান কাটার মৌসুমে ধানের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা (শুকনা) মণ। এবার তাই ধান শুকিয়ে বিক্রি করব। এতে দাম ভালো পাব আশা করছি।’
বেগুনবাড়ী এলাকার কৃষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন ধান মাড়াই করে মেয়ে ও জামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে নিমন্ত্রণ করি। এ সময় বাড়িতে নতুন চালের পিঠা-পুলি, ক্ষীর-পায়েস ইত্যাদি তৈরি করা হয়।’
একই এলাকার শাহেল বানু বলেন, ‘এই দিনে মেয়ের বাড়িতে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি পাঠাই। এবারও ঢেঁকিতে আতপ চাল গুঁড়ো করছি পিঠা পাঠানোর জন্য।’
সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার রাস্তার পাশে ধান শুকাচ্ছেন নার্গিস বেগম। তিনি ওই এলাকার নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী।
নার্গিস বেগম বলেন, ‘খেত থেকে ধান কেটে আনার পর বাড়ির উঠানে মাড়াই করছি। এরপর সব ধানই বিক্রি করে দিয়ে অল্প কিছু রাখছি পিঠা খেতে। ওই ধানই শুকাচ্ছি। প্রতি বছর নতুন ধান উঠলেই সেই ধানে চাল করে গুঁড়ো করি। নিজেদের গুঁড়ো করা চালে তৈরি পিঠা অনেক মজা হয়। পিঠা বানানোর দিন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা বাড়িতে আসেন। সবাই একসঙ্গে বসে পিঠা বানাই।’
ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন, সমৃদ্ধির ঋতু হেমন্ত যখন আসে বাংলায়, তখন পল্লির কুটির থেকে প্রান্তর পাকা ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে চারদিক। ফসল তোলার এই সময়টিতে মনে হয় বঙ্গজননী তার দ্বার খুলে দেয়। আহ্বান জানায় ভান্ডার থেকে অন্ন সংগ্রহের জন্য। তাই প্রকৃতির ভান্ডার থেকে মুঠো মুঠো সুখ কুড়িয়ে নেওয়ার আয়োজনে মেতে ওঠে গ্রামবাসী। তবে যাঁদের জন্য এসব আয়োজনম সেই কৃষকই ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে সার্থক হবে নবান্ন উৎসব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় এবার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এই পরিমাণ জমি থেকে উৎপাদিত হবে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন ধান। সেই ধান থেকে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাঠে পুরোদমে আমন ধান কাটা হচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় এবার কৃষকেরা দারুণ খুশি।
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৫ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে